🌹🌹 বৈষ্ণব পদাবলীর চারজন শ্রেষ্ঠ পদকর্তা🌹🌹
🌼বিদ্যাপতি🌼
** বিদ্যাপতি প্রাক চৈতন্যযুগের কবি।
** বিহারের দ্বারভাঙা জেলার মধুবনী পরগনার বিশফী গ্ৰামে ব্রাহ্মন বংশে কবির জন্ম।
** বিদ্যাপতির জন্ম-১৩৮০
মৃত্যু-১৪৬০(আনুমানিক)
** কবির পিতার নাম গনপতি ঠাকুর।
** কবির কুলপদবী ছিল ঠক্কুর।
** বিদ্যাপতির পূর্বপুরুষেরা শৈব ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন।
** কবি শৈব ধর্মালম্বী আবার পঞ্চোপাসক হিন্দু ছিলেন।
** কবি বহুভাষাবিদ ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
** কবি অনেক রাজা রাণীর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন,তবে তিনি প্রথম রাজা ভোগীশ্বরের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন।সম্ভবত ছয়জন রাজা ও একজন রাণীর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন।
** বিদ্যাপতি মিথিলার কবি----একথা প্রথম প্রমান করেন জন বীমস্।
** রসিক সভাভূষণ সুখকন্দ-বিদ্যাপতির উপাধি।
** বিদ্যাপতির বিশেষণ------কবি সার্বভৌম,,মৈথিল কোকিল,,পঞ্চোপাসক,,
** বিদ্যাপতি মিথিলার ওইনীবার বা কামেশ্বর রাজবংশের সভাকবি।
**বিদ্যাপতি প্রাক চৈতন্যযুগের কবি।
🌹এক নজরে বিদ্যাপতীর গ্ৰন্থাবলী🌹
●●●●● ●●●●●●●
1...ভূপরিক্রমা (১৪০০ এর কাছাকাছি)
2...পুরুষপরীক্ষা (১৪১০খ্রিঃ)
3...কীর্তিপতাকা (১৪১০খ্রিঃ)
4...কীর্তিলতা (১৪১০খ্রিঃ)
5...লিখনাবলী (১৪১৮খ্রিঃ)
6...গঙ্গাবাক্যবলী (১৪৩০-১৪৪০খ্রিঃ)
7...শৈবসর্বস্বহার (১৪৩০-১৪৪০খ্রিঃ)
8...দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী (১৪৪০-১৪৬০খ্রিঃ)
9...বিভাবসার (১৪৪০-১৪৬০খ্রিঃ)
10....দানবাক্যবলী (১৪৪০-১৪৬০খ্রিঃ)
11...গোরক্ষবিজয়
12...মনিমঞ্জরী
🌸●●বিদ্যাপতি রচিত মনসামঙ্গল----- 'ব্যাড়িভক্তিতরঙ্গিনী''
🌷🌷●●◆◆
1...ভূপরিক্রমা------সংস্কৃতে লেখা তীর্থকাহিনি আদলে ভৌগলিক বিবরণ।
2...পুরুষপরীক্ষা-----কথাসাহিত্যের রূপে লেখা
3...কীর্তিপতাকা-----অবহট্ট ভাষায় লেখা তুর্কী অত্যাচাররের কাহিনি আছে।প্রশস্তিমূলক রচনা।
4...কীর্তিলতা------অবহট্ট ভাষায় লেখা কাহিনি ধর্মী রচনা।চম্পুজাতীয় কাব্য এটি,,
এখানে কবি নিজেকে খেলন কবি বলেছেন।
5...লিখনাবলী-----সংস্কৃত অলংকারিক বিষয়গ্ৰন্থ।
6....গঙ্গাবাক্যবলী-----তীর্থস্থানজাতীয় রচনা
7...দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী------ স্মৃতিশাস্ত্র সম্বন্ধীয় বিচারগ্ৰন্থ।
8...গোরক্ষবিজয়,মনিমঞ্জরী------সংস্কৃতে লেখা ক্ষুদ্র নাটক।
🌷🌷বিদ্যাপতি পদসংকলন------
●●●●●●
1...মহাজনী পদাবলী---জগবন্ধু ভদ্র ১৮৭৪ সালে প্রকাশ করেন।
2..বিদ্যাপতি পদাবলী---সারদাচরণ মিত্র ১৮৭৮ সালে প্রকাশ করেন।
❤বিদ্যাপতির রাধাকৃষ্ণবিষয়ক পদাবলী গুলি কোন গ্ৰন্থের আদর্শে রচিত❤
1,,জয়দেব------"গীতগোবিন্দ"
2,,অমরু রচিত------"অমরুশশতক"
3,,কালিদাসের------"ঋতুসংহার",,"শৃঙ্গারতিলক"
4,,ভানুদত্তের-------"রতিমঞ্জরী"
5,,বাৎস্যায়নের-------"কামসূত্র"
রীতি ও আদর্শে রচিত।।
🏵🏵 বিদ্যাপতি সম্পর্কিত কিছু রচনা🏵🏵
******* **** ●●● *********
@@ বিদ্যাপতি ও জয়দেব-----বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
