গণনাট্য এবং নবনাট্য সমকালীন ও উত্তরকালের একাঙ্ক নাটক


  ♦♦একাঙ্ক নাটক♦♦
     ••••••••••••••••

¤ একাঙ্ক নাটক স্বরূপ ও বিকাশ :-
এক অঙ্কের স্বল্প পরিসরে স্বল্পকালের সীমায় মাত্র কয়েকটি চরিত্রের বুদ্ধিদীপ্ত ও ব্যঞ্জনাগর্ভী সংলাপে জীবনের গভীরভাব নাটকীয় তাৎপর্য লাভ করে যে শ্রেণির নাটকে, তাই হল একাঙ্ক নাটক।

¤ পঞ্চাঙ্ক নাটকের সঙ্গে পার্থক্য :-

পঞ্চাঙ্ক নাটককে পূর্ণাঙ্গ নাটক বলে। পঞ্চাঙ্ক নাটকের সঙ্গে একাঙ্ক নাটকের আকারগত ও শ্রেণিগত উভয়দিকে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। শ্রীশচন্দ্র দাস তাঁর 'সাহিত্য সন্দর্শন' গ্রন্থে বলেছেন, 'পঞ্চমাঙ্ক নাটকে এক বা বহু ঘটনার সমাবেশ থাকিতে পারে এবং স্থান হইতে স্থানান্তরে, দৃশ্য হইতে দৃশ্যান্তরে নাটকীয় বিষয়বস্তু বা কুশীলবগণের পরিবর্তন ইহাদের মধ্যে অস্বাভাবিক নহে। কিন্তু একাঙ্কিকায় একটিমাত্র বিশেষ ঘটনা সংস্থাপনের সংক্ষিপ্ত পরিধির মধ্যে একটি বিশেষ ভাব সৃষ্টির সহায় রূপে পরিকল্পিত হয়।'
                        আধুনিক ব্যস্ত মানুষের কাছে উপন্যাস অপেক্ষা ছোটগল্প যেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, ঠিক তেমনই ভাবে পঞ্চমাঙ্ক নাটক অপেক্ষা একাঙ্ক নাটক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চমাঙ্কের পূর্ণাঙ্গ নাটক দেখতে দেখতে দর্শকেরা যখন ক্লান্ত, তখন সংক্ষিপ্ত পরিসরের নাটকীয় উৎকণ্ঠামুখর কাহিনি ও চরিত্রের তীব্র একমুখীনতা দর্শকদের ভিন্ন এক অনুভূতি এবং আনন্দের জগতে নিয়ে গেছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে নাট্যাভিনয় দেখার মতো অখণ্ড অবসর এই ব্যস্ত কালের মানুষের না থাকায়, একাঙ্ক নাটক বর্তমান দিনে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একাঙ্ক নাটকে একের বেশি চরিত্র থাকলেও একটি চরিত্রের বিকাশই নাট্যকারের অভিপ্রেত হয়। পঞ্চমাঙ্ক নাটকে এমনটি দেখা না গেলেও, একাঙ্ক নাটককে পঞ্চমাঙ্ক নাটকের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ কখনও বলা যাবে না। একাঙ্ক নাটকে অল্পসময়ের মধ্যে নাটকীয় ঘটনার চরম পরিণতি দেখাতে হয়, পঞ্চমাঙ্ক নাটকে নাটকীয় ঘটনা ধীরে ধীরে পরিস্ফুট হয়।

¤ একাঙ্ক নাটকের বৈশিষ্ট্যসমূহ :-

১) তীব্র একমুখীন গতি থাকে একাঙ্ক নাটকে।
২) অল্প কয়েকটি চরিত্রের উপস্থিতি ঘটে এবং একটি চরিত্রের বিকাশই নাট্যকারের অভিপ্রেত হয়।
৩) ছোটগল্পের মতো 'singleness of aim' এবং 'singleness of effect'-র উপর একাঙ্ক নাটকের নাট্যকার গুরুত্ব প্রদান করেন।
৪) ছোটগল্পের মতো নাটক শেষ হওয়ার পর মনে হয় - 'শেষ হইয়াও হইল না শেষ'। তবে ছোটগল্প বর্ণনাত্মক, একাঙ্ক নাটক দৃশ্যকাব্য।
৫) আধুনিক জীবনের সংশয় ও দ্বন্দ্বের প্রকাশ ঘটে একাঙ্ক নাটকে।
৬) একাঙ্ক নাটকে নাট্যকারের একটিমাত্র উদ্দেশ্য সক্রিয় থাকে।
৭) নাটকীয় ঘটনা দর্শকের কৌতূহল বজায় রাখতে সক্ষম হয়।
৮) যবনিকা উন্মোচনের পর দ্রুতগতিতে কাহিনি ও ঘটনা পরিণতি লাভ করে।
৯) একাঙ্ক নাটকের একটি অঙ্কে একের বেশি দৃশ্য থাকতে পারে।
১০) একাঙ্ক নাটক ইঙ্গিতধর্মী হয়।

