অনিল ঘোড়ই- ইঞ্জিনিয়ার কবি

   ♥ অনিল ঘড়াই : ইঞ্জিনিয়ার কবি ♥
<<<<<<<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
        (১ নভেম্বর, ১৯৫৭ - ২৩ নভেম্বর, ২০১৪)

কথাশিল্পী অনিল ঘড়াই (১ নভেম্বর, ১৯৫৭ - ২৩ নভেম্বর, ২০১৪) ছিলেন অন্ত্যজ জীবনের রূপকার।

¤ জন্ম ও জন্মস্থান :- 
কথাসাহিত্যিক অনিল ঘড়াই ১৯৫৭ সালের ১ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার অম্তর্গত রুক্সিণীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

¤ পারিবারিক পরিচয় :-
পিতা অভিমন্যু ঘড়াই ও মাতা তিলোত্তমা ঘড়াই। অনিলের শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের অনেকটা সময় কেটেছে নদিয়া জেলার কালীগঞ্জে।

¤ পেশা :-
ইঞ্জিনিয়ার, ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক,
ছোটগল্পকার, শিশুসাহিত্যিক, কথাসাহিত্যিক, সম্পাদক।

¤ শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবন :-
তিনি পড়াশুনা করেছিলেন টেলি-কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেন। মাত্র ২৭ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে তিনি চক্রধরপুরে রেলের ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি খড়গপুর রেলবিভাগে বদলি হন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়েতে আধিকারিক হিসেবে চাকরি করতেন। চাকরিসূত্রে চক্রধরপুর ও পরে খড়গপুরে বসবাস করতেন।

¤ সাহিত্য জীবন :-
২৫ বছর বয়সে প্রকাশিত প্রথম গল্পগ্রন্থ 'কাক' এবং ৩২ বছর বয়সে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস 'নুনবাড়ি' দিয়েই তাঁর স্বতন্ত্র যাত্রা শুরু হয়। তাঁর গল্প, উপন্যাস ও কবিতা মিলিয়ে গ্রন্থের সংখ্যা ৭০-৮০ - এর মতো।ঔপন্যাসিক ও গল্পকার পরিচয়ের আড়ালে তিনি ছিলেন আসলে অসাধারণ এক আত্মভোলা কবি। নদিয়া ও মেদিনীপুরের গ্রামীণ মানুষ ও তাদের কথ্যভাষা যেমন উঠে এসেছে তাঁর রচনায়, তেমনি চক্রধরপুরে বসবাস করার সুবাদে সিংভূম অঞ্চলের কথ্যভাষাসহ সেখানকার মানুষের জীবনের ছবি পাওয়া যায় তাঁর সাহিত্যে। ১৯৯০ সালে তাঁর প্রথম ছোটগল্প প্রকাশ হয় ‘দেশ’ পত্রিকায়।

¤ উপন্যাস :-
গ্রামজীবনের সমস্যা, ঘাত-প্রতিঘাত, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না অনিল ঘড়াইয়ের কথাসাহিত্যে স্থান লাভ করেছে। তাঁর স্মরণীয় উপন্যাসগুলি হল :-
১) 'নুনবাড়ি' (১৯৮৯)
২) 'বনবাসী' (১৯৯০)
৩) 'মুকুলের গন্ধ' (১৯৯৩)
৪) 'তরঙ্গলতা' (১৯৯৩)
৫) 'বোবাযুদ্ধ' (১৯৯৩)
৬) 'বক্ররেখা' (১৯৯৪)
৭) 'পবন' (১৯৯৪)
৮) 'কাননে কুসুমকলি' (১৯৯৪)
৯) 'ধর্মের কল' (১৯৯৫)
১০) 'মেঘ জীবনের তৃষ্ণা' (১৯৯৬)
১১) 'কালের পুতুল' (১৯৯৬)
১২) 'দৌড়বোগাড়ার উপাখ্যান' (১৯৯৭)
১৩) 'খেলাঘর' (১৯৯৮)
১৪) 'জন্মদাগ' (১৯৯৯)
১৫) 'বিপরীত যুদ্ধের মহড়া' (২০০০)
১৬) 'নীল দুঃখের ছবি' (২০০১)
১৭) 'পাতা ওড়ার দিন' (২০০২)
১৮) 'সামনে সাগর' (২০০৩)
১৯) 'অনন্ত দ্রাঘিমা' (২০০৯)

