নারীচেতনাবাদ


নারীচেতনাবাদ
• তত্ত্ব আমাদের দৃষ্টি সন্ধানীকে করে তোলে আমাদের ভাবনা কে উস্কে দেয় অর্থাৎ কোন বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করতে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে একটা মাধ্যম হিসেবে আমাদের সাহায্য করে। তাই যখন আমরা কোনো তাত্ত্বিক যুক্তি নিয়ে সাহিত্য পাঠ করি তখন সেই পাঠকৃতি আমাদের নিকট তার যথাপ্রাপ্ত রুপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা। নারীচেতনাবাদ এই তাত্ত্বিক সমালোচনার একটি দিক। তাত্ত্বিক আলোচনায় একই সঙ্গে মানব জীবন সমকাল ও পরিবেশ পরিস্থিতি উঠে আসে। সাহিত্যের তাত্ত্বিক আলোচনায় মানব জীবনের সঠিক বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন আমরা পাই। 
• আসলে জীবন কে বাদ দিয়ে যেমন সাহিত্য হয় না, ঠিক তেমনি সাহিত্যে তথ্য থাকে জলে মাছের মতো। তাই বলা হয়ে থাকে সাহিত্য পাঠের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অবশ্যই তত্ত্বের অনুধাবন করা প্রয়োজন। "তত্ত্বের অনুধাবন মানে জীবনের অনুধাবন, আর জীবনের অনুধাবন মানে সময় চিহ্নিত পরিসরের অনুধাবন।" এই দৃষ্টিকোণের আধারে আমাদের দেশের বিভিন্ন সাহিত্য গ্রন্থসমূহে আমরা দেখতে পাই নারীর প্রকৃত অবস্থান কি ছিল। এবং  পর্যায়ক্রমে শুধু প্রাচীন সাহিত্যে নয় আধুনিক কবি ও লেখকদের রচনায় এবং পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবস্থান ও অধিকার পর্যালোচনার মাধ্যমে আমরা সন্ধান করবো কিভাবে উঠে এসেছে নারী চেতনা। নারীচেতনাবাদ ও তার বিভিন্ন দিকগুলো তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ আমাদের এই পর্বের আলোচনার বিষয়। 
• নারী চেতনা সংক্রান্ত আলোচনার প্রথমেই আমাদের নারী চেতনার স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক। আর সে সূত্রেই কিভাবে এসেছে এই চেতনা তা জানার জন্য নারীর সামাজিক অবস্থানের ক্রম বিবর্তনের ইতিহাসটিও আমাদের খুঁটিয়ে দেখা প্রয়োজন। অর্থাৎ নারীচেতনাবাদ কি? সে বিষয়ক আলোচনায় প্রবেশের পূর্বে নারীর অতীত জীবনের ইতিহাস এবং সেই সঙ্গে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সাহিত্যে নারীর অবস্থান কেমন ছিল সেদিকে একটু আলোকপাত করা প্রয়োজন। 
• প্রচলিত ধারণা এই যে প্রাচীনকালে আমাদের দেশে নারীদের সামাজিক অবস্থান ছিল অনেক উঁচুতে। নারী ছিল সমাজের প্রধান কর্তৃত্বের পদে আসীন। সমালোচকের মতে "------ প্রাচীনকালে নারীকে আমরা মাথায় করে রেখেছিলাম।" কিন্তু বাস্তব চিত্রটা অনুরূপ ছিল না বরং অধিকাংশ নারীর সামাজিক মূল্যই ছিল বিপরীত। মূলত বিশ্বের অধিকাংশ প্রাচীন সভ্যতার ও সাহিত্যে নারীর কোন সম্মানের জায়গা ছিল না। পুরুষ সমাজের মূল স্রোতের নাগরিক হিসেবে লাভ করেছে বহির্জগতের  উৎপাদনমুখী ভূমিকা, আর মেয়েরা পরিপূরক হিসেবে পেয়েছে অন্দরমহলের উৎপাদনমুখী ভূমিকা। ক্রমে নারীর অন্দরমহলের গন্ডি আরো মজবুত হয়েছে, আর