♦ কুমুদরঞ্জন মল্লিক ♦
(জন্ম - ১৮৮৩ সালের ১ মার্চ, মৃত্যু -১৯৭০ সালের ১৪ ডিসেম্বর)
"কবিতা লেখা আমার শখ বা জীবিকা নহে, উহা আমার জীবন। কবিতা আমি লিখিব বলিয়া লিখি না। রূপ-রস-গন্ধহীন হইলেও উহারা দেবঅঙ্গনের ফুল। আপনিই ফোটে, আমি গড়ি না। আর ওসব ফুলই পল্লীজননীর পূজার ফুল।" - নিজের কবিতা সম্পর্কে এমনই মনোভাব পোষণ করতেন রবীন্দ্রানুসারী কবিসমাজের অন্যতম "তীর্থপতি" কপিঞ্জল - কুমুদরঞ্জন মল্লিক।
♦রচনাসম্ভারঃ-
১. প্রথম কাব্যগ্রন্থ - "শতদল" (১৯০৬-০৭) । রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন - "ইহার ছোট ছোট কবিতাগুলি মৌচাকের ছোট ছোট কক্ষের মতো রসপূর্ণ হইয়াছে। কখনো কখনো মৌমাছির হুলের পরিচয় পাওয়া যায়।"
২. "বনতুলসী" (১৯১১) - কবির দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। উৎসর্গ শ্রীহরির চরণে - "তোমারই চরণে আঁখিজলে ভেজা দিলাম এ বনতুলসী।"
৩. "উজানি" (১৯১১) - কবির জন্মভূমির প্রথমে নাম ছিল উজানি, পরে হয় কোগ্রাম। তাই কবি বলেছেন - "ইহা আমাদের ক্ষুদ্র গ্রামের ক্ষুদ্র ইতিহাস, সামান্য গ্রামের সামান্য চিত্র।"
৪. "একতারা" (১৯১৪) - কাব্য সম্পর্কে কবির মন্তব্য - "বিষয় ক্ষুদ্র, কবিও ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র একতারাতে বড় সুর বাজিবে না, সামর্থ্যও নাই।"
৫. "চুন ও কালি" (১৯১৬) - "কপিঞ্জল" ছদ্মনামে এই ব্যঙ্গকাব্য রচনা করেন। কবির মন্তব্য - "মহাশয় আমার এ চুন ও কালি সকলের জন্য নয়, উপযুক্ত পাত্রের জন্য। যাহাদের গালে লাগিবে,তাহারা চটিতে পারেন, কেহ যেন চটিয়া গালে লাগাইবেন না।"
৬. "বনমল্লিকা" (১৯১৮) - উৎসর্গ ্রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। কবির মন্তব্য - "ইহা আমার পূজনীয় প্রিয় একতি বটবৃক্ষকে অর্পন করিলাম। তাহার ছায়ায় আমি বহু তৃপ্তি লাভ করিয়াছি।" প্রত্যুত্তরে কবিগুরু লিখেছিলেন- "তোমার বনমল্লিকার কবিতাগুলি যেমন স্নিগ্ধ, সুন্দর, তেমনি সরল ও সরস।"
৭. "দ্বারাবতী" (১৯২০) - তিন অঙ্কের নাটক।
৮. "রজনীগন্ধা" (১৯২১) - "রজনীগন্ধার ন্যায় সৌরভ ইহাতে নাই।
তাহার মতো পেলব ও নয়, অন্ধকারে ফুটিয়াছে বলিয়া এইরূপ নাম রাখিয়াছি।"
৯. "নূপুর" (১৯২২) - উৎসর্গ লোচনদাস ঠাকুরের শ্রীচরণাবিন্দে।
এছাড়া অন্যান্য কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য -
১০. "অজয়" (১৯২৭)
১১. "বীথি" (১৯১৫)
১২. "বীণা" (১৯১৬)
১৩. "তূণীর" (১৯২৮)
১৪. "স্বর্ণসন্ধ্যা" (১৯৪৮)
১৫. "প্রতিকৃতি"
১৬. "গরলের নৈবেদ্য" - অপ্রকাশিত কাব্য। সোমনাথ মন্দির সম্পর্কিত ১০৮টি কবিতার সংকলন গ্রন্থ।
কবির সামগ্রিক কাব্যকৃতি সম্পর্কে মন্তব্য -
" আপনার কবিতা আমাদের বঙ্গসাহিত্যে অম্লান শোভায় বিরাজ করিবে।" - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।।
" I DO DESIRE TO SEE HIM AS ONE OF THE GREATEST POET OF THE NEW RENAISSANCE OF BENGAL" - বিপিনচন্দ্র পাল।।
।। কবির মৃত্যুদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি ।।
♦প্রীতম চক্রবর্তী ♦অ্যাডমিন সাকসেস বাংলা♦
