দিব্যেন্দু পালিত : আধুনিক যুগের লেখক

দিব্যেন্দু পালিত : আধুনিক যুগের লেখক
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
          (৫ মার্চ, ১৯৩৯ --- এখনও জীবিত)

তিনি হলেন একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। বিশ শতকের সত্তরের দশকের কবি দিব্যেন্দুর কবিতায় সমকালীন জীবনচিত্র কাব্যিক অনুভূতিতে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তুলনামূলক সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন। সমকালীন বাংলা সাহিত্যে অন্যতম জনপ্রিয়  ঔপন্যাসিক,গল্পকার ও কবি।

¤ জন্ম ও জন্মস্থান :-
তিনি ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ বিহারের ভাগলপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

¤ পেশা :-
ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, কবি, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিকতা।

¤ পারিবারিক পরিচয় :-
তাঁর পিতার নাম বগলাচরণ মিত্র এবং মাতার নাম নীহারবালা পালিত।

¤ শিক্ষাজীবন :-
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। তিনি বাংলা সাহিত্যে এম.এ পাশ করেন।

¤ সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ :-
মাত্র ১৬ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জানুয়ারি তাঁর প্রথম গল্প 'ছন্দপতন' রবিবাসরীয় 'আনন্দবাজার' পত্রিকায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে তিনি সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ করেন।

¤ সাহিত্যকর্ম :-
১৯৫৮ সালে পিতৃবিয়োগের পর চলে আসেন কলকাতায়। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় 'হিন্দুস্থান স্টান্ডারড'-এ সাব-এডিটর হিসেবে। ১৯৬৫-তে যোগ দেন বিপণন ও বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত পেশায়। সেই সুত্রে দীর্ঘকাল যুক্ত ছিলেন 'ক্লারিয়ন-ম্যাকান অ্যাডভারটাইসিং সার্বিসেস', 'আনন্দবাজার সংস্থা' এবং 'দ্য স্টেটসম্যান'-এ। সাংবাদিকতার সূত্রে জগৎ ও জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন দিব্যেন্দু। তাঁর কথাসাহিত্যে এসেছে সে অভিজ্ঞতা।

¤ উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য :-
ছেচল্লিশের দাঙ্গা, নকশাল আন্দোলন, নাগরিক সভ্যতার জটিলতা দিব্যেন্দুর উপন্যাসে উঠে এসেছে।

¤ উপন্যাস :- তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হল :-
১) 'সিন্ধু বারোয়াঁ' (১৯৫৯)
২) 'সেদিন চৈত্রমাস' (১৯৬১)
৩) 'ভেবেছিলেম' (১৯৬৪)
৪) 'মধ্যরাত' (১৯৬৭)
৫) 'সন্ধিক্ষণ' (১৯৭১)
৬) 'সম্পর্ক' (১৯৭২)
৭) 'আমরা' (১৯৭৩)
৮) 'বৃষ্টির পরে' (১৯৭৪)
৯) 'প্রণয়চিহ্ন পরে' (১৯৭৪)
১০) 'বিনিদ্র' (১৯৭৬)
১১) 'চরিত্র' (১৯৭৬)
১২) 'একা' (১৯৭৭)
১৩) 'উড়ো চিঠি' (১৯৭৮)
১৪) 'অহঙ্কার' (১৯৭৯)
১৫) 'সবুজগন্ধ' (১৯৮০)
১৬) 'সহযোদ্ধা' (১৯৮৪)
১৭) 'ঘরবাড়ি' (১৯৮৪)
১৮) 'সোনালী জীবন' (১৯৮৬)
১৯) 'আড়াল' (১৯৮৬)
২০) 'ঢেউ' (১৯৮৭)
২১) 'স্বপ্নের ভিতর' (১৯৮৮)
২২) 'অন্তর্ধান' (১৯৮৮)
২৩) 'অবৈধ' (১৯৮৯)
২৪) 'সিনেমা যেমন হয়' (১৯৯০)
২৫) 'গৃহবন্দী' (১৯৯০)
২৬) 'দশটি উপন্যাস' (১৯৯০)
২৭) 'অনুসরণ' (১৯৯২)
২৮) 'সংঘাত' (১৯৯২)
২৯) 'ভোরের আড়াল' (১৯৯৩)
৩০) 'অনুভব' (১৯৯৪)
৩১) 'অচেনা আবেগ' (১৯৯৫)
৩২) 'সেকেন্ড হনিমুন' (১৯৯৭)
৩৩) 'মৌনমুখর' (১৯৯৮)
৩৪) 'মাত্র কয়েকদিন' (১৯৯৮)
৩৫) 'হঠাৎ একদিন' (২০০০)
৩৬) 'একদিন সারাদিন'
৩৭) 'সতর্কবার্তা'
৩৮) 'বহুদূর অভিমান'
৩৯) 'প্রথম পাঁচটি উপন্যাস'
৪০) 'মৌনমুখর পিবি'
৪১) 'যখন বৃষ্টি'

