শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ভিন্নরকম কাব্যগ্রন্থ



শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ভিন্নরকম কাব্যগ্রন্থ 
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
(জন্ম : ২৫/২৬/২৭ নভেম্বর, ১৯৩৩; মতান্তরে ২৫     নভেম্বর, ১৯৩৪ --- মৃত্যু : ২৩ মার্চ, ১৯৯৫)

★★ যৌথ কাব্যগ্রন্থ :-
        ~~~~
¤ ১) 'তিন তরঙ্গ' (ডিসেম্বর, ১৯৬৫)  :-

♦প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- সাহিত্যিক মলয়শংকর দাশগুপ্ত।
♦তথ্য :- এই কাব্যগ্রন্থে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের চারটি নাতিক্ষুদ্র কবিতা আছে। সহকবিরা হলেন মলয়শংকর দাশগুপ্ত, সুভাষ মুখোপাধ্যায় ও অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত।

¤ ২) 'এখন রাখাল বাণীপ্রিয়র জন্য শাশ্বত স্বীকারোক্তি' (সেপ্টেম্বর, ১৯৭১) :-

♣প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- বিশ্বজ্ঞান পৃথ্বীশ গঙ্গোপাধ্যায়। 
♣উৎসর্গ :- 'কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতির উদ্দেশ্যে'।

¤ ৩) 'যুগলবন্দী' (আগস্ট, ১৯৭২) :- 

♥প্রকাশনা :- "বেঙ্গল পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড" প্রকাশনী। 
♥প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- গৌতম রায়।
♥তথ্য :- এটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুগ্মভাবে রচিত কাব্যগ্রন্থ। 
♥উৎসর্গ :- 'দুজনের প্রিয়বন্ধু সুনন্দ গুহঠাকুরতাকে'।

¤ ৪) 'সুন্দর রহস্যময়' (সেপ্টেম্বর, ১৯৮০) :-

♠প্রকাশনী :- "আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড" প্রকাশনী। 
♠তথ্য :- এটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের নীরদ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে একত্রে রচিত কাব্যগ্রন্থ। 
♠উৎসর্গ :- 'কমলকুমার মজুমদারের স্মৃতির প্রতি'।

¤ ৫) '১০০ বছরের শ্রেষ্ঠ নিগ্রো কবিতা' (নভেম্বর, ১৯৮০) :-

♦প্রকাশনী :- "দে'জ পাবলিশিং"।
♦তথ্য :- এটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মুকুল গুহ-র সঙ্গে যুগ্মভাবে অনূদিত কাব্যগ্রন্থ। 
♦উৎসর্গ :- 'তরুণতম আফ্রো-আমেরিকান কবিদের প্রতি উৎসর্গীকৃত - সবিনয়ে, পরম ভালোবাসায়'।

★★ কাব্য-সংকলন গ্রন্থ :-
        ~~~~~
¤ ১) 'অগ্রন্থিত শক্তি চট্টোপাধ্যায়' (জানুয়ারি, ১৯৯০) :- 

♣প্রকাশনা :- "প্রতিক্ষণ পাবলিকেশনস প্রা. লি." প্রকাশনী।
♣প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- প্রকাশ কর্মকার।

★★ অনূদিত কাব্যগ্রন্থ :-
        ~~~~
¤ ১) 'ওমর খৈয়ামের রুবাই' (এপ্রিল, ১৯৬৯) :- 

♥প্রকাশনা :- "বিশ্ববাণী" প্রকাশনী। 
♥প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- অমর পাল। 
♥তথ্য :- এটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অনূদিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ। 
♥উৎসর্গ :- 'পদ্যমাখা পুস্তিকাটির সঙ্গে তুমি সই রুচিরা : 'রুচিরা শ্যাম প্রীতিভাজনেষু'।

¤ ২) 'কালিদাসের মেঘদূত' (ডিসেম্বর, ১৯৭২) :-

♠প্রকাশনা :- "বিশ্ববাণী" প্রকাশনী। 
♠প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- খালেদ চৌধুরী।
♠তথ্য :- এটি একটি পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ। 
♠উৎসর্গ :- 'বিজয়া মুখোপাধ্যায়, শরৎকুমার মুখোপাধ্যায় প্রীতিভাজনেষু'।

¤ ৩) 'গালিবের কবিতা' (জানুয়ারি, ১৯৭৫) :-

♦প্রকাশনা :- "বিশ্ববাণী" প্রকাশনী।
♦প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- নীতীশ মুখোপাধ্যায়।
♦তথ্য :- এটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের আয়ান রশীদ খানের সঙ্গে যুগ্মভাবে অনূদিত কাব্যগ্রন্থ। 
উৎসর্গ :- 'রথীনদাকে' (রথীন সেনগুপ্ত)।

¤ ৪) 'পাবলো নেরুদার প্রেমের কবিতা' (জানুয়ারি, ১৯৭৬) :- 

♣প্রকাশনা :- "দে'জ পাবলিশিং"।
♣প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- পূর্ণেন্দু পত্রী।
♣উৎসর্গ :- 'গণেশদাকে' (দ্বিতীয় পর্যায়ের "কৃত্তিবাস" পত্রিকার প্রকাশক গণেশচন্দ্র দে)।

¤ ৫) 'কুমারসম্ভব কাব্য' (মে, ১৯৭৬) :- 

♥প্রকাশনা :- "বিশ্ববাণী" প্রকাশনী।
♥প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- গৌতম রায় ।
♥উৎসর্গ :- 'শ্রী পাঁচুগোপাল ভট্টাচার্য শ্রদ্ধাস্পদেষু'।

¤ ৬) 'হাইনের প্রেমের কবিতা' (জুন, ১৯৭৯) :-

♠প্রকাশনা :- "দে'জ পাবলিশিং"।
♠প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- গৌতম রায়। 
♠উৎসর্গ :- 'বিক্রমন নায়ার বন্ধুবরেষু'।

¤ ৭) 'লোরকার কবিতা' (অক্টোবর, ১৯৭৯) :- 

♦প্রকাশনা :- "দে'জ পাবলিশিং"।
♦প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- গৌতম রায় ।
♦তথ্য :- এটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অমিতাভ দাশগুপ্ত-র সঙ্গে যুগ্মভাবে অনূদিত কাব্যগ্রন্থ। 
♦উৎসর্গ :- 'বাচ্চুদাকে' (সুরজিৎ বসু)।

¤ ৮) 'কহলীল জিব্রানের শ্রেষ্ঠ কবিতা' (সেপ্টেম্বর, ১৯৮১) :-

♣প্রকাশনা :- "করুণা" প্রকাশনী ।
♣প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- খালেদ চৌধুরী।
♣তথ্য :- এটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মুকুল গুহ-র সঙ্গে যুগ্মভাবে অনূদিত কাব্যগ্রন্থ।

¤ ৯) 'প্রীতীশ নন্দীর কবিতা' (নভেম্বর, ১৯৮১) :- 

♥প্রকাশনা :- "আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড" প্রকাশনী। 
♥প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- অমিয় ভট্টাচার্য।
♥উৎসর্গ :- 'সুভাষ মুখোপাধ্যায় শ্রদ্ধাস্পদেষু'।

¤ ১০) 'মায়াকোভ্‌স্কির শ্রেষ্ঠ কবিতা' (ডিসেম্বর, ১৯৮১) :-

♠প্রকাশনা :- "দে'জ পাবলিশিং"।
♠প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- সমরজিৎ।
♠তথ্য :- এটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সিদ্ধেশ্বর সেন ও মুকুল গুহ-র সঙ্গে যৌথভাবে অনূদিত কাব্যগ্রন্থ। উৎসর্গ :- 'অগ্রজ কবি-অনুবাদক সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত শতবার্ষিকী স্মরণে'।

¤ ১১) 'ডুইনো এলেজি' (এপ্রিল, ১৯৮২) :-

♦প্রকাশনা :- "দে'জ পাবলিশিং"।
♦প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- সুনীল শীল।
♦তথ্য :- এটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মুকুল গুহ-র সঙ্গে যুগ্মভাবে অনূদিত কাব্যগ্রন্থ। 
♦উৎসর্গ :- 'বুদ্ধদেব বসু চিরস্মরণীয়েষু'।

¤ ১২) 'পাবলো নেরুদার শ্রেষ্ঠ কবিতা' (এপ্রিল, ১৯৮8) :- 

♣প্রকাশনা :- "দে'জ পাবলিশিং"।
♣প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- অজয় গুপ্ত।
♣উৎসর্গ :- 'দুলুকে' (পৃথ্বীশ গঙ্গোপাধ্যায়)।

¤ ১৩) 'আমেরিকান ইণ্ডিয়ান শ্রেষ্ঠ কবিতা' (এপ্রিল, ১৯৯২) :- 

♥প্রকাশনা :- "দে'জ পাবলিশিং"।
♥প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- অজয় গুপ্ত।
♥উৎসর্গ: 'হয়ত ওখানেই আশা/শেষ আশা/আমাদের নিত্য পরম্পরা/বাঁচার/অনন্ত মহিমা অফুরন্ত/ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য/নেত্রগ্রাহ্য, প্রাণস্পর্শী/অনন্ত সম্প।'

♠ তথ্যসূত্র :- 
১) "শক্তি চট্টোপাধ্যায়-এর গ্রন্থপঞ্জী / ধর্মে আছো জিরাফেও আছো" --- সমীর সেনগুপ্ত (সম্পাদক)। 

#ধন্যবাদান্তেসৌম্যমাইতি
# অ্যাডমিন
#Success_Bangla
#তারিখ :- ০২•০৮•২০১৮

একই সালে বিশিষ্ট লেখকদের জন্ম-মৃত্যু



একই সালে বিশিষ্ট লেখকদের জন্ম-মৃত্যু
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