¤ বাংলা একাঙ্ক নাটকের উদ্ভব ও বিকাশ :-

একাঙ্ক নাটককে সম্পূর্ণভাবে আধুনিককালের সৃষ্টি বলা হলেও, শ্রীরূপ গোস্বামীর 'জলকেলী কৌমুদী'তে একাঙ্ক নাটকের সমস্ত বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায়। ভরত মুনীর নাট্যশাস্ত্রে ভাণ, ব্যায়োগ, উৎসৃষ্টিকাঙ্ক, প্রহসন, বীথি নামে পাঁচ ধরনের একাঙ্ক নাটকের কথা উল্লেখিত হয়েছে। ভাসের 'দূত ঘটোৎকচ', মধ্যম ব্যায়োগ', 'দূতবাক্য', 'উরুভঙ্গ' প্রভৃতি নাটকে একাঙ্ক নাটকের অনেক বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায়। বাংলা একাঙ্ক নাটকগুলির প্রেরণা এবং আদর্শ হয়েছে মূলত পাশ্চাত্য একাঙ্ক নাটক। অনেক সমালোচক বলেছেন, পঞ্চদশ শতকে লেখা ইংরেজি 'এভারম্যান' নাটক আদি পাশ্চাত্য একাঙ্ক নাটক।
     
                     তারপর দীর্ঘ ট্র্যাজেডি নাটকের আগে বা পরে স্বল্পক্ষণের লঘু হাস্যরসাত্মক কমেডি নাটক পরিবেশিত হত। এই কমেডিগুলিতে একাঙ্ক নাটকের অনেক বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায়। বিশ শতকে একাঙ্ক নাটকে বৈচিত্র্য এল। শুধু হাস্যরসাত্মক উপাদান নিয়ে একাঙ্ক নাটক সৃষ্টি হল না, জীবনের গুরুগম্ভীর বিষয় একাঙ্ক নাটকে স্থান করে নিল পাশ্চাত্য নাট্য সাহিত্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে অবলম্বন করে গিরিশচন্দ্র ঘোষের 'সপ্তমীতে বিসর্জন', দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের 'পুনর্জন্ম', রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'খ্যাতির বিড়ম্বনা'-র হাত ধরে আধুনিক বাংলা একাঙ্ক নাটক পূর্ণতা লাভ করে মন্মথ রায়ের হাতে। 1923 খ্রিস্টাব্দে অভিনীত মন্মথ রায়ের 'মুক্তির ডাক'ই একালের প্রথম সার্থক একাঙ্ক নাটক।

                       আমরা এর আগে মন্মথ রায়, তুলসী লাহিড়ী, বিজন ভট্টাচার্য, দিগিন্দচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের একাঙ্ক নাটক আলোচনা করেছি। উৎপল দত্তের 'কাকদ্বীপের তকমা', 'নীলকণ্ঠ' প্রভৃতি একাঙ্ক নাটকগুলি একসময় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।

                        কিরণ মৈত্রের 'বিচারক', 'ভাগ্য লেখা', অমর গঙ্গোপাধ্যায়ের 'দ্বান্দ্বিক', সুনীল দত্তের 'লুঠতরাজ', সলিল সেনের 'সন্ন্যাসী', নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের 'বারোভূত', 'ভাড়াটে চাই', 'এক সন্ধ্যায়', সোমেন্দ্র নন্দীর 'মূলধন', ধনঞ্জয় বৈরাগীর 'এক পশলা বৃষ্টি', 'রঙের টেক্কা', শৈলেশ গুহ নিয়োগীর 'রিহার্সাল', 'পলিটিক্স', 'গোলপার্ক', জোছন দস্তিদারের 'কালোমাটির কান্না', মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের 'বাইরের দরজায়' প্রভৃতি একাঙ্ক নাটকগুলি বিষয় ও আঙ্গিক বৈচিত্র্যে স্মরণীয় হয়ে আছে।

        ♦ কয়েকটি স্মরণীয় একাঙ্ক নাটক ♦
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

মন্মথ রায়, তুলসী লাহিড়ী, বিজন ভট্টাচার্য, দিগিন্দচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের স্মরণীয় একাঙ্ক নাটক আমরা এর আগে আলোচনা করেছি। এখন এই পর্যায়ের অন্যান্য স্মরণীয় একাঙ্ক নাটকগুলি আলোচনা করছি।