@@ "চণ্ডীদাস ও বিদ্যাপতি"-----রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
@@ "বিদ্যাপতি বিচার"------সতীশচন্দ্র রায়
@@ "কবি বিদ্যাপতি"-----তারাপদ মুখোপাধ্যায়
🌼🌼
🌼★★
●পৃষ্ঠপোষক রাজা ----- নির্দেশে---- গ্ৰন্থ
***** ****** ****
1..কীর্তিসিংহ -------- "কীর্তিলতা"
2..দেবসিংহ -------- "ভূপরিক্রমা"
3..শিবসিংহ ------- "কীর্তিপতাকা",,,
"পুরুষপরীক্ষা"
4..পদ্মসিংহ,বিশ্বামদেবী ----- "শৈবসর্বস্বহার",,
"গঙ্গাবাক্যবলী"
5...নরসিংহ,ধীরমতি ------ "দানবাক্যবলী"
"বিভাগসার"
6...পুরাদিত্য ----- "লিখনাবলী"
7...ভৈরবসিংহ ------- "দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী"
🌹🌹 বিদ্যাপতি সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য🌹🌹
■●বিদ্যাপতির রাধাকৃষ্ণপদাবলীতে পদ আছে----পাঁচশোটি (আনুমানিক)
■●রাজাশিবসিংহ রাজত্ব করেন---চার বছর।
■●বিদ্যাপতি চণ্ডীদাস শ্রীগীত গোবিন্দ
এই তিন গীত প্রভু কর এই আনন্দ-----পদটি কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্যচরিতামৃতে আছে।
■●বিদ্যাপতিকে দান্তে ও চসারের সাথে তুলনা করা হয়।
■●বিদ্যাপতি বৈষ্ণব ধর্ম নেন---চল্লিশ বৎসর বয়েসে।
■●খেলন কবি অর্থাৎ কিশোর কবি।
■●বিদ্যাপতির পদ সংগ্ৰহে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব--গ্ৰিয়ার্সন এর
■●বিদ্যাপতি মিথিলার কবি একথা প্রথম প্রমান করেন----রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালে
বঙ্গদর্শন পত্রিকায়" বিদ্যাপতি" রচনায়।
■●বিদ্যাপতির হরপার্বতী বিষয়ক পদগুলি ---নাচারী ও মহেশবাণী নামে পরিচিত।
◆●পদাবলী কথার উৎস---জয়দেবের গীতগোবিন্দ
■● বিদ্যাপতি মৈথিলী ভাষায় পদ রচনা করেছেন।
■●ব্রজবুলি হল----বাংলা ও মৈথিলি ভাষার সংমিশ্রনে সৃষ্ট কৃত্রিম সাহিত্যিক মিশ্রভাষা।
অনেকে মনে করেন----ব্রজধামের গোপগোপীরা এই ভাষায় কথা বলতেন বলে এর নাম ব্রজবুলি।
বিদ্যাপতির রাধাকৃষ্ণবিষয়ক সুললিত পদই--এই ব্রজবুলি উৎপত্তির কারণ।।
■●শ্রীচৈতন্যদেব বিদ্যাপতির পদ আস্বাদন করতেন।
■●বিদ্যাপতি ----মাথুর ,নিবেদন,প্রার্থনা ,মান,ভাবানুরাগ পর্যায়ের পদ রচনায় শ্রেষ্ট।
■●নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত --প্রথম বিদ্যাপতির পদগুলির প্রামান্য সংকলন প্রকাশ করেন।
■●বিদ্যাপতির "পদাবলী পরিচয়"---গ্ৰন্থটির সংকলক হল---হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়।
■●ব্রজবুলি শব্দটি প্রথম ছাপার অক্ষরে ব্যবহার করেন-----ঈশ্বরগুপ্ত "সংবাদ প্রভাকর "পত্রিকায়।
■● ব্রজবুলি ভাষায় প্রথম পদ রচনা করেন---যশোরাজ খাঁ।
■●বিদ্যাপতির পদ উদ্ধৃত করেন----রাজেন্দ্রলাল মিত্র তার "বঙ্গভাষার উৎপত্তি" প্রবন্ধে।
■●বিদ্যাপতি-----পঞ্চোপাসক ছিলেন,,,পঞ্চদেবতারা হলেন------শৈব,শাক্ত,সৌর,বৈষ্ণব ,গানপত্য।
■●বিদ্যাপতির মাথুর পর্যায়ের মূল রস---শান্ত রস
■●বিদ্যাপতির জীবন দিয়ে নির্মিত একটি সিনেমা---বিদ্যাপতি(১৯৩৭) ,,বিদ্যাপতির ভূমিকায় অভিনয় করেন---পাহাড়ী সান্যাল।শিবসিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেন---পৃথ্বিরাজ কাপুর।