★১৫৫৮ : সনাতন গোস্বামীর মৃত্যু / রূপ গোস্বামীর মৃত্যু।

★১৫৬৪ : গ্যালিলিও গ্যালিলিইয়ের জন্ম / উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের জন্ম।

★১৮২০ : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম / কার্তীকেয়চন্দ্র রায়ের জন্ম / অক্ষয়কুমার দত্তের জন্ম।

★১৮৩৮ : সুরেন্দ্রনাথ মজুমদারের জন্ম / বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম।

★১৮৬০ : আন্তন চেখভের জন্ম / অক্ষয়কুমার বড়ালের জন্ম / মোহাম্মদ নজিবর রহমান সাহিত্যরত্নের জন্ম।

★১৮৬১ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম / কাদম্বিনী বসুর জন্ম / প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্ম / নীলরতন সরকারের জন্ম।

★১৮৬৪ : রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর জন্ম / আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম / কামিনী রায়ের জন্ম।

★১৮৮০ : রাজশেখর বসুর জন্ম / মুন্সি প্রেমচন্দের জন্ম / বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেনের জন্ম।

★১৮৮২ : নরেশচন্দ্র সেনগুপ্তের জন্ম / সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম।

★১৮৮৫ : মহম্মদ শহীদুল্লাহের জন্ম / কার্তীকেয়চন্দ্র রায়ের মৃত্যু।

★১৮৮৬ : অক্ষয়কুমার দত্তের মৃত্যু / অজিতকুমার চক্রবর্তীর জন্ম।

★১৮৮৭ : যতীন্দ্রনাদ সেনগুপ্তের জন্ম / সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের জন্ম / বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম।

★১৮৮৮ : রমেশচন্দ্র মজুমদারের জন্ম / মোহিতলাল মজুমদারের জন্ম / হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম / টি. এস. এলিয়টের জন্ম।

★১৮৮৯ : শিশির কুমার ভাদুড়ীর জন্ম / জওহরলাল নেহরুর জন্ম / কালিদাস রায়ের জন্ম।

★১৮৯০ : সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম / এস. (শেখ) ওয়াজেদ আলীর জন্ম।

★১৮৯৩ : মেঘনাদ সাহার জন্ম / ধীরেন গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম / গি দ্য মপাসাঁর মৃত্যু।

★১৮৯৪ : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম / সত্যেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম।

★১৮৯৭ : তুলসী লাহিড়ীর জন্ম / সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম।

★১৮৯৮ : তারা‌শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম / বের্টোল্ট ব্রেখটের জন্ম / হরিনাথ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম।

★১৮৯৯ : জীবনানন্দ দাশের জন্ম / কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম / শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম / বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম / আর্নেস্ট মিলার হেমিংওয়ের জন্ম / মন্মথ রায়ের জন্ম / সুকুমার সেনের জন্ম / বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু।

★১৯০২ : স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যু / ল্যাংস্টন হিউজের জন্ম / গোপাল হালদারের জন্ম।

★১৯০৩ : শিবরাম চক্রবর্তীর জন্ম / রাধারাণী দেবীর জন্ম / অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের জন্ম / বিজয় সরকারের জন্ম / হীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম।

★১৯০৪ : আন্তন চেখভের মৃত্যু / প্রেমেন্দ্র মিত্রের জন্ম / সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম / পাবলো নেরুদার জন্ম / জসীমউদ্দীনের জন্ম।

★১৯০৭ : বিধায়ক ভট্টাচার্যের জন্ম / সত্যেন সেনের জন্ম।

★১৯০৮ : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম / বুদ্ধদেব বসুর জন্ম / লীলা মজুমদারের জন্ম।

★১৯০৯ : সুবোধ ঘোষের জন্ম / আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম / বিষ্ণু দের জন্ম / অরুণ মিত্রের জন্ম।

★১৯১০ : ‌লিও টলস্টয়ের মৃত্যু / নলিনী দাসের জন্ম।

★১৯১২ : গিরিশচন্দ্র ঘোষের মৃত্যু / মীর মশাররফ হোসেনের মৃত্যু।

★১৯১৩ : দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু / দিনেশ দাসের জন্ম।

★১৯১৭ : বিজন ভট্টাচার্যের জন্ম / অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরীর মৃত্যু / বিনয় ঘোষের জন্ম / শওকত ওসমানের জন্ম / নবেন্দু ঘোষের জন্ম।

★১৯১৮ : নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম / অমীয়ভূষণ মজুমদারের জন্ম / অজিতকুমার চক্রবর্তীর জন্ম।

★১৯১৯ : মণীন্দ্র রায়ের জন্ম / সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম / শিবনাথ শাস্ত্রীর মৃত্যু / অমৃতা কাউর প্রীতমের জন্ম / অক্ষয়কুমার বড়ালের মৃত্যু / রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর মৃত্যু / এডমন্ড হিলারির জন্ম।

★১৯২০ : সন্তোষকুমার ঘোষের জন্ম / বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম / মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম।

★১৯২২ : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহের জন্ম / সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের মৃত্যু / আনন্দগোপাল সেনগুপ্তের জন্ম / রমাপদ চৌধুরীর জন্ম।

★১৯২৩ : কাদম্বিনী বসুর মৃত্যু / গৌরকিশোর ঘোষের জন্ম / মৃণাল সেনের জন্ম / সলিল চৌধুরীর জন্ম / মোহাম্মদ নজিবর রহমান সাহিত্যরত্নের মৃত্যু।

★১৯২৪ : সূর্যেন্দুবিকাশ করমহাপাত্রের জন্ম / সমরেশ বসুর জন্ম / তপন সিংহের জন্ম / আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু।

★১৯২৫ : বাদল সরকারের জন্ম / জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু / ঋত্বিক কুমার ঘটকের জন্ম।

★১৯২৬ : মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম / সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্ম / শৈলেশকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম / কাজী ইমদাদুল হকের মৃত্যু।

★১৯২৮ : বিজয় ধনপান্ত তেন্ডুলকরের জন্ম / অজয় রায়ের জন্ম।

★১৯৩০ : আইয়াপ্পা পানিকরের জন্ম / সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের জন্ম।

★১৯৩১ : হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মৃত্যু / সুন্দর রামস্বামীর জন্ম / কবিতা সিংহের জন্ম।

★১৯৩২ : শঙ্খ ঘোষের জন্ম / স্বর্ণকুমারী দেবীর মৃত্যু / বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেনের মৃত্যু / প্রদ্যুস্ন ভট্টাচার্যের জন্ম / অমমিয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের জন্ম।

★১৯৩৩ : শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম / অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম / সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম / প্রণবেন্দু দাশগুপ্তের জন্ম / কামিনী রায়ের মৃত্যু / মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের জন্ম / শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম।

★১৯৩৪ : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম / অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম / প্রফুল্ল রায়ের জন্ম / মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম / সাধনা মুখোপাধ্যায়ের জন্ম / বিনয় মজুমদারের জন্ম।

★১৯৩৫ : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম / সৈয়দ শামসুল হকের জন্ম।

★১৯৩৬ : মুন্সি প্রেমচন্দের মৃত্যু / তারাপদ রায়ের জন্ম / উজ্জ্বলকুমার মজুমদারের জন্ম।

★১৯৪২ : শহিদ কাদরির জন্ম / দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম / দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম।

★১৯৫১ : অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু / এস (শেখ) ওয়াজেদ আলীর মৃত্যু / অপূর্ব দত্তের জন্ম / স্বপ্নময় চক্রবর্তীর জন্ম।

★১৯৫২ : মোহিতলাল মজুমদারের মৃত্যু / সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের মৃত্যু।

★১৯৫৪ : জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু / যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের মৃত্যু / জয় গোস্বামীর জন্ম / বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু।

★১৯৫৬ : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু / বের্টোল্ট ব্রেখটের মৃত্যু / মেঘনাদ সাহার মৃত্যু।

★১৯৫৯ : শিশির কুমার ভাদুড়ীর মৃত্যু / তুলসী লাহিড়ীর মৃত্যু।

★১৯৬১ : সচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের মৃত্যু / সুকুমার সেনের মৃত্যু / আর্নেস্ট মিলার হেমিংওয়ের মৃত্যু।

★১৯৭০ : শরদিন্দু  বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু / নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু।

★১৯৭১ : তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু / সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহের মৃত্যু।

★১৯৭৪ : সত্যেন্দ্রনাথ বসুর মৃত্যু / সৈয়দ মুজতবা আলীর মৃত্যু / বুদ্ধদেব বসুর মৃত্যু।

★১৯৭৬ : জসীমউদ্দীনের মৃত্যু / অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের মৃত্যু / ঋত্বিক কুমার ঘটকের মৃত্যু / কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যু।

★১৯৭৮ : বিজন ভট্টাচার্যের মৃত্যু / ধীরেন গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু।

★১৯৮০ : সুবোধ ঘোষের মৃত্যু / শিবরাম চক্রবর্তীর মৃত্যু / রমেশচন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু / বিনয় ঘোষের মৃত্যু।

★১৯৮২ : নলিনী দাসের মৃত্যু / বিষ্ণু দের মৃত্যু।

★১৯৮৫ : সন্তোষকুমার ঘোষের মৃত্যু / দিনেশ দাসের মৃত্যু / বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু / বিজয় সরকারের মৃত্যু।