¤ অনাদি বসুর একাঙ্ক নাটক :-
   ~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'আলোর নিশানা' (১৯৭৯)
২) 'বিবর্তন' (১৯৮০)
৩) 'দূষণ' (১৩৯৫ বঙ্গাব্দ)
৪) 'শপথ' (১৯৯৫)
৫) 'ইতিহাস কথা কয়' (২০০১)
৬) 'জন্ম শতবর্ষ'

¤ অমল রায়ের একাঙ্ক নাটক :-
    ~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'কেননা মানুষ'
২) 'এ দেশেও নর্মান বেথুন' (১৯৭৮)
৩) 'ঘটোৎকচ'
৪) 'অন্য এক মারীচ'
৫) 'এখনি অস্ত্র শানাও'
৬) 'নচিকেতা'
৭) 'জতুগৃহ'
৮) 'বিদ্রোহের থিয়েটার' (১৯৮০)
৯) 'নিঃশেষে প্রাণ'
১০) 'শিব ঠাকুরের আপন দেশে' (১৩৮৫ বঙ্গাব্দ)
১১) 'শেষ প্রহর' (১৯৮৩)
১২) 'ধরম যুদ্ধ' (১৯৯০)
১৩) 'মানুষ কান পেতে আছে' (১৯৯১)
১৪) 'ইঁদুর দৌড়' (১৯৯৪)
১৫) 'বন্দীশালার ডাক'

¤ অসীম ঘোষের একাঙ্ক নাটক :-
    ~~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'বাতিল' (১৯৯৩)
২) 'কাকলাস' (১৯৯৪)
৩) 'পৌপপুনিক' (১৯৯৪)
৪) 'নীড় থেকে নিরালয়' (২০০০)

¤ কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়ের একাঙ্ক নাটক :-
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'হজমশক্তি' (১৯৮৭)
২) 'স্পন্দন' (১৯৮৮)
৩) 'কেনা কুসুমের কথা' (১৯৮৮)
৪) 'সুখী বদন' (১৯৯০)
৫) 'মহীনের যুদ্ধ' (১৯৯১)
৬) 'একটি খোলা চিঠি ও আমরা' (১৯৯১)
৭) 'ভারতবর্ষ' (১৯৯২)

¤ চিত্তরঞ্জন দাশের একাঙ্ক নাটক :-
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'সন্ত্রাস' (১৯৬২)
২) 'মৃত্যুহীন' (১৯৬৫)
৩) 'সমুদ্রের স্বাদ' (১৯৬৫)
৪) 'উজান' (১৯৬৬)
৫) 'ভিয়েতনাম' (১৯৬৬)
৬) 'সংগ্রামের নাটক' (১৩৭৪ বঙ্গাব্দ)
৭) 'গণনাটক' (১৯৬৭)
৮) 'নীতিবাগীশ' (১৯৬৮)
৯) 'অন্ধকারের মুখ' (১৩৭৯ বঙ্গাব্দ)
১০) 'পদক্ষেপ' (১৯৬৮)
১১) 'মৃত্যু থেকে ফিরে' (১৯৬৯)
১২) 'কম্বোডিয়া' (১৯৭১)
১৩) 'সমরের ঘড়ি' (১৯৭২)
১৪) 'গফুর আমিনা সংবাদ' (১৯৭৫)
১৫) 'আমিনা কাহিনি' (১৯৭৬)
১৬) 'অন্ধকারের প্রভু' (১৯৮০)
১৭) 'যুদ্ধ শুরু আজ' (১৯৯০)
১৮) 'মৈনুদ্দিনের ভূত' (১৯৯৫)

¤ মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের একাঙ্ক নাটক :-
   ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'বাইরের দরজা' (১৩৭৬ বঙ্গাব্দ)
২) 'রাক্ষস' (১৩৭৬ বঙ্গাব্দ)
৩) 'বাজপাখি' (১৩৭৬ বঙ্গাব্দ)
৪) 'সোনার চাবি' (১৯৭৩)
৫) 'বর্ণ বিপর্যয়' (১৯৭৩)
৬) 'মাছি' (১৯৮৯)
৭) 'দর্পণ' (১৯৯১)

¤ রাধারমণ ঘোষের একাঙ্ক নাটক :-
   ~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'অর্থ স্বর্গ বিচিত্রা' (১৯৫৮)
২) 'ইতিহাস কাঁদে' (১৯৭১)
৩) 'হারাধনের দশটি ছেলে' (১৯৭২)
৪) 'শতাব্দীর পদাবলী' (১৯৭৩)
৫) 'হইতে সাবধান' (১৯৭৩)
৬) 'সূর্য নেই স্বপ্ন আছে'
৭) 'মুচকি মঙ্গল কাব্য' (১৩৮০ বঙ্গাব্দ)
৮) 'কলিকালের কড়চা'
৯) 'অহম্-আবাম্-বয়ম'
১০) 'কৈলাস বদ্ধ উন্মাদ'
১১) 'বিবর্ণ বিস্ময়' (১৩৮৫ বঙ্গাব্দ)