অন্যদিকে পুরুষ বহির্জগতে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছে, বন্দী নারীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ফলে নারী আর নারী থাকেনি, লাভ করেছে নতুন এক পরিচয়। ভরণপোষণের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে নারী পরিণত হয়েছে ভৃত্তে। এভাবে ভৃত্ত এবং ভার্যা ক্রমে পুরুষের অধীনে চলে আসে। অর্থাৎ নারী পুরুষের অধীনতা মেনে নিতে বাধ্য হয়। 
• তাই নারী যতই পুত্রসন্তানের জন্ম দিক যতই পুরুষের বংশ রক্ষা করুক বংশের গৌরব ও মর্যাদা বৃদ্ধি করুন প্রাচীন ভারতের ধর্ম গ্রন্থ ও সাহিত্যে নারীর ব্যক্তি হিসেবে তেমন কোন মর্যাদাই ছিল না। পুরুষের ভোগের জন্য রক্ষিত আর দশটি ব্যবহার্য সামগ্রীর মতোই নারীও ছিল একটি অপরিহার্য বস্তু। আর পুরুষ তার নিজের শাসনের সুবিধার জন্যেই নারীকে অন্তঃপুরবাসিনী করে রেখেছে এবং একের পর এক সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধের  পাঠ দিয়ে নারীকে স্থানু করে রেখেছে। অন্যদিকে গণতন্ত্র ও  উপরিকাঠামোয় নারীকে মুক্ত বলে ঘোষণা করলেও ভেতর থেকে কখনোই স্বাধীন করেনি। নারীর কাঙ্ক্ষিত অবস্থানকে কখনোই তার সামনে হাজির করেনি।
অর্থাৎ নারীর জন্ম কেবল মাত্র পুরুষকে সঙ্গ দেবার জন্যই, পুরুষের ভালো মন্দ সুখ স্বাচ্ছন্দ বিলাসবহুল জীবন যাপনের সহায়ক হতেই নারীর প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য সীমায়িত তাই কবির উল্লেখ---
"জীর্ণমজ্জা কাপুরুষে
নারী যদি গ্রাহ্য করে, লজ্জিত দেবতা তারে দুষে
অসহ্য যে অপমান। নারী সে যে মহেন্দ্রের দান, 
এসেছে ধরিত্রীতলে পুরুষের এ ছবিতে সম্মান"
• কিন্তু একথা সত্য যে ছাই বা তুষ দিয়ে আগুন চাপা দেওয়া যায় না। দিলেও পুনরায় সে আগুন জ্বলে ওঠে। প্রত্যেক ক্রিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়া স্বরূপ চায়, দেখা গেছে নারীদের ক্ষেত্রেও প্রতিবাদের ঝড় এক সময় ঘনিয়ে এসেছে। পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অবশ্যম্ভাবীরূপে দেখা দিয়েছে। নারীকে এই প্রতিবাদের জায়গাটিও তৈরি করে দেয় সেই পুরুষেই, যে তাকে চির বন্দী করে রাখার ব্যবস্থা করেছিল। এইভাবে তারা অন্ধকার থেকে ক্রমশ আলোর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ঘরের বন্দি জীবনের গণ্ডি থেকে মুক্তি পায়। একই সঙ্গে নারীকে তার অধিকার এবং দাবি আদায়ের জন্য সংগ্রাম করার ভিত্তিও তৈরি হয়। আর এখান থেকেই তৈরি হয় নারী মুক্তি সংগ্রামের।  
• নারীবাদ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন তাত্ত্বিক কাঠামো গড়ে ওঠেনি। সাধারণভাবে নারী চেতনা বা নারীবাদ বলতে বোঝায় এমন একটি শক্তিকে যা নারী জাতিকে আত্মসচেতন সামাজিক শ্রেণীতে পরিণত করা। নারীচেতনাবাদ হঠাৎ সৃষ্ট কোন তত্ত্ব নয়, দীর্ঘ প্রতিক্রিয়ার ফসল। পিতৃতন্ত্রের অনুশাসন-শৃঙ্খল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা নারীর