★১৯৮৭ : সমর সেনের মৃত্যু / বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু / মনোজ বসুর মৃত্যু।

★১৯৮৮ : প্রেমেন্দ্র মিত্রের মৃত্যু / মন্মথ রায়ের মৃত্যু / সমরেশ বসুর মৃত্যু।

★১৯৯১ : গোপীনাথ মোহান্তীর মৃত্যু / বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মৃত্যু।

★১৯৯৩ : উৎপল দত্তের মৃত্যু / গোপাল হালদারের মৃত্যু।

★১৯৯৫ : শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু / সলিল চৌধুরীর মৃত্যু / আশাপূর্ণা দেবীর মৃত্যু / হীরেন্দ্রনাথ দত্তের মৃত্যু।

★১৯৯৭ : শম্ভু মিত্রের মৃত্যু / আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াসের মৃত্যু।

★২০০০ : গৌরকিশোর ঘোষের মৃত্যু / অরুণ মিত্রের মৃত্যু।

★২০০৩ : সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু / বিমল করের মৃত্যু / মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু।

★২০০৫ : সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু / অমৃতা কাউর প্রীতমের মৃত্যু / সুন্দর রামস্বামীর মৃত্যু।

★২০০৬ : আইয়াপ্পা পানিকরের মৃত্যু / শামসুর রহমানের মৃত্যু।

★২০০৭ : লীলা মজুমদারের মৃত্যু / সূর্যেন্দুবিকাশ করমহাপাত্রের মৃত্যু / প্রণবেন্দু দাশগুপ্তের মৃত্যু / তারাপদ রায়ের মৃত্যু / নবেন্দু ঘোষের মৃত্যু।

★২০০৮ : এডমন্ড হিলারির মৃত্যু / বিজয় ধনপান্ত তেন্ডুলকরের মৃত্যু / আবদুল্লাহ আল মামুনের মৃত্যু।

★২০১২ : সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের মৃত্যু / সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু / মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু।

★২০১৬ : শচীন দাসের মৃত্যু / অমিয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু / দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু / আনন্দগোপাল সেনগুপ্তের মৃত্যু / মহাশ্বেতা দেবীর মৃত্যু / শহিদ কাদরির মৃত্যু / সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যু / প্রদ্যুস্ন ভট্টাচার্যের মৃত্যু / অপূর্ব দত্তের মৃত্যু / অজয় রায়ের মৃত্যু / শৈলেশকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু / দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু / অলোক সরকারের মৃত্যু / অরুণকুমার বসুর মৃত্যু / উজ্জ্বলকুমার মজুমদারের মৃত্যু।

★২০১৭ : তরুণ সান্যালের মৃত্যু / হীরেন চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু।

★২০১৮ : মদন ভড়ের মৃত্যু / ভি. এস. নইপালের মৃত্যু / রমাপদ চৌধুরীর মৃত্যু / আশরাফ আহমেদের মৃত্যু / অটলবিহারী বাজপায়ীর মৃত্যু।

¤ এখানে কিছু জন বিশেষ ব্যক্তির নাম আছে, যাঁরা হয়তো লেখক নয়। কিন্তু সাহিত্যেজগতের সঙ্গে এনারা বিশেষভাবে যুক্ত বা সাহিত্যজগতে এনারা বিশেষভাবে পরিচিত। ¤

#আলোচকসৌম্যমাইতি
# অ্যাডমিন
#Success_Bangla
#Date :- ২৬•০৮•২০১৮

বাংলা সাহিত্যের ত্রয়ী উপন্যাস



♣ বাংলা সাহিত্যের ত্রয়ী উপন্যাস ♣
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

♥১) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় - "পথের পাঁচালি" (১৯২৯), "অপরাজিত" (১ম খণ্ড ও ২য় খণ্ড, ১৯৩২), "অপুর সংসার"।

♥২) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় - "সেই সময়" (১ম খণ্ড ১৯৮১, ২য় খণ্ড ১৯৮২), "পূর্ব-পশ্চিম" (১ম খণ্ড ১৯৮৮, ২য় খণ্ড ১৯৮৯),  "প্রথম আলো" (১ম খণ্ড ১৯৯৬, ২য় খণ্ড ১৯৯৭)।

♥৩) সমরেশ মজুমদার - "উত্তরাধিকার" (১৯৭৯), "কালবেলা" ("দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ১৯৮১-৮২ সালে কিন্তু গ্রন্থাগারে প্রকাশিত হয় ১৯৮৩ সালে), "কালপুরুষ" (১৯৮৫)।

♥৪) বিমল কর - "ছোট ঘর" (১৯৫৬), "ছোট মন" (১৯৫৮), "খোলা জানলা" (১৯৬২)। এদেরকে একত্রে "দেওয়াল" উপন্যাস বলা হয়।

♠৫) বিমল মিত্র - "সাহেব বিবি গোলাম" (১৯৫৩),  "কড়ি দিয়ে কিনলাম" (১৯৬২), "একক দশক শতক" (১৯৬৩)।

♠৬) তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় - "ধাত্রীদেবতা" (১৯৩৯),  "গণদেবতা" (১৯৪২), "পঞ্চগ্রাম" (১৯৪২)।

♠৭) আশাপূর্ণা দেবী - "প্রথম প্রতিশ্রুতি" (১৯৬৪), "সুবর্ণলতা" (১৯৬৬), "বকুলকথা" (১৯৭৩)।

♠৮) অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় - "নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে" (১৯৭২), "অলৌকিক জলযান" (১৯৭৩), "ঈশ্বরের বাগান" (২০০০)।

♦৯) ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় - "অন্তঃশীলা" (১৯৩৫), "আবর্ত" (১৯৩৭), "মোহনা" (১৯৪৩)।

♦১০) প্রেমেন্দ্রনাথ মিত্র - "পাঁক" (১৯২৬), "কুয়াশা" (১৯৩০),  "মিছিল" (১৯৩৩)।

♦১১) গোপাল হালদার - "একদা" (১৯৩৯), "অন্যদিন" (১৯৫০), "আর একদিন" (১৯৫১)। এই উপন্যাস গুলিকে একত্রে "ত্রিদিবা" (১৯৭৮) বলা হয়।

♦১২) গোপাল হালদার - "পঞ্চাশের পথে" (১৯৪৪), "তেরশ পঞ্চাশ" (১৯৪৫), "ঊনপঞ্চাশী" (১৯৪৬)।

♣১৩) প্রমথনাথ বিশী - "পদ্মা" (১৯৩৫/১৩৪২), "জোড়াদিঘীর চৌধুরীপরিবার" (১৩৫২ বঙ্গাব্দ), "কোপাবতী" (১৩৫৩ বঙ্গাব্দ)।

♣১৪) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় - "আনন্দমঠ" (১৮৮২), "দেবী চৌধুরানী" (১৮৮৪), "সীতারাম" (১৮৮৭)।

♣১৫) সরোজ কুমার রায়চৌধুরী - "ময়ুরাক্ষী" (১৯৩৬/১৯৩৭), "গৃহকোপতী" (১৯৩৭), "সোমলতা" (১৯৩৮)। এই উপন্যাস গুলিকে একত্রে "নূতন ফসল" বলা হয়।

♣১৬) গজেন্দ্রকুমার মিত্র - "কলকাতার কাছেই" (১৯৫৭), "উপকণ্ঠে" (১৯৬১), "পৌষফাগুনের পালা" (১৯৬৪)।

♥১৭) প্রফুল্ল রায় - "কেয়াপাতার নৌকো" (২০০৩), "শতধারায় বয়েযায়" (২০০৮), "উত্তাল সময়ের ইতিকথা" (২০১৪)।

♥১৮) বুদ্ধদেব বসু - "প্রথম শ্রবণ করুন", "রঙিন পথে", "যবনিকা কম্পমান"।

♥১৯) চিত্তরঞ্জন মাইতি - "নির্জনে খেলা" (পৌষ, ১৩৮২ বঙ্গাব্দ), "নির্ঝরের গান" (মাঘ, ১৩৯৩ বঙ্গাব্দ), "তিন্নির রোদ আর বৃষ্টি" (১৪০২ বঙ্গাব্দ/জানুয়ারি, ১৯৯৬)।

♥২০) দিলীপকুমার রায় - "মনের পরশ" (১৯২৬), "রঙের পরশ" (১৯৩৪), "বহুবল্লভ" (১৯৩৫)।

♠২১) মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় (শঙ্কর) - "জন অরণ্য" (১৯৭১), "সীমাবদ্ধ" (১৯৭১), "আশা-আকাঙ্খা"।

♠২২) মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় (শঙ্কর) - "স্থানিয় সংবাদ", "সুবর্ন সুযোগ", "বোধদয়"।

♠২৩) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় - "পুতুলনাচের ইতিকথা" (১৯৩৬), "সহরবাসের ইতিকথা" (১৯৪৬), "ইতিকথার পরের কথা" (১৯৫২)।

♠২৪) সতীনাথ ভাদুড়ী - "অচিন রাগিণী" (১৯৫৪), "সংকট" (১৯৫৭), "দিকভ্রান্ত" (১৯৬৬)।

♦২৫) হুমায়ুন আহমেদ - "জোছ্না ও জননীর গল্প" (২০০৪), "মধ্যাহ্ন" (২য় খণ্ড ২০০৮), "মাতাল হাওয়া" (২০১০)।

♦২৬) শওকত আলী - "দক্ষিণায়নের দিন" (১৯৮৫), "কূলায় কালস্রোত" (১৯৮৬), "পূর্বরাত্রি পূর্বদিন" (১৯৮৬)।