¤ শ্যামলতনু দাশগুপ্তের একাঙ্ক নাটক :-
   ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'যাদুকর'
২) 'বাদক'
৩) 'শীতের আগুন'
৪) 'ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্র'
৫) 'বন্ধদরজা'
৬) 'সাগর মোহনায়'
৭) 'উপজিল বিষহরি'
৮) 'অগ্নিগর্ভ হেকেমপুর ও পরাণ মণ্ডলের ঘর গেরাস্তি'
৯) 'চৌহদ্দি পেরিয়ে' (১৯৮৩)
১০) 'দিগন্ত' (১৯৮৭)
১১) 'নিখোজ চরিত' (১৯৮৯)
১২) 'লগন মাঝির ট্যাঙ্গি' (১৯৯১)
১৩) 'একটি সজল কাঠগড়া ও চৌধুরী বাড়ির অলকা' (১৯৯৩)

¤ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের একাঙ্ক নাটক :-
   ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'কলুষ' (১৯৮৯)
২) 'পিপাসা' (১৯৯১)
৩) 'আলোকরেখা' (১৯৯১)
৪) 'ফাঁকি' (১৯৯১)
৫) 'সদগতি' (১৩৯১ বঙ্গাব্দ)
৬) 'স্রোতের বাইরে' (১৯৯২)
৭) 'অনিন্দিতা' (১৯৯৩)
৮) 'চক্রব্যুহ'
৯) 'শাশ্বতী'
১০) 'প্রণয়বিভ্রাট' (১৪০২ বঙ্গাব্দ)
১১) 'সুহাসিনী একাঙ্কবালা' (১৪০৭ বঙ্গাব্দ)

¤ দেবাশীষ মজুমদারের একাঙ্ক নাটক :-
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'ইমন কল্যাণ' (১৯৮৭)

¤ সুরেশ হালদারের একাঙ্ক নাটক :-
   ~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'একাঙ্ক নাট্য সমাহার' [একাঙ্ক নাটকের সংকলন] (ডিসেম্বর, ২০০০) : এই গ্রন্থের পাঁচটি নাটক হল :- 'দেশ আমার দেশ', 'খোলস', 'দেবশিশু', 'পদ্ম বৌ', 'অনুশাসন'।

¤ মনোজ মিত্রের একাঙ্ক নাটক :-
   ~~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'প্রভাত ফিরে এসো' (১৯৮৭)

¤ গিরিশঙ্করের একাঙ্ক নাটক :-
   ~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'শেষ সংলাপ' [একাঙ্ক নাটকের সংকলন] (১৯৫৮) : এখানকার স্মরণীয় নাটিকাগুলি হল :- 'একচিলতে', 'আশ্বাস', 'টান', 'শহীদ স্মৃতি', 'রোশনাই', 'শেষ সংলাপ', 'শিখা' ইত্যাদি।

¤ সমীর দাশগুপ্তের একাঙ্ক নাটক :-
   ~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'সময়ের চেহারা' (১৯৮৭)

¤ রমাপ্রসাদ বণিকের একাঙ্ক নাটক :-
   ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১) 'সহবাস' (১৯৮৮)

*** আশার আলো :-
     ~~~~~~~~~
বাংলা নাট্যশিল্পকে বর্তমানে আশার আলো দেখিয়েছে একাঙ্ক নাটক। বাঙালি দর্শকেরা যখন পূর্ণাঙ্গ নাটক দেখার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন, তখন এই নতুন ধাঁচের আধুনিক জীবন-যন্ত্রণামথিত একাঙ্ক নাটকগুলি দেখে দর্শকেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। বর্তমানে বিখ্যাত বিদেশি একাঙ্ক নাটকগুলিকে অনুবাদ করে বাংলা রঙ্গমঞ্চকে মাতিয়ে তুলেছেন প্রতিষ্ঠিত নট ও নাট্যকাররা। অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নানা রঙের দিন', সোমেন্দ্রচন্দ্র নন্দীর 'সকাল সন্ধ্যার নাটক' এ বিষয়ে সবার আগে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অনূদিত একাঙ্ক নাটকগুলিও জনপ্রিয় হয়েছে।


★আলোচক : সৌম্য মাইতি 
(ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র, কিংসটন কলেজ, মেছেদা, পূর্ব মেদিনীপুর)

★ অ্যাডমিন -- সাকসেস বাংলা★

Share this