¤ ছোটগল্প সংকলন ও গল্পগ্রন্থ:- তাঁর কয়েকটি স্মরণীয় ছোটগল্প সংকলন ও গল্পগ্রন্থ হল :-
১) 'শীত গ্রীষ্মের স্মৃতি' (১৯৬০)
২) 'মুন্নির সঙ্গে কিছুক্ষণ' (১৯৭৩)
৩) 'প্রিয়জন' (১৯৭৭)
৪) 'মুকাভিনয়' (১৯৮২)
৫) 'চিলেকোঠা' (১৯৮৩)
৬) 'শুক্রে শনি' (১৯৮৪)
৭) 'আলমের নিজের বাড়ি' (১৯৮৪)
৮) 'রুথ ও অন্যান্য গল্প' (১৯৮৮)
৯) 'রাইন নদীর জল' (১৯৮৮)
১০) 'মুখগুলি' (১৯৮৮)
১১) 'রজত জয়ন্তী' (১৯৯২)
১২) 'দুই নারী' (১৯৯৩)
১৩) 'পুরুষ' (১৯৯৪)
১৪) 'হিন্দু' (১৯৯৪)
১৫) 'গ্রহণ পূর্ণিমা' (১৯৯৬)
১৬) 'সঙ্গ ও প্রসঙ্গ'
১৭) 'নামতে নামতে'
১৮) 'সাহিত্যের সেরা গল্প'
১৯) 'শ্রেষ্ঠ গল্প'
২০) 'গল্পসমগ্র ১ ও ২'

¤ তিনটি বিখ্যাত গল্প ও গল্পের বিষয়বস্তু :-
১) 'আবির্ভাব' : এটি একটি যন্ত্রণাময় সুখ-দুঃখের গল্প, তীব্রভাবে বিঁধে থাকবার গল্প।
২) 'প্রাক্তন প্রেমিক' : এটি একটি প্রেমের সুখ-দুঃখের স্মৃতি বিজড়িত রোমান্টিক গল্প।
৩) 'মুখগুলি' : এটি একটি পরিবারের যন্ত্রণাময় সুখ-দুঃখের গল্প।

¤ কাব্যগ্রন্থ :- তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হল :-
১) 'রাজার বাড়ি অনেক দূরে' (১৯৭০)
২) 'আহত অর্জুন' (১৯৭৩)
৩) 'কিছু স্মৃতি কিছু অপমান' (১৯৭৬)
৪) 'শব্দ চাই, দাও' (১৯৮০)
৫) 'নির্বাসন, নয় নির্বাচন' (১৯৮৬)
৬) 'শ্রেষ্ঠ কবিতা' (১৯৮৭)
৭) 'বড় ছেলে ছোট ছেলে' (১৯৯৩)
৮) 'অমৃত হরিণ' (১৯৯৭)