¤ গল্পগ্রন্থ ও গল্প সংকলন :-
উপন্যাসের মতো তাঁর ছোটগল্পেও এসেছে সাধারণ মানুষের জীবনচিত্র। তাঁর স্মরণীয় ছোট গল্পগ্রন্থ ও গল্প সংকলনগুলি হল :-
১) 'কাক' (১৯৮২)
২) 'পরীযান' (১৯৮৫)
৩) 'আগুন' (১৯৮৭)
৪) 'জ্ঞানবৃক্ষের ফল' (১৯৮৮)
৫) 'কটাশ' (১৯৯০)
৬) 'তিন ভুবনের গল্প' (১৯৯০)
৭) 'জার্মানের মা' (১৯৯১)
৮) 'জল চিরুনী' (১৯৯১)
৯) 'ভারতবর্ষ' (১৯৯২)
১০) 'গর্ভ দাও' (১৯৯৩)
১১) 'অনিল ঘড়াইয়ের গল্প সংকলন' (১৯৯৫)
১২) 'কামকুঠিয়া' (১৯৯৬)
১৩) 'আকাশ মাটির খেলা' (১৯৯৭)
১৪) 'লু' (১৯৯৭)
১৫) 'গোদানা' (১৯৯৮)
১৬) 'স্বপ্নের খরাপাখি' (১৯৯৮)
১৭) 'অক্ষরমালা' (১৯৯৮)
১৮) 'শ্বেতপদ্ম' (১৯৯৮)
১৯) 'নীল আকাশের তারা' (২০০০)
২০) 'হৃদয় পেতে আছি' (২০০০)
২১) 'সাধভক্ষণ' (২০০০)
২২) 'নদী মা' (২০০০)
২৩) 'পরীযান ও অন্যান্য গল্প' (২০০১)
২৪) 'লোধগ্রামে সূর্যোদয়' (২০০৩)
২৫) 'অনিল ঘড়াইয়ের শ্রেষ্ঠ গল্প' (২০০৮)
২৬) 'চৈত্রফুল'
২৭) 'নুনা সামাদের গল্প'
২৮) '২৫ টি নির্বাচিত গল্প'
২৯) 'অন্তজা প্রেমের গল্প'
৩০) '৫১ টি গল্প'
৩১) 'পরাধীন'

¤ কাব্যগ্রন্থ / কবিতার বই :-
তিনি কাব্যগ্রন্থ বা কবিতা রচনায় বেশি মনযোগ দেননি। তবে কবিতা ছিল তাঁর প্রথম প্রেম। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ / কবিতা হল :-
১) 'বাতাসের স্বরলিপি' (২০০৩)
২) 'যাদু ওড়না' (২০০৪)
৩) 'রৌদ্র শঙ্খকার' (২০০৫)
৪) 'আগুনের পদাবলী' (২০০৯)
৫) 'ঘাম অশ্রু ও আগুন' (২০০৯)
৬) 'পাতা শরীর' (২০১০)
৭) 'ভাটফুল ভাটগন্ধ' (২০১১)
৮) 'বনসাই বিষাদ' (২০১২)

¤ শিশুদের গল্পের বই :-
তিনি শিশুদের জন্যও কয়েকটি বই লিখেছিলেন। সেগুলি হল :-
১) 'লালি দুলি' (১৯৯২)
২) 'ফড়িং সিং-এর বাহাদুরি' (১৯৯৮)
৩) 'সেরু' (১৯৯৯)
৪) 'আরফান চাচার ঘোড়া' (২০০০)

¤ ইংরেজি গল্পের বই :-
তাঁর প্রকাশিত ইংরেজি গল্পের বই হাতে গোনা মাত্র। সেগুলি হল :-
১) 'Stories of the Downtrodden' (২০০৩)
২) 'Nunbari' ['নুনবাড়ি'] (২০০৫)

¤ হিন্দি গল্পের বই :- তিনি কয়েকটিমাত্র হিন্দি গল্পের বই লিখেছেন। সেগুলি হল :-
১) 'টিকলি' (১৯৯৯)
২) 'ডাঁক' (১৯৯৯)
৩) 'ফুলপরী' (২০০১)
৪) 'চৌকিদার' (২০০২)

¤ লেখনির প্রধান বৈশিষ্ট্য :-
অনিল ঘড়াইয়ের সাহিত্যের মূল সম্পদ দলিত, নিম্নবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষের জীবনচর্যা। তাঁর লেখনির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল :-
১) জীবনের বিস্তৃত পরিসর।
২) মানসিক টানাপোড়েন।
৩) জীবনঘনিষ্ট খুঁটিনাটি অনুসঙ্গ।