■◆রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়' বিদ্যাপতি' প্রবন্ধে বলেন -বিদ্যাপতি বাঙালী কবি নন।
■◆ভূগোল,ইতিহাস,স্মৃতিশাস্ত্র,সংস্কৃত-শাস্ত্রে পারদর্শিতার জন্য,বৈষ্ণব পদ লেখার জন্য বিদ্যাপতিকে কবিসার্বভৌম বলা হয়।
■◆বৈষ্ণব পদাবলীতে সবথেকে বিদ্যাপতির পদ বেশী।
■◆বিদ্যাপতির পর--গোবিন্দদাস,বলরাম দাস,রায়শেখর,রাধামোহন ঠাকুর এনারা ব্রজবুলি ভাষায় পদ লেখেন।
■◆বিদ্যাপতির জীবন নিয়ে নির্মিত সিনেমা হল------"বিদ্যাপতি"
বিদ্যাপতির ভূমিকায় অভিনয় করেন-----পাহাড়ী সান্যাল
রাজা শিবসিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেন--------পৃথ্বিরাজ কাপুর
■◆ বিদ্যাপতির দ্বারা অনুপ্রাণিত দুজন ওড়িয়া কবি-------চম্পতি রায়,,,
রাজা প্রতাপমল্ল দেব
🌸অষ্টাদশ শতাব্দীর যেসব পদসংকলনে বিদ্যাপতির পদ সংকলিত আছে🌸
## বিশ্বনাথ চক্রবর্তী------"ক্ষণদাগীতচিন্তামনি"
##রাধামোহন ঠাকুর------"পদামৃত সমুদ্র"
##গোকুলানন্দ সেনের -------"পদকল্পতরু"
🌹পরবর্তীকালে বিদ্যাপতির প্রভাব🌹
★রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর----ভানসিংহ ঠাকুরের পদাবলি তে ব্রজবুলি ভাষা ব্যবহার করেছেন।
★বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-----"মৃণালিনী" উপন্যাসে যে বৈষ্ণব পদ রচনা করেছেন তারও ভাষা ব্রজবুলি।
🌸বিদ্যাপতি সম্পর্কে কিছু মন্তব্য🌸
◆◆রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন-----
১.বিদ্যাপতির রাধা নবীনা নবস্ফুটা।
২.বিদ্যাপতিকে সুখের কবি বলেছেন।
৩.বিদ্যাপতির পদকে বিকৃত মৈথিল বলেছেন।
◆◆ শঙ্করীপ্রসাদ বসুর মতে----
বিদ্যাপতি মধ্যযুগের কবিসার্বভৌম।
◆◆সুকুমার সেনের মতে-----
শিবসিংহের মৃত্যুর পর বিদ্যাপতিকে মৌলিক কবিশিল্পী রূপে আর পাই না,পাই প্রধানত স্মার্ত পণ্ডিত মূর্তিতে।
◆◆অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়-------
বিদ্যাপতিকে বাইরের কবি বলেছেন।
◆◆ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী---------
বিদ্যাপতিকে পঞ্চোপাসক হিন্দু বলেছেন।
◆◆ রামকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়-----
বিদ্যাপতিকে মৈথিল কোকিল বলেছেন।
◆◆শিবসিংহ-----
বিদ্যাপতিকে অভিনব জয়দেব বলেছেন।
◆◆শ্রীকুমার বন্দোপাধ্যায়-----
কাব্যপ্রতিভা প্রসঙ্গে (বাংলা সাহিত্যের বিকাশের ধারা) গ্ৰন্থে বিদ্যাপতিকে cosmic Imagination বলেছেন।
◆◆বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়----
দূরগামিনী বেগবতী তরঙ্গসঙ্কুলা নদী।
বিদ্যাপতির কবিতা স্বর্ণহার এবং চণ্ডীদাসের কবিতা রুদ্রাক্ষমালা।
◆◆দীনেশচন্দ্র সেন-"বঙ্গভাষা ও সাহিত্য'"গ্ৰন্থে বলেছেন----
আমরা বাঙালির ধুতি চাদর পরাইয়া মিথিলার বড় পাগড়ী খুলিয়া ফেলিয়া তাহাকে আমাদের করিয়া লইয়াছি।
◆◆অসিত বন্দোপাধ্যায়------
ওয়ার্ডস্ওয়ার্থ ও কোলরীজের কবি ধর্মের যে সম্পর্ক চণ্ডীদাস ও বিদ্যাপতির রাধা চরিত্র পরিকল্পনার মূল বৈশিষ্ট্যটা কতকটা সেই ধরনের।
❤🏵বিদ্যাপতির উল্লেখযোগ্য পদ❤🏵