¤ নিজের কবিতা সম্পর্কিত মন্তব্য :-
নিজের কবিতা লেখা প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু জানিয়েছেন, --- 'এও বুঝি কবিতা শুধু শব্দ নিয়ে ; ছন্দ নিয়ে, লেখা নয়, ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়া নয়, শ্লোগান বা সঙ্ঘ সমিতি নয় - রক্ত, ক্লেদ, সুখে অস্পষ্ট ; কবিতা অত্যন্ত দূরের বিষয়।'

¤ কয়েকটি স্মরণীয় কবিতা :- তাঁর অনেকানেক কবিতার মধ্যে এই কয়েকটি স্মরণীয় কবিতার নাম না করলেই নয়। যে কবিতাগুলি সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তাঁর কয়েকটি স্মরণীয় কবিতার নাম ও কবিতার লাইনগুলি সাজিয়ে নীচে দেওয়া হল :-

১) *আত্মীয়*
    ~~~~~~
কবি - দিব্যেন্দু পালিত

কাল রাত্রে ঝড় এসে ঢুকেছিল পরিচিত ঘরে।
লোকেন ছিল না। তার জার্নালের পাতা কটি উড়ছে হাওয়ায় ;
সেলফে যে সব বই ব্যবহৃত, ব্যবহার হবে বলে এসেছিল --- সব ;
দেয়ালে যৌবন : তিনটি পেরেকের মাতন দেখেছে ;
চিবুকের কাছে এসে কম্পিক অধর যেন শঙ্কিত নীরব।

লোকেন ছিল না। তার স্বলিপি লেখা খাতাখানি
রবীন্দ্রনাথের দিকে চোখ চেয়ে খাঁ-খাঁ শূণ্যতাকে
ঢাকবার ব্যর্থতায় একবার শুধু কেঁপেছিল।
ধূর্ত টিরটিকি তার বান্ধবীর কাছাকাছি গিয়ে
জ্যোত্স্নার আলোয় কিছু ভয় পেয়ে দূরত্বে পালাল।
পর্দার কাঁপন দেখে মনে হয় যেন কেউ এই মাত্র আসবে এই ঘরে :
মহাশ্বেতা কিংবা আরো অনায়াস, পরিচিত নাম।

লোকেন ছিল না। তার এক পাটি জুতো,
কিংবা পাঞ্জাবির ঝুল একপাশে বেশা কাত হয়ে---
স্থির থেকে স্থিরতর হয়ে---
সময়ের কাছে গিয়ে অবশেষে নির্জনতা হল।

গায়ের চাদর ফেলে পা-টিপে পা-টিপে
মন্দিরের গদি থেকে একটি গঙীর পাপ আস্তে উঠে এল।


২) *অবনত বারুদ*
    ~~~~~~~~~
   কবি - দিব্যেন্দু পালিত

অবনত বারুদের ধাক্কা এখন আমাকে প্রতিহত করে।
নিজের মধ্যে আমি দেখতে পাই
নিজের আদল। আর পারম্পর্য রেখে
স্বস্তিহীন ঘুরতে ঘুরতে
ঘুরতে ঘুরতে
এক-একদিন চমকে উঠি।

এক-একদিন ঘুমের মধ্যে ভবিষ্যতের জন্য
মা আমার
সদ্য চাল-ধোয়া হেসেলের হাতে
চোখের জল মুছিয়ে দেন।

এক-দিন স্বপ্নের মধ্যে
আমার দুই জাগরুক হাত
ক্ষিপ্র প্রতিবেশীর মত আমার কাঁধ ধরে
ঝাঁকুনি দেয়।

নিজের মধ্যে আমি দেখতে পাই
নিজের আদল। আর স্থবিরতা থেকে
ঝলসানো বিদ্যুতের মত
উঠতে-উঠতে টের পাই---
আমার সমস্ত জুড়ে অবনত বারুদ ;
নিশ্বাসে দগ্ধ কার্তুজের গন্ধ, আর
ভয়ঙ্কর নৈঃশব্দ!
                             