¤ পত্রিকা সম্পাদনা :-
১) তিনি তাঁর শেষ জীবনে অসুস্থ অবস্থাতেও 'তূর্য' পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন।

¤ তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য :-
তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর এক সাহিত্যিক নন্দদুলাল রায়চৌধুরী বলেন, 'সাহিত্য-সংস্কৃতির বড় ক্ষতি হয়ে গেল।'

¤ গুণগ্রাহীদের সমালোচনা :-
জাত কেউটের মতই জাত লেখক ছিলেন অনিল ঘড়াই। জাতে কিন্তু ছিলেন হাড়ি। অন্ত্যজ, ব্রাত্য, দলিত। অতি দলিত। কিন্তু দলিত জীবনের কোনো হীনমণ্যতা তাঁকে কোথাও স্পর্শ করতে পারেনি। অন্ত্যজ জীবনের সমাজবাস্তবকে তুলে ধরতে তিনি অনেক বড় বড় বাংলা লেখকের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন তাঁর প্রতিটি লেখায় বিশেষকরে ছোটগল্পে। 'পরিযান' প্রমাণ। যা ছিলেন যা হয়েছিলেন জাত কেউটের মতই জাত লেখক ছিলেন।

¤ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি :-
১) নদিয়ার রাজোয়াড় বিদ্রোহ নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘অনন্ত দ্রাঘিমা’ ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়। যা পরবর্তীতে ২০১০ সালে 'বঙ্কিম স্মৃতি পুরস্কার' লাভ করে।
২) মানুষের প্রতি আন্তরিক ব্যবহার ছিল তাঁর চরিত্রের একটি উজ্জ্বল দিক।
৩) রেলশহরের কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে তিনি গড়েছিলেন ‘ঘরোয়া সাহিত্য বাসর’।
৪) তাঁর 'কাক' (১৯৮২), 'পরীযান' (১৯৮৫), 'নুনবাড়ি' (১৯৮৮), 'আকাশ মাটির খেলা' (১৯৯৭), 'শ্বেতপদ্ম' (১৯৯৮), 'অনন্ত দ্রাঘিমা' (২০০৯)-সহ বহু লেখা সাহিত্যপ্রেমী মনে রেখেছেন।
৫) তাঁর 'শ্বেতপদ্ম' (১৯৯৮) নামক গল্পগ্রন্থটি এখনও বাজারে দীর্ঘদিন ধরে বস্তুত রয়েছে।

¤ বাংলাদেশী সাহিত্যিক রেজা ঘটকের নিজস্ব সাক্ষাৎকার :-
                     '২০১৩ সালে আমার চতুর্থ গল্পগ্রন্থ 'ভূমিপুত্র' প্রকাশিত হয় অন্যপ্রকাশ থেকে। বইটি বাংলা একাডেমি'র অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসে ২১শে ফ্রেব্রুয়ারি। ২২ তারিখ গল্পকার রাজীব নূর  আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, বইয়ের কী নাম রাখছেন, রেজা ? বললাম 'ভূমিপুত্র'। রাজীবদা বললেন, রেজা, ওই নামে তো মিলন ভাই'র একটা বই আছে। কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস 'ভূমিপুত্র'। সম্ভবত ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়েছে। আমি তো কিছুটা দ্বিধায় পড়ে গেলাম, এখন কী হবে?

যাউকগা! মিলন ভাইয়ের সাথে দেখা হলে ক্ষমা চেয়ে নেব, এমনটা মনে মনে ভাবলাম। কিন্তু মিলন ভাইকে একথা আজ পর্যন্ত আর জানানো হল না। তাছাড়া মিলন ভাই'রটা উপন্যাস। আমারটা ছোটগল্প। কি আর করা। রাতে বাসায় ফিরে ইন্টারনেটে 'ভূমিপুত্র' লিখে সার্চ দিলাম। গুগল মহাশয় তিনটি নাম শো করলো। ইমদাদুল হক মিলন, অনিল ঘড়াই আর রেজা ঘটক। আরো সার্চ দিয়ে পেলাম যে, অনিল ঘড়াই'র বইটিও একটি গল্পের বই।