**হাথক দরপন মাথক ফুল(পূর্বরাগ,অনুরাগ)
**নহাই উঠল তীরে রাই কমলমুখী (পূর্বরাগ ও অনুরাগ)
**এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর(মাথুর)
**অব মথুরাপুর মাধব গেল। ( মাথুর)
**হরি গেও মধুপুর হাম কুলবালা (মাথুর)
**অঙ্কুর তপন-তাপে যদি জারব( মাথুর)
**চীর চন্দন উরে হার না দেলা (মাথুর)
**প্রেম অঙ্কুর জাত আত ভেল। (মাথুর)
**শীতের ওঢ়নি পিয়া গীরিষের বা। (ভাবোল্লাস)
**পিয়া যব আওর এ মঝু গেহে (ভাবোল্লাস ও মিলন)
**আজু রজনী হাম ভাগে পোহায়লুঁ (
ভাবোল্লাস ও মিলন)
**কি কহব রে সখি আনন্দ ওর (ভাবোল্লাস ও মিলন)
**মাধব বহুত মিনতি করি তোয় (প্রার্থনা)
**তাতল সৈকতে বারি বিন্দু সম (প্রার্থনা)
🌼 🌼চণ্ডীদাস🌼🌼
** প্রাক চৈতন্যযুগের কবি চণ্ডীদাস আনুমানিক ১৪১৭ খ্রিঃ কাছাকছি সময় জন্মগ্ৰহন করেছিলেন।তার মৃত্যু হয়-১৪৪৭ খ্রিঃ।
** বীরভূম জেলার নান্নুরে জন্ম (মতান্তরে বাঁকুড়ায় ছাতনায়)।
**চণ্ডীদাসের পিতার নাম-----দুর্গাদাস বাগচী।
** তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন।
** তিনি বাসুলী দেবীর সেবক ছিলেন।
** রামী --নামক এক রজক কন্যার প্রেমে আসক্ত ছিলেন।
** তিনি--পূর্বরাগ,নিবেদন,আক্ষেপানুরাগ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ছিলেন।
** তাঁর কাব্যে মণ্ডন কলার ঐশ্বর্য লক্ষ্য করা যায়।
** তাঁর কাব্যের বিশিষ্টতা হল---সহজ,সরল ভাষায় হৃদয়ের গভীর ভাবকে ব্যক্ত করা।
তিনি ব্যঞ্জনার কবি।
** তার চিত্রিত রাধা সহজ,সরল গ্ৰাম্য নারী,লজ্জাশীলা,ভীরু,সংকুচিতা,,,প্রেম তার কাছে আরাধনা। ভাবতন্ময়ী, কৃষ্ণগতপ্রাণা, বাহ্যজ্ঞানশূন্যা এক যোগিনী পারা নায়িকা।
** তার পদগুলির মধ্যে একটি মানবীয় আবেদন আছে।
** আধুনিক কালে জীবনানন্দ দাশের কবিতায়--চণ্ডীদাসের প্রভাব আছে।
** চণ্ডীদাসের কবিত্বের পরিচয় প্রথম পাওয়া যায়-------------রাজেন্দ্রলাল মিত্রের"" বিবিধার্থ সংগ্ৰহ"" প্রবন্ধে।
** চণ্ডীদাসের পদগুলি-----ব্যোমকেশ মুস্তাফি ১৩২১ বঙ্গাব্দে সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশ করেন।
** চণ্ডীদাসের সহজিয়া রাগাত্মিকাশ্রয়ী পদ প্রথম আবিষ্কার করেন-------নগেন্দ্রনাথ বসু।
** চণ্ডীদাসের পদ যে চৈতন্যদেব আস্বাদন করতেন তার প্রমান পাওয়া যায়------কৃষ্ণদাস কবিরাজের "চৈতন্যচরিতামৃত" গ্ৰন্থে।
** চণ্ডীদাসের কাব্যের ধ্রুবপদ হল---------দুহু কোরে দুহু কাঁদে বিচ্ছেদ ভাবিয়া।
** বিদ্যাপতির অতিআলংকারিতার চেয়ে চণ্ডীদাসের ভাষাকে বেশি প্রশংসা করেছেন-----বিদ্যাসাগর।
** চণ্ডীদাস মরমিয়া কবি ,,মিষ্টিক কবি।
**কবির কাব্যে আছে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধার অমৃত মন্ত্র------"সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই"।
** জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল থেকে -----চৈতন্যদেবের মৃত্যুর বাস্তব কারণ জানা যায়।
🌷চণ্ডীদাস সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন~~~
রামগতি ন্যায়রত্ন তার ------ "'বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব ""গ্ৰন্থে।
🌸চণ্ডীদাস সম্পর্কিত রচনা🌸