♦২৭) আবু জাফর শামসুদ্দীন - "ভাওয়ালগড়ের উপাখ্যান" (১৯৬৩), "পদ্মা মেঘনা যমুনা" (১৯৭৪), "সংকর সংকীর্তন" (১৯৮০)।

♦২৮) শরীফুল হাসান - "বাতিঘর সাম্ভালা", "সাম্ভালা দ্বিতীয় যাত্রা", "সাম্ভালা শেষ যাত্রা"। এদেরকে একত্রে "সাম্ভালা ট্রিলজি" উপন্যাস বলা হয়।

♣২৯) ইমদাদুল হক মিলন - "নূরজাহান (১ম খণ্ড)", "নূরজাহান (২য় খণ্ড)", "নূরজাহান (৩য় খণ্ড)"। এদেরকে একত্রে "নূরজাহান ট্রিলজি" উপন্যাস বলা হয়।

         ♥ বাংলা সাহিত্যের ত্রয়ী মহাকাব্য ♥
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

♣১) নবীনচন্দ্র সেন - "রৈবতক" (১৮৮৬), "কুরুক্ষেত্র" (১৮৯৩), "প্রভাস" (১৮৯৬)।

#ধন্যবাদান্তেসৌম্যমাইতি
# অ্যাডমিন
#Success_Bangla
#তারিখ :- ৩১•০৮•২০১৮

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সমস্ত উপন্যাস



♠ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সমস্ত উপন্যাস ♠
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

¤ ১) 'কুয়োতলা' (১৯৬১) :-

♦প্রকাশনা :- 'সৃজনী' প্রকাশনী। 
♦প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- পৃথ্বীশ গঙ্গোপাধ্যায়। 
♦তথ্য :- এটি তাঁর প্রথম প্রথম উপন্যাস। 
♦উৎসর্গ :- 'শ্রীমতী বেলা রায়চৌধুরী ও শ্রীসমীর রায়চৌধুরী'।

¤ ২) 'লুসি আর্মানীর হৃদয়রহস্য' (জুন, ১৯৬৬) :-

♣প্রকাশনা :- 'বিশ্ববাণী' প্রকাশনী। 
♣প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- নিতাই ঘোষ। 
♣তথ্য :- উপন্যাসটি তিনি 'রূপচাঁদ পক্ষী' ছদ্মনামে রচনা করেন। 
♣উৎসর্গ :- 'যার মুখের কথায় উপন্যাসের হারানো পাণ্ডুলিপি ফিরে পেয়েছি সেই মুখরা মীনাক্ষী বিশ্বাসের করকমলে' (শ্রীমতি মীনাক্ষী বিশ্বাস)।

¤ ৩) 'হাই সোসাইটি' (অক্টোবর, ১৯৬৮) :-

♥প্রকাশনা :- 'মণ্ডল বুক হাউস' প্রকাশনী। 
♥প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- গণেশ বসু। 
♥উৎসর্গ :- 'ডাক্তারভাই আর দিদির হাতে' (ডঃ সুনীল দত্ত ও শ্রীমতী গায়ত্রী দত্ত)।

¤ ৪) 'অবনী বাড়ি আছো?' (আগস্ট, ১৯৭৩) :-

♠প্রকাশনা :- 'আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড' প্রকাশনী। 
♠প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- সুধীর মৈত্র। 
♠উৎসর্গ :- 'সুভাষ মুখোপাধ্যায় শ্রদ্ধাস্পদেষু'।

¤ ৫) 'দুজন একাকী' (আগস্ট, ১৯৭৪) :-

♦প্রকাশনা :- 'পূর্ণ' প্রকাশনী। 
♦প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- শচীন বিশ্বাস।
♦উৎসর্গ :- 'নিখিলকে' (শ্রীনিখিল মুখোপাধ্যায়)।

¤ ৬) 'হৃদয়পুর' (আগস্ট, ১৯৭৪) :-

♣প্রকাশনা :- 'রামায়ণী প্রকাশ ভবন' প্রকাশনী। 
♣প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- গৌতম রায় । 
♣উৎসর্গ :- 'নন্দিতা শ্যামলেন্দুকে' (শ্রীমতি নন্দিতা মুখোপাধ্যায় ও শ্রীশ্যামলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়)।

¤ ৭) 'আমি চলে যাচ্ছি' (আগস্ট, ১৯৭৬) :-

♥প্রকাশনা :- 'শৈব্যা পুস্তকালয়' প্রকাশনী। 
♥প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- গৌতম রায়। 
♥উৎসর্গ :- 'মিনতি ও তারাপদর জন্যে' (শ্রীমতি মিনতি রায় ও শ্রীতারাপদ রায়)।

¤ ৮) 'কিন্নর কিন্নরী' (মে, ১৯৭৭) :-

♠প্রকাশনা :- 'বিশ্ববাণী' প্রকাশনী। 
♠প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- পূর্ণেন্দু পত্রী। 
♠তথ্য :- এটি তাঁর আত্মজীবনী মূলক উপন্যাস। 
♠উৎসর্গ :- 'শান্তি আর খুকুকে' (শ্রীশান্তি লাহিড়ী ও শ্রীমতী রীতা লাহিড়ী)।

¤ ৯) 'দাঁড়াবার জায়গা' (মে, ১৯৮৬) :-

♦প্রকাশনা :- 'আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড' প্রকাশনী। 
♦প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়। 
♦উৎসর্গ :- 'ঊষা আর বিটুকে' (শ্রীমতি ঊষা বসাক ও ডঃ শম্ভুলাল বসাক)।

¤ ১০) 'বিবি-কাহিনী' (আগস্ট, ১৯৮৬) :-

♣প্রকাশনা :- 'জগদ্ধাত্রী পাবলিশার্স' প্রকাশনী। 
♣প্রচ্ছদ অঙ্কন করেন --- গৌতম রায় । 
♣তথ্য :- এটি তাঁর শেষ প্রকাশিত উপন্যাস। 
♣উৎসর্গ :- 'মায়া আর সমীরকে' (শ্রীমতি মায়া সেনগুপ্ত ও শ্রীসমীর সেনগুপ্ত)।

♥ তথ্যসূত্র :- 
১) "শক্তি চট্টোপাধ্যায়-এর গ্রন্থপঞ্জী / ধর্মে আছো জিরাফেও আছো" --- সমীর সেনগুপ্ত (সম্পাদক)। 

●ধন্যবাদান্তেসৌম্যমাইতি।
●অ্যাডমিন।
●Success_Bangla
●তারিখ :- ১৯•০৮•২০১৮

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী :: নীল নির্জনের কবি




নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী : নীল নির্জনের কবি 
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
         (১৯ অক্টোবর ১৯২৪ --- এখনও জীবিত)

♦জন্ম : রোমান্টিকতা, প্রেম, প্রকৃতি, মধ্যবিত্ত জীবনের সুখ-দুঃখ, আশা-বেদনা, স্পষ্টবাদী ও স্বদেশপ্রেমের কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ১৯ অক্টোবর, ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে / ২ রা অক্টোবর, ১৩৩১ বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

♦পারিবারিক পরিচয় : তাঁর পিতা জিতেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ছিলেন একজন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক। আর মাতা প্রফুল্লনলিনী দেবী ছিলেন একজন পরিপূর্ণ গৃহবধূ।

♦বিখ্যাত কবিতা :- "অমলকান্তি আমার বন্ধু,
ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।
রোজ দেরি করে ক্লাসে আসত, 
পড়া পারত না,শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে
এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে 
তাকিয়ে থাকতো যে,
দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের।
আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, 
কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি সে সব কিছু হতে চায়নি।
সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল! 
ক্ষান্তবর্ষণ কাক-ডাকা বিকেলের 
সেই লাজুক রোদ্দুর,জাম আর 
জামরূলের পাতায় যা নাকি 
অল্প-একটু হাসির মতন লেগে থাকে।" 
------ "অমলকান্তি" , নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

♦পেশা : কবি, সাংবাদিক, শিশু সাহিত্যিক, রহস্য রোমাঞ্চকার, গল্পকার।

♦আত্মপ্রকাশ : মাত্র ৫ বছর বয়সে তিনি প্রথম কবিতা লেখেন। কিন্তু সেটা কোনো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি। ১৬ বছর বয়স থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় তিনি কবিতা লিখে এসেছেন। ১৬ বছর বয়সেই কবিতা লেখার মধ্যে দিয়েই তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ হয়।

♦ শিক্ষাজীবন : গ্রামের পাঠশালায় প্রথমে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। তারপর কলকাতা এসে প্রথমে কলকাতার বঙ্গবাসী স্কুলে এবং পরে মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভর্ত্তি হন। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে "প্রবেশিকা পরীক্ষা"য় উত্তীর্ণ হন। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গবাসী কলেজ থেকে আই. এ পাশ করেন। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে সেন্টপলস্ কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে বি. এ পাশ করেন। ছাত্রাবস্থায় "শ্রীহর্ষ" পত্রিকার সম্পাদনা করে সংবাদপত্রের প্রতি তাঁর নিবিড় ও গভীর অনুরাগের সূত্রপাত হয়।