তখন থেকেই একটা চাপা কষ্ট আমাকে পেয়ে বসল। যে করেই হোক অনিল ঘড়াই'র সঙ্গে যোগাযোগ করে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে। মনে মনে ভাবলাম, কার কাছে অনিলদা'র ইমেইল অ্যাড্রেস পাওয়া যাবে? টোকন ঠাকুর, তপন বাগচী, জাকির তালুকদার, শামীম রেজা, আলফ্রেড খোকন, সায়মন জাকারিয়া? কিন্তু এঁদের অনেকের সাথে এরপর দেখা হয়েছে, আড্ডা হয়েছে। কিন্তু অনিলদা'র ইমেইল অ্যাড্রেস চাইতে ভুলে গেছি। আমার ইমেইল অ্যাড্রেস আর নেওয়া হয়নি। দুঃখপ্রকাশও করা হয়নি। কাল রাতে জাকির তালুকদার ভাই'র ফেসবুক স্ট্যাটাস পড়ার পর মনটাই খারাপ হয়ে গেল। পৃথিবীতে কত যে কাজ যে সময় মত মনে পড়ে না। অনিলদা'র সঙ্গে কথা হল না। দেখা হল না। আড্ডা হল না। অথচ মাত্র ৫৭ বছর ২১ দিন কি এমন সময়? এই বয়সে এভাবে চলে যেতে হবে দাদা!দাদা, যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন। আপনার আত্মা চির শান্তি পাক, এই কামনা করি...।'

¤ শেষজীবন ও মৃত্যু :-
হিন্দি ও ইংরেজি ভাষাতেও প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কয়েকটি গ্রন্থ। শেষের দিকে দীর্ঘদিন কিডনির অসুখে ভুগেছেন তিনি। কিন্তু অসুস্থ অবস্থাতেও সমানে চালিয়ে গেছেন তাঁর সাহিত্যকর্ম, ‘তূর্য’ পত্রিকার সম্পাদনা ও অন্যান্য কাজ। ২২ নভেম্বর ২০১৪, শনিবার রাত সাড়ে বারোটায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইহকাল ত্যাগ করেন এই সময়ের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান লেখক অনিল ঘড়াই। দীর্ঘ আট মাস দিন ধরে তিনি কিডনির কঠিন অসুখে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে এই লেখকের বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৭ বছর ৷‌ কোনও সন্দেহ নেই, মাত্র ৫৭ বছর বয়সে এই কথা সাহিত্যিকের প্রয়াণ বাংলা সাহিত্যে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।

¤ শেষকৃত্য সম্পন্ন :-
মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা ও স্ত্রী রেখে গেছেন। নদিয়ার কালীগঞ্জের আদি বাড়িতে তাঁর শেষকৃত্য (রবিবার) সম্পন্ন হয়। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য হারালো চলমান সময়ের একজন শক্তিশালী কথাসাহিত্যিককে।

¤ পুরস্কার ও সম্মাননা :-
 ১) ১৯৯৪ সালে দলিত সাহিত্যের জন্য রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পেয়েছিলেন 'সর্বভারতীয় সংস্কৃতি পুরস্কার'।

২) কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য 'মাইকেল মধুসূদন স্মৃতি পুরস্কার' (১৯৯৪) পান।

৩) কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন  'তারাশঙ্কর স্মৃতি পুরস্কার' (২০০১)।

৪) কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির 'সোমেন চন্দ স্মৃতি পুরস্কার' (২০০২) পান।

৫) 'বাংলা দলিত সাহিত্য আন্দোলন'ও তাঁকে পুরস্কৃত করেছিলেন 'দলিত সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার', সম্ভবত ২০০২ সালে।

৬) ‘অনন্ত দ্রাঘিমা’ (২০০৯) উপন্যাসের জন্য তিনি ২০১০ সালে 'বঙ্কিম স্মৃতি পুরস্কার' লাভ করেন।

৭) কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন 'তিস্তা-তোর্সা সম্মাননা'।

৮) কবিতা ছিল তাঁর প্রথম প্রেম৷‌ কবিতার জন্য তিনি পেয়েছেন 'আকাশ সাহিত্য পুরস্কার'।

৯) কবিতার জন্য তিনি ‘কবি নিত্যানন্দ স্মৃতি পুরস্কার’ও পেয়েছেন।

¤ তথ্যঋণ :-
১) 'আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস' - শ্রীতপন কুমার চট্টোপাধ্যায়।
২) 'চলে গেলেন এ সময়ের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান লেখক অনিল ঘড়াই' - রেজা ঘটক।
৩) ইন্টারনেটের কয়েকটি পেজ।

★তথ্যসংগ্রহ  : সৌম্য মাইতি 
(ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র, কিংসটন কলেজ, মেছেদা, পূর্ব মেদিনীপুর)★

★ মডারেটর -- সাকসেস বাংলা★




Share this