*** ১৩৪৭ সালে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত "'চণ্ডীদাস সমস্যা"' প্রবন্ধটি লেখেন------সুকুমার সেন।
*** ""চণ্ডীদাস চরিত""----------গ্ৰন্থটির লেখক কৃষ্ণপ্রসাদ সেন।এটি চণ্ডীদাসের জীবনীবিষয়ক গ্ৰন্থ।
যোগেশচন্দ্র রায়বিদ্যানিধি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দে প্রবাসী কার্যালয় থেকে এটি প্রকাশ করেন।
**** চণ্ডীদাস ও বিদ্যাপতি------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
🏵চণ্ডীদাস সম্পর্কিত মন্তব্য🏵
&& শঙ্করীপ্রসাদ বসু--------
চণ্ডীদাসকে কবিতাপস বলেছেন।
&& সত্যগিরি---------
চণ্ডীদাস সহজতম ভাষায় প্রেমের গভীর আনন্দ বেদনার রূপকার।
&& রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর--------
দুঃখের কবি
চণ্ডীদাস সহজ ও গভীর।
চণ্ডীদাস সহজ ভাষার ও সহজ ভাবের কবি।
তিনি একছত্র লেখেন দশছত্র পাঠকের দ্বারা লেখাইয়া লন।
&& শঙ্করীপ্রসাদ বসু---------
আক্ষেপানুরাগের সর্বস্ব চণ্ডীদাস, চণ্ডীদাসেরর সর্বস্ব আক্ষেপানুরাগ।
&& জ্ঞানদাস---------
চণ্ডীদাস রসপদ্মে অলি।
&&বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়------
সায়াহ্ন সমীরণের দীর্ঘশ্বাস
🌸🌸 চণ্ডীদাসের পদ🌸🌸
●● পূর্বরাগ ও অনুরাগ●●
★সই কেবা শুনাইল শ্যাম নাম
★রাধার কি হইল অন্তরে ব্যথা
★ঘরের বাইরে দণ্ডে শতবার
★একে কুলবতী ধনী তাহে সে অবলা
★কাহারে কহিব মনের মরম
★এমন পিরীতি কভু দেখি নাই শুনি
●● রূপোল্লাস●●
★কানন কুসুম জিনি কালিয়া বরণখানি
●●অভিসার●●
★এ ঘোর রজনী মেঘের ঘটা
●●বংশী ও নৃত্যশিক্ষা●●
★আজু কে গো মুরলী বাজায়
●●প্রেমবৈচিত্ত্য ও আক্ষেপানুরাগ●●
★যত নিবাইতে চাই নিবাই না যায় রে
★বঁধু কি আর বলিব তোরে
★কি মোহিনী জান বঁধু কি মোহিনী জান
★তোমারে বুঝাই বঁধু তোমারে বুঝাই
★মন মোর আর নাহি লাগে গৃহকাজে
★কালো জল ঢালিতে সই কালা পড়ে মনে
●●নিবেদন●●
★বঁধু কি আর বলিব আমি
★বঁধু তুমি সে আমার প্রাণ
★জপিতে তোমার নাম বংশী ধরি অনুপাম
●●মাথুর●●
★ললিতার কথা শুনি হাসি হাসি বিনোদিনী
★রাইয়ের দশা সখীর মুখে
●●ভাবোল্লাস ও মিলন●●
★সই জানি কুদিন সুদিন ভেল
★বহুদিন পরে বঁধুয়া এলে
🌼🌼জ্ঞানদাস🌼🌼
●●সুবর্ণ যুগ রূপে পরিচিত ষোড়শ শতাব্দী অন্যতম শ্রেষ্ট কবি জ্ঞানদাস।
●●জ্ঞানদাস ১৫৩০ খ্রিঃ বর্ধমান জেলায় কাঁদড়া গ্ৰামে জন্মগ্ৰহন করেন ব্রাহ্মন বংশে।
●●তিনি রাঢ় অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন।
●●তিনি নিত্যানন্দের পত্নী জাহ্ণবা দেবীর শিষ্য ছিলেন।
●●জ্ঞানদাসের নাম পাওয়া যায়----চৈতন্যচরিতামৃতে নিত্যানন্দ শাখায়।
●●তিনি পূর্বরাগ,অনুরাগ,রূপানুরাগ,নিবেদন ও আক্ষেপানুরাগ পর্যায়ের পদে শ্রেষ্টত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
●● তিনি রাধাকৃষ্ণবিষয়ক পদাবলী ছাড়াও গৌরাঙ্গ ও নিত্যানন্দ লীলা বিষয়ক পদ লিখেছেন।
●●জ্ঞানদাসকে দ্বিতীয় চণ্ডীদাস বা চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য বলা হয়।
●● জ্ঞানদাসকে মহাজনী পদাবলীকার বলা হয়।
●● তিনি মঞ্জরী ভাবের উপাসক ছিলেন।
●●পদাবলী সাহিত্যের রোমান্টিক কবি হলেন---জ্ঞানদাস।
●●জ্ঞানদাসকে গীতিকবি বলা হয়।
●●বাংলা ও ব্রজবুলি এই দুই ভাষাতেই পদ রচনা করেছেন।