                                                 
৩) *হাতে হাত*
    ~~~~~~~
 কবি - দিব্যেন্দু পালিত

হাতে হাত, মুখে ন্যুব্জ বুলি---
নড়ে ওঠে চম্পক অঙ্গুলি।
নড়ে ওঠে চোখের কাজল।

দেখা যায় বহুদূর তল।

তল নাকি জল, শুধু জল!
ক্রমশ বিচ্ছিন্ন ছায়াগুলি।

হাতে হাত! মুখে স্তব্ধ বুলি---
গলে যায় চম্পক অঙ্গুলি,
ধুয়ে যায় চোখের কাজল।


৪) *বড় ছেলে ছোট ছেলে*
    ~~~~~~~~~~~~~
কবি - দিব্যেন্দু পালিত

দেয়ালে আমার বড় ছেলের ছবি
বছরের পর বছর ধ’রে দেখিয়ে যাচ্ছে
সেই একই
একুশ বছরের হাসি।

দেখতে দেখতে আমার ছোট ছেলেও
পেরিয়ে গেল ওই বয়স।
তার চুল আঁচড়ানোর চিরুনিতে
তার জামায়
তার হাটাচলা আর কথা বলার ভঙ্গিতে
তার নিরুদ্বেগ হাসি আর
মুঠোয়-ধরা ক্যালকুলেটরের অঙ্কে
আমি দেখতে পাই
সদর্পে এগিয়ে আসছে
একবিংশ শতাব্দী।

মাঝখানে স্তব্ধতা সম্পর্কে
আমার কিছুই জানা নেই।

আমি জানি না কেন আমার
নিঃশব্দ ভরদুপুরে
কড়া নড়ে ওঠে রাতের দরজায়!
কেন আমার নিঃশ্বাস
যখন-তখন উথলে ওঠে
অন্ধকার আর বারুদের গন্ধে,
আর
আকাশ চিরচে-চিরতে মিলিয়ে যাওয়া
পর পর বিস্ফোরণের শব্দে!

আমি জানি না কেন আমার
ছোট ছেলের বাড়ি ফেরা
আমাকে মনে করিয়ে দেয়
আমাদের সচকিত জেগে ওঠা ;
আর
সেই ব্যস্ত কণ্ঠস্বর,
‘মা, কিছু খেতে দাও,
এক্ষুনি আবার যেতে হবে।
যদি না ফিরি, ভেবো না---
দেখো, ঠিকই ফিরে আসবো।’

মাঝখানের স্তব্ধতা আমাকে এর বেশী দেয় না।

আমার ছোট ছেলে জানে
কার হাত ধ’রে সে
এগিয়ে যাচ্ছে কোনদিকে।
তার খিদে পায় না,
তার রাতগুলোও
সাজানো মঞ্চের মতো উজ্জ্বল হয়ে থাকে
বোতাম-টেপা আলোয়।

এখন আমি অনেক বেশী নির্ভয় ;
এখন আমি অনের কিছুই ভুলে গেছি।

রাতের অবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তার মধ্যে
শুধু ওই প্রতিশ্রুতিই
হঠাৎ-হঠাৎ জাগিয়ে দেয় আমাকে---
দেখো, ঠিকই ফিরে আসবো।


৫) *উড়ো চিঠি*
    ~~~~~~~
কবি - দিব্যেন্দু পালিত

আসবেই---
একদিন না একদিন---
ঘুমচোখ কচলে নিয়ে দেখবে হঠাৎ
সোনালি রোদ্দুর এসে উড়ে এসে
পড়েছে মেঝেয়!
হ'তে পারে দুঃখ তার সর্বাঙ্গে জড়ানো
হ'তে পারে শোক---
বিদ্ধ করার আগে ঘাতকের অকম্পিত ছুরি।
হ'তে পারে সুখ এক
কাপাস তুলোর ঢঙে---এলোমেলো---
আনন্দের ব্যাখ্যা নেই কোনো।
যদি দুঃখ হয় তাকে একা রেখো বুকে।
যদি সুখ হয় তা সুগন্ধ ছড়িয়ে দিও---যেন
বেড়াতে এসেছো একা ভোরবেলা অচেনা বাগানে।
শুধু অনুভব কোরো।
যে পাঠালো তার কথা জিজ্ঞেস কোরো না।