♣কর্মজীবন : "দৈনিক প্রত্যহ" পত্রিকায় তাঁর সাংবাদিকতার হাতে খড়ি। "সত্যযুগ" পত্রিকার সাংবাদিক রূপে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি একে একে "মাতৃভূমি", "স্বরাজ", "ভারত", "ইউনাইটেড প্রেস অফ্ ইন্ডিয়া" প্রভৃতি পত্রিকায় কাজ করা শুরু করেন। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে তিনি "আনন্দবাজার" পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। "বার্তা বিভাগ", "রবিবাসীয় বিভাগ"-এ বেশ কিছুদিন কাজ করার পর তিনি "আনন্দবাজার" পত্রিকার সম্পাদকীয় নিবন্ধকার হন। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি শিশু ও কিশোর পত্রিকা "আনন্দমেলা"র সম্পাদক হন। তিনি অনেকদিন লেখালেখি বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু এখনও তিনি জীবিত আছেন। আজও পাঠকমহলে তাঁর নাম সমাদৃত হয়। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯৪ বছর।

♣কর্মজীবন : তিনি মোট ২৯ টি কাব্যগ্রন্থ, ১ টি উপন্যাস, ১ টি আত্মস্মৃতি, ১ টি কাব্যনাট্য, কয়েকটি আলোচনা গ্রন্থ, ভ্রমণকাহিনী, রহস্যকাহিনী, ছোটদের ছড়া ও কবিতা, কবিতাসমগ্র ও নির্বাসিত কবিতা এবং ৩ টি রহস্যকাহিনী সমগ্র রচনা করেন।

♣কাব্যগ্রন্থ :-
১) "নীল নির্জনে" (১৯৫৪ / ১৩৬১)
২) "অন্ধকার বারান্দা" (১৯৬১ / ১৩৬৭)
৩) "প্রথম নায়ক" (১৯৬১ / ১৩৬৭)
৪) "নিরক্ত করবী" (১৯৬৫ / ১৩৭১)
৫) "নক্ষত্র জয়ের জন্য" (১৯৬৯ / ১৩৭৬)
৬) "কলকাতার যীশু" (১৭৬৯ / ১৩৭৬)
৭) "উলঙ্গ রাজা" (১৯৭১)
৮) "খোলা মুঠি" (১৯৭৪ / ১৩৮১)
৯) "কবিতার বদলে কবিতা" (১৯৭৬ / ১৩৮৩)
১০) "আজ সকালে" (১৯৭৮)
১১) "পাগলা ঘন্টি" (১৯৮১ / ১৩৮৭)
১২) "ঘর-দুয়ার" (১৯৮৩)
১৩) "সময় বড় কম" (১৯৮৪ / ১৩৯০)
১৪) "রূপ-কাহিনী" (১৯৮৪ / ১৩৯০)
১৫) "যাবতীয় ভালবাসাবাসি" (১৯৮৬ / ১৩৯২)
১৬) "ঘুমিয়ে পড়ার আগে" (১৯৮৭)
১৭) "জঙ্গলে এক উন্মাদিনী" (১৯৮৯)
১৮) "আয় রঙ্গ" (১৯৯১)
১৯) "চল্লিশের দিনগুলি" (১৯৯৪)
২০) "সত্য সেলুকাস" (১৯৯৫)
২১) "সন্ধ্যারাতের কবিতা" (১৯৯৭)
২২) "অন্য গোপাল" (১৯৯৯)
২৩) "জলের জেলখানা থেকে" (২০০০)
২৪) "সাকুল্যে তিনজন" (২০০০)
২৫) "কবি চেনে সম্পূর্ণ চেনেনা" (২০০১)
২৬)"দেখা হবে" (২০০২)
২৭) "ভালবাসা মন্দবাসা" (২০০৩)
২৮) "মায়াবী বন্ধন" (২০০৪)
২৯) "জ্যোৎস্নায় একেলা" (২০০৬)

♣উপন্যাস :-
১) "পিতৃপুরুষ" (১৯৭৩)

♣আত্মস্মৃতি (আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ) :-
১) "নীরবিন্দু ১" (১৯৯৩)

♣কাব্যনাট্য :-
১) "প্রথম নায়ক" (১৯৬১)

♥আলোচনা গ্রন্থ :-
১) "কবিতার ক্লাস" (১৯৭০)
২) "কবিতার দিকে ও অন্যান্য রচনা" (প্রথম সংস্করণ - ১৯৭৬ , দ্বিতীয় সংস্করণ - ১৯৯২)
৩) "কবিতা কী ও কেন" (১৯৮২)
৪) "সমাজ সংসার" (১৯৮৮)
৫) "বাংলা কী লিখবেন, কেন লিখবেন" (১৯৯১)
৬) "রবীন্দ্রনাথ ও আমরা এবং অন্যান্য রচনা" (২০০১)

♥ভ্রমণকাহিনী :-
১) "গঙ্গাযমুনা" (১৯৮২)
২) "বাইরে দূরে" (১৯৯২)
৩) "আট ঘাটের জল" (১৯৯৩)

♥রহস্যকাহিনী :-
১) "শ্যামনিবাস রহস্য" (১৯৯০)
২) "মুকুন্দপুরের মনসা" (১৯৯১)
৩) "বিষাণগড়ের সোনা" (১৯৯২)
৪) "চশমার আড়ালে" (১৯৯৩)
৫) "রাত তখন তিনটে" (১৯৯৪)
৬) "লকারের চাবি" (১৯৯৫)
৭) "বরফ যখন গলে" (১৯৯৫)
৮) "একটি হত্যার অন্তরালে" (১৯৯৭)
৯) "আড়ালে আছে কালীচরণ" (১৯৯৮)
১০) "পাহাড়ি দিছে" (১৯৯৮)
১১) "আংটি রহস্য" (২০০০)
১২) "জোড়া ভাদুড়ি" (২০০১)
১৩) "শান্তিলতার অশান্তি" (২০০২)
১৪) "কামিনীর কণ্ঠহার" (২০০৩)

♥ছোটদের ছড়া ও কবিতা :-
১) "সাদা বাঘ" (প্রথম সংস্করণ - ১৯৭৯ , প্রথম সৃষ্টি সংস্করণ - ২০০১) 
২) "বিবির ছড়া" (১৯৮২)
৩) "বারো মাসের ছড়া" (১৯৮৮)
৪) "ও কলকাতা" (১৯৯১)
৫) "ডাইনোসর" (১৯৯১)
৬) "ভোরের পাখি" (২০০০)
৭) "নদীনালা গাছপালা" (২০০১)
৮) "ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি" (২০০২)
৯) "বারো পাখির ছড়া" (২০০৩)
১০) "খোকনের খাতা" (২০০৩)
১১) "ছোটদের ছড়া" (২০০৩)
১২) "বারো পুতুলের ছড়া" (২০০৪)
১৩) "মায়ের কাঁথা" (২০০৫)
১৪) "পাঁচ বছরের আমি" (২০০৫)
১৫) "ছেলেবেলা" (২০০৬)
১৬) "দাশুর কথা" (২০০৬)
১৭) "রাত-পাহাড়া" (২০০৬)

♥কবিতাসমগ্র ও নির্বাসিত কবিতা :-
১) "শ্রেষ্ঠ কবিতা" (১৯৭০)
২) "কবিতাসমগ্র ১ম" (১৯৮২)
৩) "কবিতাসমগ্র ২য়" (১৯৮৫)
৪) "নির্বাচিত কবিতা" (১৯৯২)
৫) "কবিতাসমগ্র ৩য়" (১৯৯৪)
৬) "কবিতাসমগ্র ৪থ" (২০০০)
৭) "কবিতাসমগ্র ৫ম" (২০০০)

♥রহস্যকাহিনী সমগ্র :-
১) "ভাদুড়ি সমগ্র ১ম" (২০০৬)
২) "ভাদুড়ি সমগ্র ২য়" (২০০৬)
৩) "ভাদুড়ি সমগ্র ৩য়" (২০০৬)

♠সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র :-
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্রের নাম হল "ভাদুড়ী মশাই"।

♠ পুরস্কার ও সম্মাননা :-
১) ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে : "উল্টোরথ পুরস্কার"।
২) ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে : "তারাশঙ্কর স্মৃতি পুরস্কার"।
৩) ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে : "উলঙ্গ রাজা" (১৯৭১) কাব্যগ্রন্থের জন্য "সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার"। এছাড়াও এই একই খ্রিস্টাব্দে তিনি লাভ করেন "বর্ষশ্রেষ্ঠ পুরস্কার"।
৪) ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে : "আনন্দ শিরমণি"।
৫) ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে : "স্বর্ণাঞ্চল পুরস্কার"।
৬) ২০১০ খ্রিস্টাব্দে : কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য "বিদ্যাসাগর পুরস্কার"।
৭) ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে কবি সাহিত্যিক নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী "বঙ্গবিভূষণ" সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।