●● কাব্যজীবনের প্রথম দিকে কবি,বিদ্যাপতিকে গুরু রূপে বরণ করেছিলেন ,তাই তার প্রথম পর্যায়ের পদগুলিতে রূপসৌন্দর্য চেতনা, ও কামনা বাসনার উত্তাপ লক্ষিত হয়।
●● কাব্যজীবনের দ্বিতীয় পর্যায়ে চণ্ডীদাসকে গুরু রূপে বরণ করায়,চণ্ডীদাসের পদের ভাব গভীরতা এবং ব্যঞ্জনধর্মীতা জ্ঞানদাসকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করেছিলো।
●● জ্ঞানদাস তার পদের ভাবগভীরতার সঙ্গে শিল্পোৎকর্ষতার সার্থক সম্বন্বয় করেছিলেন।
●● তিনি বৈষ্ণব পদসাহিত্যে বংশীমূলক পদসংযোজন করেছেন।
●● কবি নিত্যানন্দ গোষ্ঠীর ছিলেন।
●●তিনি খেতুড়ির বৈষ্ণব সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন,এখানে বলরাম ও গোবিন্দদাসের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়।
●● খেতুরী বাংলাদেশের রাজশাহীতে অবস্থিত। খেতুরীর মহোৎসব হয়-----১৫৮৩ খ্রিঃ,,এটি করেছিলেন ---নরহরি দাস।
●● কোন কোন বৈষ্ণব আচার্যের সম্পর্শে আসেন---------শ্রীজীব গোস্বামী
রঘুনাথ দাস
গোপাল ভট্ট
কৃষ্ণদাস কবিরাজ
●● গোকুলানন্দ সেনের ---"পদকল্পতরু" তে জ্ঞানদাসের ১৮৬ টি পদ পাওয়া যায়,,এর মধ্যে ---১০৫ টি পদ ব্রজবুলিতে লেখা
----৮১ টি পদ বাংলায় লেখা।
৩১১ টি পদ হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণবপদাবলীতে স্থান পেয়েছে।
●●হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের মতে --------জ্ঞানদাস এর পদের সংখ্যা---৪০০ টি।
🌸🌸 জ্ঞানদাস রচনা-----🌸🌸
★★ একটি ছোটো বৈষ্ণব আগম নিবন্ধ পাওয়া যায়,,যার নাম---""ভাগবততত্ত্বলীলা বা ভাগবতোত্তর""
যদিও সুকুমার সেন এ বিষয়ে সন্দীহান।
★★ "যশোদার বাৎসল্যরস "-----পালাগানটির রচয়িতা।
🌸🌸জ্ঞানদাস সম্পর্কিত বই🌸🌸
●●" জ্ঞানদাস ও তার পদাবলী"--(১৯৬৫)-----বিমানবিহারী মজুমদার।
🌹🌹জ্ঞানদাস সম্পর্কে মন্তব্য🌹🌹
★★নরহরি চক্রবর্তী তাঁর ----"ভক্তিরত্নাকর" নামক বৈষ্ণব শাস্ত্র ইতিহাসে কোষগ্ৰন্থে জ্ঞানদাসকে ----"মৃদঙ্গবাদক" রূপে উল্লেখ করেছেন।
★★রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-----
জ্ঞানদাসের কবিতা যখন শুনলুম তখন মনে হল এ যে আধুনিক।
🌹🌹জ্ঞানদাসের পদ🌹🌹
●●গৌরাঙ্গবিষয়ক পদ●●
★সহচর অঙ্গে গোরা অঙ্গ হেলাইয়া।
●●শ্রীকৃষ্ণের ও শ্রীরাধার রূপ●●
চূড়াটি বান্ধিয়া উচ্চ কে দিলে ময়ূরপুচ্ছ।
●●পূর্বরাগ ও অনুরাগ●●
★আ লো মুঞ্চি জানো না।
★রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর।
★জাতি কুল শীল মোর সব বুঝি গেল।
★হাসিতে খসিয়া পড়ে কত মধু -ধার।
★ঘরে যাইতে পথ মোর হইল অফুরান।
●●রূপোল্লাস●●
দেখে এলাম তারে সই দেখে এলাম তারে।
●●অভিসার●●
★কানু অনুরাগে হৃদয় ভেল কাতর।
★মেঘ যামিনী অতি ঘন আন্ধিয়ার।
★ঝলকত দামিনী দশদিশ আপি।
●●বংশী ও নিত্যশিক্ষা●●
★ঘর হইতে আইলাম বাঁশি শিখিবারে।
★ধরবা ধরবা ধর মোর পীতবাস পর।
★চরণে চরণ রাখ/কদম্ব হিলনে থাক/তবে সে বিনোদ বাঁশী বাজে।
●●মান ও কলহান্তরিতা●●
★চাহ মুখ তুলি রাই চাহ মুখ তুলি।
●● প্রেমবৈচিত্ত্য ও আক্ষেপানুরাগ●●
★সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু।
●●নিবেদন●●
★বঁধু তুমি সে আমার প্রাণ।
★বঁধু, তোমার গরবে গরবিনী হাম।
🌼🌼গোবিন্দদাস🌼🌼
◆◆চৈতন্য পরবর্তীকালের বৈষ্ণব কবি গোবিন্দদাস।