(জন্ম - ১৮৮৩ সালের ১ মার্চ, মৃত্যু -১৯৭০ সালের ১৪ ডিসেম্বর)
"কবিতা লেখা আমার শখ বা জীবিকা নহে, উহা আমার জীবন। কবিতা আমি লিখিব বলিয়া লিখি না। রূপ-রস-গন্ধহীন হইলেও উহারা দেবঅঙ্গনের ফুল। আপনিই ফোটে, আমি গড়ি না। আর ওসব ফুলই পল্লীজননীর পূজার ফুল।" - নিজের কবিতা সম্পর্কে এমনই মনোভাব পোষণ করতেন রবীন্দ্রানুসারী কবিসমাজের অন্যতম "তীর্থপতি" কপিঞ্জল - কুমুদরঞ্জন মল্লিক।
♦রচনাসম্ভারঃ-
১. প্রথম কাব্যগ্রন্থ - "শতদল" (১৯০৬-০৭) । রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন - "ইহার ছোট ছোট কবিতাগুলি মৌচাকের ছোট ছোট কক্ষের মতো রসপূর্ণ হইয়াছে। কখনো কখনো মৌমাছির হুলের পরিচয় পাওয়া যায়।"
২. "বনতুলসী" (১৯১১) - কবির দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। উৎসর্গ শ্রীহরির চরণে - "তোমারই চরণে আঁখিজলে ভেজা দিলাম এ বনতুলসী।"
৩. "উজানি" (১৯১১) - কবির জন্মভূমির প্রথমে নাম ছিল উজানি, পরে হয় কোগ্রাম। তাই কবি বলেছেন - "ইহা আমাদের ক্ষুদ্র গ্রামের ক্ষুদ্র ইতিহাস, সামান্য গ্রামের সামান্য চিত্র।"
৪. "একতারা" (১৯১৪) - কাব্য সম্পর্কে কবির মন্তব্য - "বিষয় ক্ষুদ্র, কবিও ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র একতারাতে বড় সুর বাজিবে না, সামর্থ্যও নাই।"
৫. "চুন ও কালি" (১৯১৬) - "কপিঞ্জল" ছদ্মনামে এই ব্যঙ্গকাব্য রচনা করেন। কবির মন্তব্য - "মহাশয় আমার এ চুন ও কালি সকলের জন্য নয়, উপযুক্ত পাত্রের জন্য। যাহাদের গালে লাগিবে,তাহারা চটিতে পারেন, কেহ যেন চটিয়া গালে লাগাইবেন না।"
৬. "বনমল্লিকা" (১৯১৮) - উৎসর্গ ্রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। কবির মন্তব্য - "ইহা আমার পূজনীয় প্রিয় একতি বটবৃক্ষকে অর্পন করিলাম। তাহার ছায়ায় আমি বহু তৃপ্তি লাভ করিয়াছি।" প্রত্যুত্তরে কবিগুরু লিখেছিলেন- "তোমার বনমল্লিকার কবিতাগুলি যেমন স্নিগ্ধ, সুন্দর, তেমনি সরল ও সরস।"
৭. "দ্বারাবতী" (১৯২০) - তিন অঙ্কের নাটক।
৮. "রজনীগন্ধা" (১৯২১) - "রজনীগন্ধার ন্যায় সৌরভ ইহাতে নাই।
তাহার মতো পেলব ও নয়, অন্ধকারে ফুটিয়াছে বলিয়া এইরূপ নাম রাখিয়াছি।"
৯. "নূপুর" (১৯২২) - উৎসর্গ লোচনদাস ঠাকুরের শ্রীচরণাবিন্দে।
এছাড়া অন্যান্য কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য -
১০. "অজয়" (১৯২৭)
১১. "বীথি" (১৯১৫)
১২. "বীণা" (১৯১৬)
১৩. "তূণীর" (১৯২৮)
১৪. "স্বর্ণসন্ধ্যা" (১৯৪৮)
১৫. "প্রতিকৃতি"
১৬. "গরলের নৈবেদ্য" - অপ্রকাশিত কাব্য। সোমনাথ মন্দির সম্পর্কিত ১০৮টি কবিতার সংকলন গ্রন্থ।
কবির সামগ্রিক কাব্যকৃতি সম্পর্কে মন্তব্য -
" আপনার কবিতা আমাদের বঙ্গসাহিত্যে অম্লান শোভায় বিরাজ করিবে।" - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।।
" I DO DESIRE TO SEE HIM AS ONE OF THE GREATEST POET OF THE NEW RENAISSANCE OF BENGAL" - বিপিনচন্দ্র পাল।।
।। কবির মৃত্যুদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি ।।
♦প্রীতম চক্রবর্তী ♦অ্যাডমিন সাকসেস বাংলা♦