♠উৎসর্গীকৃত কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ :-
১) "নক্ষত্র জয়ের জন্য" (১৯৬৯ / ১৩৭৬) - সঞ্জয় ভট্টাচার্যকে। 
২) "কলকাতার যীশু" (১৯৬৯ / ১৩৭৬) - শ্রী রমাপদ চৌধুরীকে। 
৩) "উলঙ্গ রাজা" (১৯৭১) - প্রশান্ত কুমার বসুকে। 
৪) "খোলা মুঠি" (১৯৭৪ / ১৩৮১) - পুরবীকে। 
৫) "আজ সকালে" (১৯৭৮) - শীলা ও গৌরকিশোর ঘোষকে। 
৬) "পাগলা ঘন্টি" (১৯৮১ / ১৩৮৭) - অরুণ কুমার মিত্রকে। 
৭) "ঘর-দুয়ার" (১৯৮৩) - শ্রীমতি গীতা ও শিবনারায়ণ রায়কে। 
৮) "সময় বড় কম" (১৯৮৪ / ১৩৯০) - ঋতু ও বুদ্ধদেব বসুকে। 
৯) "রূপ-কাহিনী" (১৯৮৪) - স্বাতী ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে। 
১০) "যাবতীয় ভালবাসাবাসি" (১৯৮৬ / ১৩৯২) - রীক্তা ও সুপ্রিয়কে। 
১১) "ঘুমিয়ে পড়ার আগে" (১৯৮৭) - ত্রুডবার্ত ও আলোকরঞ্জন দাশগুপ্তকে। 
১২) "জঙ্গলে এক উন্মাদিনী" (১৯৮৯) - আলপনাকে। 
১৩) "আয় রঙ্গ" (১৯৯১) - গায়িত্রী ও হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে। 
১৪) "চল্লিশের দিনগুলি" (১৯৯৪) - বিমল কুমার ভট্টাচার্য ও ললিত কুমার মুখোপাধ্যায়কে। 
১৫) "সত্য সেলুকাস" (১৯৯৫) - শ্রাবণী ও প্রনবকে। 
১৬) "সন্ধ্যারাতের কবিতা" (১৯৯৭) - শ্রীমতি নির্মলা সান্দ্যনিকে। 
১৭) "অন্য গোপাল" (১৯৯৯) - মৈত্রেয়ী ও পবিত্র মুখোপাধ্যায়কে। 
১৮) "জলের জেলখানা থেকে" (২০০০) - ভবাণীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 
১৯) "দেখা হবে" (২০০২) - সোনালী গঙ্গোপাধ্যায়কে।

♠কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী :-

১) মাত্র ৩০ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ "নীলনির্জন" ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে / ১৩৬১ বঙ্গাব্দে "সিগনেট প্রেস"-এ প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পাঠকমহলে কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।

২) কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ছিলেন রোমান্টিকতা, প্রেম, প্রকৃতি, মধ্যবিত্ত জীবনের সুখ-দুঃখ, আশা-বেদনা, স্পষ্টবাদী ও স্বদেশপ্রেমিক কবি।

৩) কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ঘৃণা করতেন মেকি দেশপ্রমকে।

৪) কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতার ভাষা আধুনিক কবিদের মতো দুর্বোধ্য নয়।

৫) বিষ শতকে চল্লিশের দশকে রাজনৈতিক উত্তাপ যখন ঘনীভূত কবি তাঁর কবিতায় তখন আশার গান শুনিয়েছেন।

৬) কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন।

৭) কবিতার মাঝে মাঝে তাঁর গল্প বলার প্রবণতা দেখা যায়। বিষয় উপস্থাপনার মাধ্যমে কবিতাকে অন্যমাত্রা দেয়া, ভাবগত ব্যঞ্জনাকে অক্ষুণ্ণ রেখে কবিতায় বর্ণিত চরিত্রকে উচ্চারণের দ্যোতনায় অর্থময় করে তোলা তাঁর এমনই কয়েকটি কবিতা হল :- "অমলকান্তি" , "কলকাতার যীশু" , "বাতাসী" , "শকুন" , "পূর্ব গোলার্ধের প্রেম" , "নিয়ন মণ্ডলে" , "এসপার-ওসপার" , "অন্ধকারে" , "চৌরাস্তায়"।

৮) কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী গদ্যছন্দের ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ৩৩ পংক্তির কবিতা রচনা করেছেন।

৯) কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রথমদিকের রচনায় জীবনানন্দ দাশের প্রভাব আছে।

১০) আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের ছবি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহজ সরল ভাষায় পরিস্ফুট করেছেন।

১১) "মানুষের ওপর অগাধ বিশ্বাস, সমস্তরকম ভণ্ডামি ও কুসংস্কারকে ভেঙে তছনছ করে দেবে মানুষই" - এই ভাবনায় তিনি লেখেন : "একদিন এইসব হবে, তাই" কবিতা। কবিতাটির লাইন :-

"একদিন সমস্ত ধর্মযাজকদের উর্দি কেড়ে নিয়ে 
নিষ্পাপ বালক বলবে হা হা।"

১২) স্পষ্টবাদী কবি আত্মসমীক্ষায় ব্রতী হয়ে  "কলকাতার কড়চা" কবিতায় লিখেছেন, "তুমি তিলোত্তমা হওনি, আমরাই তিলে তিলে ছোট হয়ে গেছি।"

১৩) শীতল চৌধুরী তাঁর "আধুনিক বাংলা কবিতার নিবিড় পাঠ" গ্রন্থে বলেছেন, "কবি নীরেন্দ্রনাথের কবিতার বিশেষত্ব হল সহজ সরল জলের মতন পাঠকের অন্তরগহনে তিরতির করে ঢেউ তোলে। তিনি গদ্যের কথ্যভাষায় স্পষ্ট ছবি গেঁথে গেঁথে আপন মনের একতারাতে সুর তুলে কবিতাকে তরতর করে নদীর স্রোতের মতন এঁকে নিয়ে যান।"

১৪) ড. বাসন্তীকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর "আধুনিক বাংলা কবিতার রূপরেখা" গ্রন্থে বলেছেন, "নীরেন্দ্র চক্রবর্তীর সুতাংশুকে জীবনানন্দ দাশের 'আট বছর একদিন আগের কবিতা'য় নায়কের উত্তর পুরুষ বলে মনে হবে। জীবনানন্দের নায়কের মৃত্যুটাকেই যেন অনুজ কবি বিশ্লেষণ করে অনুভব করতে পারছেন।"

১৫) কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ভাবনা - "মানুষের মধ্যেই ঈশ্বরকে খোঁজা ও মানুষের সারল্যের মধ্যেই ঈশ্বরের প্রকাশ উপলব্ধি।"

১৬) অভিজ্ঞতার দীর্ঘপথ হেঁটে কবি নিজেও অন্ধকার ঠেলে আলোর দিকে যাবার কথা বলেছেন। এই দীপ্ত বিশ্বাসেই আত্মসচেতন কবি নীরেন্দ্রনাথ বাংলা কাব্যভূমিতে এখনও অনুভূতির পুষ্পবৃষ্টি করে তুলেছেন।

১৭) তিনি তাঁর "অনন্ত গোধূলিবেলা" কবিতাটি উৎসর্গ করেন সোনালী বন্দ্যোপাধ্যায় ("সে আছে অন্তরালে")-কে।

১৮) কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীই প্রথম "টিনটিন" চরিত্রের বঙ্গানুবাদ করেছেন। 

১৯) প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যে তার সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্রের নাম হল "ভাদুড়ী মশাই"।

২০) তিনি এখনও জীবিত রয়েছেন। তাঁর কবিতাগুলি আজও পাঠকমহলে অনেক সমাদৃত হয়। এইজন্য তিনি "সাহিত্য আকাদেমি"র পাশাপাশি অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর এখন বর্তমান বয়স হল ৯৪ বছর। 

♠তথ্যসূত্র : ১) "আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস" --- অধ্যাপক শ্রীতপন কুমার চট্টোপাধ্যায়। 
২) "বাংলা সাহিত্যপরিচয় ও সাহিত্যটীকা" --- অধ্যাপক শ্রীপার্থ চট্টোপাধ্যায়।

●আলোচকসৌম্যমাইতি।
● অ্যাডমিন।
●Success বাংলা"

সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্র ছোটগল্প


 সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্র ছোটগল্প 
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