◆◆ষোড়শ শতাব্দীর চতুর্থ দশকে চৈতন্য তিরোধানের পর তিনি জন্মগ্ৰহণ করেন এবং আনুমানিক সপ্তদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে তার মৃত্যু হয়।
◆◆তিনি বর্ধমানের কাটোয়ার কাছে শ্রীখণ্ড গ্ৰামে জন্মগ্ৰহণ করেন।
◆◆তাঁর আদিনিবাস ছিল----কুমার নগর।
◆◆তাঁর পিতা ছিলেন---- চৈতন্যভক্ত চিরঞ্জীব সেন।।
মাতা-----সুনন্দা দেবী
মাতামহ------পণ্ডিত দামোদর সেন-----""সঙ্গীত দামোদর "" গ্ৰন্থের রচয়িতা।
◆◆ গোবিন্দদাসের পত্নী-----মহামায়া দেবী
গোবিন্দদাসের পুত্র------দিব্যসিংহ
গোবিন্দদাসের অনুজ----রামচন্দ্র
◆◆ তিনি ভক্ত ও পণ্ডিত কবি ছিলেন।
◆◆গৌড়ীয় বৈষ্ণবদর্শনের ভাবধারা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি পদ রচনা করেন।
◆◆তিনি রসশাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্য অর্জন করেন।
◆◆বিদ্যাপতির পদের রচনারীতি দ্বারা তিনি গভীর ভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন সেইজন্য তাকে "দ্বিতীয় বিদ্যাপতি "বা "বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য" বলা হয়।
◆◆গৌরাঙ্গবিষয়ক,গৌড়চন্দ্রিকা বিষয়ক, এবং অভিসার পর্যায়ের পদ রচনায় তিনি শ্রেষ্টত্বের পরিচয় দিয়েছেন।গৌড়চন্দ্রিকা পদ সবথেকে বেশি লিখেছিলেন----গোবিন্দদাস।
◆◆ ডঃ বিমানবিহারী মজুমদার -----গোবিন্দদাসের -- ৮০০ টি পদের উল্লেখ করেছেন।
◆◆তাঁর পদে-----যশোহর রাজা প্রতাপাদিত্যের নাম পাওয়া যায়।
◆◆হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের সংকলন গ্ৰন্থে---গোবিন্দদাসের ২৯৭ টি পদ ধৃত হয়েছে।
◆◆তিনি মূলত ব্রজবুলি ভাষায় পদ লিখেছিলেন।
◆◆তার পদে সংস্কৃত শব্দের বাহুল্য লক্ষ্য করা যায়।
◆◆শব্দচয়নে নৈপুন্য,অলঙ্কার বিন্যাস কৌশল,ছন্দ সুষমায়,কাব্যের আঙ্গিক উৎকর্ষ সৃষ্টির প্রতিও কবি যথেষ্ট যত্নশীল ছিলেন।
◆◆তার পদগুলির মধ্যে একটা আনুপূর্বিক সংহতি আছে। নাটকীয়তার বৈশিষ্ট্য ও সঙ্গীত গুণে ,,আধ্যাত্মিক ব্যঞ্জনা ও মানবীয় আবেদনে পদগুলি সমৃদ্ধ।
◆◆গোবিন্দদাসের ব্রজবুলি-------অকৃত্রিম ও খাঁটি,,বাংলা শব্দ ও পদের তাতে মিল হয়নি।
◆◆গোবিন্দদাসকে 'অলৌকিক কবি' শিরোমণি বলা হয়।
◆◆গোবিন্দদাস ---শ্রীচৈতন্যদাস নামে পরিচিত।
◆◆গোবিন্দদাসকে----শাব্দিক কবি বলা হয়।
◆◆গোবিন্দদাসকে------সঙ্গীত প্রধান কবি বলা হয়।
◆◆রাধিকার বারোমাস্যা বর্ণনা করেন----গোবিন্দদাস।
◆◆গোবিন্দদাস তার শেষ জীবন কাটিয়েছেন---মুর্শিদাবাদের তেলিয়া-বুধুরী গ্ৰামে।
■■🌷🌷গোবিন্দদাস প্রথম জীবনে শাক্ত ছিলেন।পরে তিনি ------"শ্রী নিবাস আচার্যের" কাছে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষা নেন।
গোবিন্দদাস বৈষ্ণব দীক্ষা নেন----৪০ বৎসর বয়েসে।
■■ তিনি শ্রী নিবাস আচার্যের নির্দেশে পাঠ করেন--------
শ্রী রূপ গোস্বামীর লেখা-----
1..ভক্তিরসামৃত সমুদ্র
2..উজ্জ্বলনীমণি
🌷উপাধি🌷
গোবিন্দদাসের কবিত্বশক্তিতে মুগ্ধ হয়ে---শ্রীজীব গোস্বামী---তাঁকে "কবিরাজ" বা "কবীন্দ্র" উপাধি দেন।
🏵গোবিন্দদাসের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে জানা যায় যে সব সূত্র থেকে🏵