৬) *অপেক্ষা*
    ~~~~~~
কবি - দিব্যেন্দু পালিত

অন্যমনে একদিন ভালোবাসা কড়া নেড়ে যাবে;
অপেক্ষায় থেকো।
পদশব্দে মনে হবে বাতাসের নিষ্ঠুর শাসানি
বহুদূরে শাণ দিচ্ছে ভয়ানক কৌতুকের থেকে।
তোমার দু’পাশে রাস্তা, সাজানো হর্ম্যের
অলিন্দ থম্কে আছে, চারিদিকে আলোর চাতুরি
স্বপ্নের ভিতর কিংবা মৃত্যুর ভিতর কিংবা
জাগরণে, সূর্যের ভিতর
একাকী, নিঃসঙ্গ, এই আত্মঘাতী শোকের ভিতর
থেক, তবু অপেক্ষায় থেকো।

¤ ইংরেজি গ্রন্থ :- তিনি হাতে গোনা কয়েকটিমাত্র ইংরেজি গ্রন্থ লিখেছেন। তাঁর কয়েকটি ইংরেজি গ্রন্থ হল :-
১) 'The Faces and Other Stories' [গল্প]
২) 'The Golden Life's (২০০৪) [উপন্যাস]
৩) 'Comrade in Arms : Dibyendu Palit' (২০০৪)
[Bibliography]

¤ উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রায়িত বই :-
১) 'মুকাভিনয়' (১৯৮২) [ছোটগল্প সংকলন] : ২০০৫ সালে তাঁর এই ছোটগল্পটিকে চলচ্চিত্রে রূপ দান করেছেন শ্যামানন্দ জালান 'ঈশ্বর মিমে' / 'ঈশ্বর মাইম' নামে। এই 'মুকাভিনয়' নামে ইংরেজি সাহিত্যে বিজয় তেন্ডুলকরের নাটকও আছে।
২) 'নামতে নামতে' [ছোটগল্প সংকলন]।

¤ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি :-
১) ১৯৫৫ সাল থেকে তিনি উপন্যাস, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি লিখছেন।
২) বাংলা ও হিন্দি চলচিত্র, দূরদর্শন ও বেতারে রূপায়িত হয়েছে তাঁর অনেকগুলি কাহিনি।

¤ পুরস্কার ও সম্মাননা :- তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ও সম্মাননা হল :-
১) 'আনন্দ পুরস্কার' (১৯৮৪)।
২) 'ভুয়ালকা পুরস্কার' (১৯৮৬)।
৩) 'বঙ্কিম স্মৃতি পুরস্কার' (১৯৯০) : 'ঢেউ' (১৯৮৭) উপন্যাসের জন্য।
৪) 'সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার' (১৯৯৮) : 'অনুভব' (১৯৯৪) উপন্যাসের জন্য।

                         তিনি এখনও জীবিত রয়েছেন। আর লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন না। তাঁর বর্তমান বয়স ৭৯ বছর।


¤ তথ্যঋণ :- 
১) 'আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস' --- শ্রীতপন কুমার চট্টোপাধ্যায়।
২) 'বাংলা সাহিত্যসঙ্গী' (২০০৩) - ড. শিশিরকুমার দাস।
৩) ইন্টারনেটের কয়েকটি পেজ।

★আলোচক : সৌম্য মাইতি 
(ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র, কিংসটন কলেজ, মেছেদা, পূর্ব মেদিনীপুর)

★অ্যাডমিন -- সাকসেস বাংলা★


Share this