গল্পের নাম       ---       পত্রিকা ও প্রকাশকাল 
  ~~~            ~~~~~
১) 'ভিখারিণী' --- "ভারতী", শ্রাবণ-ভাদ্র ১২৮৪
২) 'ঘাটের কথা' --- 'ভারতী', কার্তিক 1১২৯১
৩) 'রাজপথের কথা' --- 'নবজীবন',  অগ্রহায়ণ ১২৯১
৪) 'মুকুট' --- 'বালক', বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ ১২৯২
৫) 'দেনাপাওনা' --- 'হিতবাদী', ১২৯৮
৬) 'পোস্টমাস্টার' --- 'হিতবাদী, ১২৯৮
৭) 'গিন্নি' --- 'হিতবাদী',  ১২৯৮
৮) 'রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা' --- 'হিতবাদী', ১২৯৮
৯) 'ব্যবধান' --- 'হিতবাদী', ১২৯৮
১০) 'তারাপ্রসন্নের কীর্তি' --- 'হিতবাদী', ১২৯৮
১১) 'খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন' --- 'সাধনা', অগ্রহায়ণ 
                                                                    ১২৯৮
১২) 'সম্পত্তি সমর্পণ' --- 'সাধনা', পৌষ ১২৯৮
১৩) 'দালিয়া' --- 'সাধনা', মাঘ ১২৯৮
১৪) 'কঙ্কাল' --- 'সাধনা', ফাল্গুন ১২৯৮
১৫) 'মুক্তির উপায়' --- 'সাধনা', চৈত্র ১২৯৮
১৬) 'ত্যাগ' --- 'সাধনা', বৈশাখ ১২৯৯
১৭) 'একরাত্রি' --- 'সাধনা', জ্যৈষ্ঠ ১২৯৯
১৮) 'একটা আষাড়ে গল্প' --- 'সাধনা', আষাড় ১২৯৯
১৯) 'জীবিত ও মৃত' --- 'সাধনা', শ্রাবণ ১২৯৯
২০) 'স্বর্ণমৃগ' --- 'সাধনা', ভাদ্র-আশ্বিন ১২৯৯
২১) 'রীতিমতো নভেল' --- 'সাধনা', ভাদ্র-আশ্বিন
                                                                    ১২৯৯                                                    
২২) 'জয় পরাজয়' --- 'সাধনা', কার্তিক ১২৯৯
২৩) 'কাবুলিওয়ালা' --- 'সাধনা', অগ্রহায়ণ ১২৯৯
২৪) 'ছুটি' --- 'সাধনা', পৌষ ১২৯৯
২৫) 'সুভা' --- 'সাধনা', মাঘ ১২৯৯
২৬) 'মহামায়া' --- 'সাধনা', ফাল্গুন ১২৯৯
২৭) 'দান প্রতিদান' --- 'সাধনা', চৈত্র ১২৯৯
২৮) 'সম্পাদক' --- 'সাধনা', বৈশাখ ১৩০০
২৯) 'মধ্যবর্তিনী' --- 'সাধনা', জ্যৈষ্ঠ ১৩০০
৩০) 'অসম্ভব কথা' --- 'সাধনা', আষাঢ় ১৩০০
৩১) 'শাস্তি' --- 'সাধনা', শ্রাবণ ১৩০০
৩২) 'একটি ক্ষুদ্র পুরাতন গল্প' -- 'সাধনা', ভাদ্র ১৩০০
৩৩) 'সমাপ্তি' --- 'সাধনা', আশ্বিন-কার্তিক ১৩০০
৩৪) 'সমস্যাপূরণ' --- 'সাধনা', অগ্রহায়ণ ১৩০০
৩৫) 'খাতা' --- গ্রন্থাগারে প্রথম প্রকাশিত হয় 
৩৬) 'অনধিকার প্রবেশ' --- 'সাধনা', শ্রাবণ ১৩০১
৩৭) 'মেঘ ও রৌদ্র' -- 'সাধনা', আশ্বিন-কার্তিক ১৩০১
৩৮) 'প্রায়শ্চিত্ত' --- 'সাধনা', অগ্রহায়ণ ১৩০১
৩৯) 'বিচারক' --- 'সাধনা', পৌষ ১৩০১
৪০) 'নিশীথে' --- 'সাধনা', মাঘ ১৩০১
৪১) 'আপদ' --- 'সাধনা', ফাল্গুন ১৩০১
৪২) 'দিদি' --- 'সাধনা', চৈত্র ১৩০১
৪৩) 'মানভঞ্জন' --- 'সাধনা', বৈশাখ ১৩০২
৪৪) 'ঠাকুরদা' --- 'সাধনা', জ্যৈষ্ঠ ১৩০২
৪৫) 'প্রতিহিংসা' --- 'সাধনা', আষাঢ় ১৩০২
৪৬) 'ক্ষুধিত পাষাণ' --- 'সাধনা', শ্রাবণ ১৩০২
৪৭) 'অতিথি' --- 'সাধনা', ভাদ্র-কার্তিক ১৩০২
৪৮) 'ইচ্ছাপূরণ' --- 'সাধনা', ভাদ্র-কার্তিক ১৩০২
৪৯) 'দুরাশা' --- 'ভারতী', বৈশাখ ১৩০৫
৫০) 'পুত্রযজ্ঞ' --- 'ভারতী', জ্যৈষ্ঠ ১৩০৫
৫১) 'ডিটেকটিভ' --- 'ভারতী', আষাঢ় ১৩০৫
৫২) 'অধ্যাপক' --- 'ভারতী', ভাদ্র ১৩০৫
৫৩) 'রাজটিকা' --- 'ভারতী', আশ্বিন ১৩০৫
৫৪) 'মনিহারা' --- 'ভারতী', অগ্রহায়ণ ১৩০৫
৫৫) 'দৃষ্টিদান' --- 'ভারতী', পৌষ ১৩০৫
৫৬) 'সদর ও অন্দর' --- 'প্রদীপ', আষাঢ় ১৩০৭
৫৭) 'উদ্ধার' --- 'ভারতী', শ্রাবণ ১৩০৭
৫৮) 'দুর্বুদ্ধি' --- 'ভারতী', ভাদ্র ১৩০৭
৫৯) 'ফেল' --- 'ভারতী', আশ্বিন ১৩০৭
৬০) 'শুভদৃষ্টি' --- 'প্রদীপ', আশ্বিন ১৩০৭
৬১) 'যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞ' --- [গ্রন্থাকারে], ১৩০৭
৬২) 'উলুখড়ের বিপদ' --- [গ্রন্থাকারে], ১৩০৭
৬৩) 'প্রতিবেশিনী' --- [গ্রন্থাকারে], ১৩০৭
৬৪) 'নষ্টনীড়' --- 'ভারতী', বৈশাখ-অগ্রহায়ণ ১৩০৮
৬৫) 'দর্পহরণ' --- 'বঙ্গদর্শন', ফাল্গুন ১৩০৯
৬৬) 'মাল্যদান' --- 'বঙ্গদর্শন', চৈত্র ১৩০৯
৬৭) 'কর্মফল' --- 'কুন্তলীন পুরস্কার'-এর জন্য, ১৩১০
৬৮) 'মাস্টারমশায়' --- 'প্রবাসী', আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩১৪
৬৯) 'গুপ্তধন' --- 'বঙ্গভাষা', কার্তিক ১৩১৪
৭০) 'রাসমনির ছেলে' --- 'ভারতী', আশ্বিন ১৩১৮
৭১) 'পণরক্ষা' --- 'ভারতী', পৌষ ১৩১৮
৭২) 'হালদার গোষ্ঠী' --- 'সবুজপত্র', বৈশাখ ১৩২১
৭৩) 'হৈমন্তী' --- 'সবুজপত্র', জ্যৈষ্ঠ ১৩২১
৭৪) 'বোষ্টমী' --- 'সবুজপত্র', আষাঢ় ১৩২১
৭৫) 'স্ত্রীর পত্র' --- 'সবুজপত্র', শ্রাবণ ১৩২১
৭৬) 'ভাইফোঁটা' --- 'সবুজপত্র', ভাদ্র ১৩২১
৭৭) 'শেষের রাত্রি' --- 'সবুজপত্র', আশ্বিন ১৩২১
৭৮) 'অপরিচিতা' --- 'সবুজপত্র', কার্তিক ১৩২১
৭৯) 'তপস্বিনী' --- 'সবুজপত্র', জ্যৈষ্ঠ ১৩২৪
৮০) 'পয়লা নম্বর' --- 'সবুজপত্র', আষাঢ় ১৩২৪
৮১) 'পাত্র ও পাত্রী' --- 'সবুজপত্র', পৌষ ১৩২৪
৮২) 'নামঞ্জুর গল্প' --- 'প্রবাসী', অগ্রহায়ণ ১৩৩২
৮৩) 'সংস্কার' --- 'প্রবাসী', আষাঢ় ১৩৩৫
৮৪) 'বলাই' --- শান্তিনিকেতনে 'বর্ষা উৎসব'-তে
                                          পঠিত, কার্তিক ১৩৩৫
৮৫) 'চিত্রকর' --- শান্তিনিকেতনে 'বর্ষা উৎসব'-তে
                                          পঠিত, কার্তিক ১৩৩৬
৮৬) 'চোরাই ধন' --- ১১ কার্তিক, ১৩৪০
৮৭) 'রবিবার' --- 'শারদীয় আনন্দবাজার', ১৩৪৬
৮৮) 'শেষকথা' --- 'শনিবারের চিঠি', ১৩৪৭
৮৯) 'ল্যাবরেটরি' --- 'শারদীয় আনন্দবাজার', ১৩৪৭
৯০) 'বদনাম' --- 'প্রবাসী', আষাঢ় ১৩৪৮
৯১) 'প্রগতি সংহার' - 'শারদীয় আনন্দবাজার', ১৩৪৮
৯২) 'শেষ পুরস্কার' --- 'বিশ্বভারতী', শ্রাবণ ১৩৪৯
৯৩) 'মুসলমানীর গল্প' --- 'ঋতুপত্র', আষাঢ় ১৩৬২

♣ তথ্যসূত্র :-
'আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস' --- অধ্যাপক শ্রীতপন কুমার চট্টোপাধ্যায়ে।

#ধন্যবাদান্তেসৌম্যমাইতি।
অ্যাডমিন
#Success_Bangla

মঙ্গলকাব্যের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণিবিভাগ


মঙ্গলকাব্যের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণিবিভাগ
সংজ্ঞা:-
        বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে সমাজের সর্বস্তরে নানা দেবদেবীর পূজা প্রবর্তনের ও তাদের লীলা মাহাত্ম্য প্রচারের উদ্দেশ্যে যে অখ্যানধর্মী কাব্যসমূহ রচিত হয়েছিল ,সেই কাব্যগুলিকে মঙ্গলকাব্য বলে।

উদ্ভব ও সময়কাল:-
                আনুমানিক খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে আরম্ভ করে অষ্টাদশ শতাব্দীর কবি ভারতচন্দ্রের কাল পর্যন্ত বঙ্গসহিত্যে যে বিশেষ এক শ্রেণির ধর্মবিষয়ক আখ্যান-কাব্য প্রচলিত ছিল,তাই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মঙ্গল কাব্য নামে পরিচিত।(বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস-আশুতোষ ভট্টাচার্য)