1,,গোবিন্দদাসের লেখা------"সঙ্গীতমাধব" নাটক থেকে।
2,,রামগোপাল দাসের লেখা-----"রসকল্পবল্লী" গ্ৰন্থ থেকে
3,,নরহরি চক্রবর্তীর লেখা----- "ভক্তিরত্নাকর" গ্ৰন্থ থেকে।
🌸 গোবিন্দদাসের রচনা🌼
1.."একান্নপদ বা ত্বষ্ট্বকালীয় লীলাবর্ণনা"--গ্ৰন্থ
2..."সঙ্গীতমাধব"-----নাটকটি ব্রজবুলি ও
সংস্কৃতে লেখা। এতে কৃষ্ণের কথা বর্ণিত আছে।
নাটকটি----সন্তোষদত্তের অনুরোধে লেখা।
3...শিখরভূমির রাজা হরিনারায়নের প্রীতিতে তিনি একটি ----রামবন্দনামূলক পদ লেখেন।
🌸 গোবিন্দদাস সম্পর্কিত গ্ৰন্থ🌸
●●বিমানবিহারী মজুমদার-----"গোবিন্দদাসের পদাবলী ও তার যুগ"
●●জয়গোপাল গোস্বামী------"গোবিন্দদাসের কড়চা"
🌸 গোবিন্দদাস সম্পর্কে মন্তব্য🌸
1,,নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত বলেছেন------গোবিন্দদাস বাঙালী কবি নন।
2,,শঙ্করী প্রসাদ বসু -----"মধ্যযুগের কবি ও কাব্য" গ্ৰন্থে বলেছেন----গোবিন্দদাস কবিরাজ ভক্ত কবি,বৈষ্ণব কবি,আরাধনার কবি।
3,,বল্লভদাস বলেছেন----কাবরস অমৃতের খনি।
4,,কালিদাস রায় বলেছেন-----গোবিন্দদাসের মত শ্রেষ্ট কবি শুধু বাংলায় কেন ভারতবর্ষেও দুর্লভ।
5,,শঙ্করীপ্রসাদ বসু বলেছেন------
অভিসারের পদে গোবিন্দদাস রাজাধিরাজ।
@@&& ---গোবিন্দদাসকে দ্বিতীয় বিদ্যাপতি বলেন------বল্লভদাস। তার উক্তি----
ব্রজের মধুর লীলা, যা শুনি দরবে শিলা, রচিলেন কবি বিদ্যাপতি,,
তাহা হৈতে নহে ন্যূন, গোবিন্দের কবিত্বগুণ,গোবিন্দ দ্বিতীয় বিদ্যাপতি।।
,🏵 গোবিন্দদাসের পদ🏵
◆◆গৌরাঙ্গবিষয়ক◆◆
●●নীরদ নয়নে নীরঘন সিঞ্চনে
●●চম্পক শোণ-কুসুম কনকাচল
●●পতিত হেরিয়া কান্দে স্থির নাহি বান্ধে
◆◆পূর্বরাগ ও অনুরাগ◆◆
●●ঢলঢল কাঁচা অঙ্গের লাবণি
●●যাঁহা যাঁহা নিকসয়ে তনু তনু জ্যোতি
●●সহচরি মেলি চললি বররঙ্গিনী
●●রূপে ভরল দিঠি সোঙরি পরশ মিঠি
●●আধক আধ আধ দিঠি অঞ্চলে
◆◆অভিসার◆◆
●●কণ্টক গাড়ি কমলসম পদতল
●●মন্দির বাহির কঠিন কপাট
●●কুল মরিয়াদ কবাট উদ্ঘাটলুঁ
●●আদরে আগুসরি রাই হৃদয়ে ধরি
●●মাধব কি কহব দৈব বিপাক
●●সুন্দরী কৈছে করবি অভিসার
●●কৈছে হৃদয় করি পন্থ হেরত হরি
●●নিজ কর কমলে চরণ যুগ মোছই
◆◆মান ও কলহান্তরিতা◆◆
●●আন্ধল প্রেম পহিলে নাহি হেরলুঁ
●●শুনইতে কানু-মুরলীরব-মাধুরী
●●কুলবতী কোই নয়নে জনি হেরই
●●সুবাসিত বারি ঝারি ভরি তৈখনে
◆◆প্রেমবৈচিত্ত ও আক্ষেপানুরাগ◆◆
●●নাগর সঙ্গে রঙ্গে যব বিলসই
●●আমি তারে ভালোবাসি অস্থিমজ্জা সহ
◆◆মাথুর◆◆
●●নামহি অক্রূর ক্রূর নহে যা সম
●●পিয়ার ফুলের বনে পিয়ার ভ্রমরা
●●প্রেমক অঙ্কুর জাত আত ভেল
●●যো মুখ নিসসনে নিমিখ না সহই
●●যাঁহা পহুঁ অরুণ-চরণে চলি যাত
●●নন্দনন্দন চন্দচন্দন
♦♦আমি আমার মতো পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে বৈষ্ণব পদাবলীর চারজন শ্রেষ্ঠ পদকর্তা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরে সামগ্ৰিক আলোচনা করার চেষ্টা করলাম,,,এই কাজটি করতে গিয়ে নানা নির্ভরযোগ্য বই ছাড়াও ,,ইন্টারনেটের পেজ,,ও অন্যান্য অনেক জায়গা থেকেও তথ্য নিতে হয়েছে।।
★তথ্যসংগ্রহ -- মৌমিতা কার্ফা★
(ছাত্রী- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়)
♦অ্যাডমিন-- সাকসেস বাংলা গ্রুপ♦