               বাংলাদেশের একটি বিশেষ যুগের সাহিত্য সাধনা মঙ্গলকাব্য।মঙ্গলকাব্যগুলিতে কেবল দেবদেবীর মাহাত্ম্যই নয় ;প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত হয়েছ বাঙালীর জীবন চিত্রের খুঁটিনাটি।মঙ্গলকাব্যের প্রথম উদ্ভব পল্লীর জনসভা থেকে হলেও এটি পূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল রাজসভায়।
        কোনো বিশেষ ধর্মমত নয়; বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি, লৌকিক-বহিরাগত ধর্মমতের মিলন,ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের সংস্কার -সংস্কৃতি,ধর্মবিশ্বাসের
সংমিশ্রনের ফলশ্রুতিতেই মধ্যযুগে মঙ্গলকাব্যের উদ্ভব।

 রচনার সামাজিক প্রেক্ষাপট:-
  ত্রয়োদশ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত মুসলমান শাসনকালেই  মঙ্গল কাব্যগুলো সৃষ্টি হয়েছিল।এর পশ্চাতে কিছু সামাজিক কারণ বর্তমান ছিল।
যেমন---
• তুর্কী আক্রমণ
• উচ্চবর্ণের হিন্দুসমাজের সঙ্গে নিম্নবর্ণের লোকজীবনের মিলন
• লৌকিক দেবতাদের বাঙালী সমাজে প্রতিষ্ঠালাভ
• লৌকিক দেবদেবীর সঙ্গে পৌরাণিক দেবদেবীর আর সংস্কৃতির সমন্বয়
• হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ
• বঙ্গদেশে অধিদৈবিক ও অধিভৌতিক চর্চা
• আর্য সংস্কৃতিতে ক্রমশ অনার্য দেবদেবীর প্রবেশ

'মঙ্গল' নামের উৎপত্তি:-
          'মঙ্গল ' নামটি উৎপত্তির বিভিন্ন কারণ অনুমান করা হয়ে থাকে ।যেমন--
 ▪দেবদেবীর মাহাত্ম্য বর্ণিত এই কাব্যের কাহিনী শ্রবণে মঙ্গল হয় বলে মানুষের বিশ্বাস।

▪এক মঙ্গলবার থেকে আরেক মঙ্গলবার পর্যন্ত গানগুলি গাইবার রেওয়াজ ছিল।

▪প্রাচীন -মধ্য যুগের সাহিত্য মাত্রই ছিল গেয় ।তাই অনুমান করা হয় কাব্য কাহিনীর আদ্য পান্ত মঙ্গল রাগে বা প্রধানত মঙ্গল রাগেই গাওয়া হতো।

▪বিবাহাদি অনুষ্ঠানে যে সকল গীত গাওয়া হতো সেগুলিকে সাধারণ ভাবে মঙ্গল বলে অভিহিত করা হয়।উত্তরাকাণ্ডে এর উল্লেখ আছে

▪ 'মঙ্গল' শব্দটি সম্ভবতঃ ভারতীয় কোনো অনার্য ভাষা থেকে আগত।দ্রাবিড় ভাষায় মিলন অথবা বিবাহ অর্থে এটি ব্যবহার হয়।

▪ বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাসকার আশুতোষ ভট্টাচার্য বলেছেন----
      প্রাচীন বাংলায় বিবাহ উপলক্ষে প্রচলিত লোকসঙ্গীতের রাগকেই মঙ্গলরাগ বলা হতো।পরে এর অর্থ সঙ্কুচিত হয়ে দেবদেবীর বিবাহ অর্থে শব্দটি ব্যবহৃত হয়।অতঃপর বাংলায় দেবদেবীর মাহাত্ম্য সূচক রচনা মাত্রই মঙ্গল নামে পরিচিত হয়েছে।
▪মঙ্গল কাব্যের দেবদেবীর      অমঙ্গলকারী শক্তি কে ভক্তের মনে স্থান না দেবার উদ্দেশ্যে মঙ্গল নামকরন হতে পারে ।

গঠন:-
মঙ্গল কাব্যের কাহিনি মূলত চারটি অংশে বর্ণিত হয়ে থাকে-
(১)বন্দনাখন্ড
(২)আত্মবিবরনী ও কাবিরচনার কারণ
(৩)দেবখন্ড
(৪)নরখন্ড
 ● মঙ্গল কাব্যের সুদীর্ঘ কাহিনী কতগুলি পালায় বিভক্ত করে গাওয়া হতো।
সাধারণত আট দিনের ষোলো পালায় অর্থাৎ আট টি দিবা পালা ও আট টি রাত্রি পালায় কাহিনী বিভক্ত হতো। তবে বিষয়ানুযায়ী মঙ্গল কাব্যের পালা বিভাগ স্বতন্ত্র হতো।
ছন্দ:-
 ▪ মঙ্গলকাব্য প্রধানত অক্ষরবৃত্ত পয়ার ছন্দেই লিখিত।এই ছন্দকে মধ্যযুগে পাঁচলী ছন্দও বলা হতো।
▪পয়ার বা পাঁচালী ছাড়া মঙ্গলকাব্যের আরেকটি অন্যতম প্রধান ছন্দ ত্রিপদী।এই ত্রিপদী প্রধানত অক্ষরবৃত্ত ত্রিপদী।একে অনেকক্ষেত্রে লাচারী ছন্দ ও বলে।
▪ত্রিপদী ছন্দের একটি বিশেষ রূপকে ললিত ছন্দ বলে।এটিও মঙ্গলকাব্যে ব্যবহৃত হয়েছে।
▪মঙ্গল কাব্যে পয়ার ,ত্রিপদী ছাড়াও একবলী ছন্দের প্রয়োগ দেখা যায়।▪পয়ার ,ত্রিপদী, একবলী ছন্দ ছাড়াও মঙ্গলকাব্যের কবিগণ সংস্কৃত ছন্দের অনুকরণে ছন্দ সৃষ্টির প্রয়াস করেছেন।তোটক,  তুনক প্রভৃতি ছন্দের বাংলা অনুবাদ 'অন্নদা-মঙ্গল' কাব্যে দেখা যায়।

লক্ষণ/বৈশিষ্ট্য:-
▪প্রথমেই মঙ্গলকাব্যে গনেশাদি পঞ্চদেবতার বন্দনা ,তারপর গ্রন্থ উৎপত্তির কারণ বর্ণন, সৃষ্টি-রহস্য,কথন প্রভৃতির সূচনা অংশে এই কাঠামো প্রত্যেক মঙ্গলকাব্যে দেখা যায়।
▪দেবদেবীর মাহাত্ম্য প্রচার মঙ্গল কাব্যের প্রধান উদ্দেশ্য।অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিম্নশ্রেণীর চরিত্রের মহিমা প্রচারিত হতো।▪মঙ্গলকাব্যে বর্ণিত কবির আত্মপরিচয় অংশে পূর্বপুরুষের পরিচয় ,বাসস্থানের বর্ণনা,স্বপ্নাদেশ প্রভৃতির অল্পবিস্তর বর্ণনা থাকে।
▪মঙ্গলকাব্যের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য কবিদের  ভনিতা ব্যবহার। এই অংশে কবির নাম,পদবী,আশ্রয়দাতা পৃষ্ঠপোষকের নামের উল্লেখ থাকে।
▪মঙ্গল কাব্যে বর্ণিত সমগ্র কাহিনি একাধিক পালায় বিভক্ত হয়ে থাকে।
▪মঙ্গল কাব্য দেবখন্ড ও নর খন্ডে বিভক্ত।
▪প্রত্যেক মঙ্গলকাব্যের নায়ক নায়িকা স্বর্গচ্যুত  দেবদেবী।দেব মাহাত্ম্য প্রচারের উদ্দেশ্যেই তাদের মর্ত্যে আগমন।
▪মঙ্গলকাব্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমুদ্রপথের বর্ণনা থাকে।
▪মঙ্গলকাব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য নারীদের পতিনিন্দার বর্ণনা।
▪বিপন্ন নায়ক নায়িকার দ্বারা দেবীর চৌতিশা স্তব বর্ণনা মঙ্গলকাব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
▪নায়িকার বারোমাস্যার বর্ণনা মঙ্গলকাব্য তথা মধ্যযুগের কাব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
▪মনসামঙ্গল ছাড়া ,সমস্ত মঙ্গলকাব্যেই যুদ্ধের বিস্তৃত বর্ণনা পাওয়া যায়।
▪মঙ্গল কাব্যে প্রহেলিকা ধাঁধাঁ ,প্রবাদ-প্রবচন,লোকবিশ্বাস,লোকশ্রুতি,মঙ্গলকাব্যের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
▪দেবতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহীকে দেবতার পদতলে নতশীর্ষ করানো মঙ্গলকাব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
▪শঠ চরিত্রের বিপরীতধর্মী  নির্বোধ চরিত্রেরাও মঙ্গলকাব্যে কোনো কোনো সময় স্থান  নিয়ে থাকে,তবে এদের সংখ্যা খুব বেশি নয়।

শ্রেণীবিভাগ:-
 লৌকিক:~
শিবায়ন /শিবমঙ্গল
মনসামঙ্গল
চণ্ডীমঙ্গল
ধর্মমঙ্গল
কালিকা মঙ্গল/বিদ্যাসুন্দর
শীতলামঙ্গল
রায়মঙ্গল
ষষ্ঠীমঙ্গল
সারদামঙ্গল
সূর্যমঙ্গল

পৌরাণিক:~
• গৌরীমঙ্গল
• ভবানীমঙ্গল
• দুর্গামঙ্গল
• অন্নদামঙ্গল
• কমলামঙ্গল
• গঙ্গামঙ্গল
• চণ্ডিকামঙ্গল 

 বৈষ্ণব:~
• চৈতন্যমঙ্গল
• অদ্বৈতমঙ্গল
• গোবিন্দমঙ্গল
• কৃষ্ণমঙ্গল
• রাধিকা মঙ্গল
• জগৎ মঙ্গল
• কিশোরী মঙ্গল
• স্মরণমঙ্গল
• গোকুল মঙ্গল
• রসিকমঙ্গল

  ধন্যবাদ
পূজা কুন্ডু
সাকসেস বাংলা