স্বকীয় সত্ত্বা-স্বরূপ-ঐতিহ্য-ভাষা-ইতিহাস নির্মাণের আপ্রাণ প্রয়াস। নারীসমাজ যে আজ বাস্তবিকই তার চারধারে রচিত প্রাচীরকে ভেঙ্গে তছনছ করে পূর্ণ মানুষ হিসেবে বৃহত্তর সমাজের আঙিনায় এসে দাঁড়িয়েছে, তার পশ্চাতে রয়েছে নারীর নীরব আত্মহননের দীর্ঘ যন্ত্রনাময় ইতিহাস। নারীচেতনাবাদ অভিধাটি নারীর সেই অতীত বলিদানের বৃত্তান্তের মধ্যে নিজস্ব রসদ আহরণ করে ক্রমশ একটি পূর্ণ স্বরূপ মানবতত্ত্বে পরিণত হতে চেয়েছে। নারীচেতনাবাদ তাই নারী জাতির সামগ্রিক কল্যাণ ও প্রগতির সহায়ক হলেও মানব সভ্যতার এক স্বাভাবিক ও অনিবার্য তত্ত্ব। নারীবাদ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ Feminism. Feminism শব্দটি এসেছে ফরাসী শব্দ Femmenisme থেকে। Femme অর্থ নারী, isme অর্থ মতবাদ। 
• একজন মানুষ হিসেবে নারীর তার পরিপূর্ণ অধিকারের দাবি হল নারীবাদ। নারীবাদ নারীকে তার আপন সত্ত্বা খুঁজে নিতে শিখিয়েছে। এক কথায় বলা যায় নারীচেতনাবাদ হল এমন একটি প্রত্যয় যে, নর অথবা নারী যে কোন মানুষের প্রকৃতি ও যোগ্যতা বিচারে লিঙ্গের বিষয়টি অনুপস্থিত থাকবে। নারীচেতনাবাদ হলো নারীর মুক্তির জন্য কিংবা নারীর অধিকার অর্জনের উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা এমন একটি তত্ত্ব যেখানে প্রাধান্য থাকে প্রয়োগ ও দৃষ্টিভঙ্গির মানদন্ড হলো লিঙ্গ বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলা।
• নারীবাদ বা নারীচেতনাবাদ নারী-পুরুষ লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রত্যেকটি মানুষের সমান অধিকারের কথা বলে। অর্থাৎ নারীচেতনাবাদ বলতে বোঝায় নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের কথা।
√ জৈবিক দিক থেকে আলাদা হলেও পুরুষ ও নারী একে অপরের পরিপূরক। তাই সাম্প্রতিককালের অন্যতম নারীবাদী তাত্ত্বিক শেফালী মৈত্র নারীচেতনাবাদ এ সম্পর্কে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন- "নারীবাদ মানেই ডিভোর্স নয়, নারীবাদ মানেই দশটা ছেলের সঙ্গে শোয়া নয়, নারীবাদ মানে লেসবিয়ানিজম নয়, নারীবাদ মানে কখনই সন্তানের অবহেলা নয়, সমাজ ছারখার করা অনাসৃষ্টি নয়, নারীবাদ মানে.... প্রশ্ন তোলা, অভিযান অনিঃশেষ প্রশ্ন" (শেফালী মৈত্র, নৈতিকতা ও নারীবাদ)
• আধিপত্যবাদী পুরুষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং প্রশ্নের কথায় মূল লক্ষ্য। যশোর ধরা বাগচী বলেছেন- "যে নারী পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ কাজ করে, এক তৃতীয়াংশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে তাঁর স্বীকৃতি এবং সমানাধিকারের লড়াইয়ের নাম নারীবাদ।"
তবে মনে রাখতে হবে যে নারীবাদী দর্শন কেবল নারীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে না। নারীবাদ দর্শনের একটি বিশেষ কোন শাখা মাত্র নয়। অধিবিদ্যা, তর্কশাস্ত্র, জ্ঞানতত্ত্ব ইত্যাদি সবই নারীবাদী দর্শনের আলোচ্য বিষয়। দর্শন চর্চার ক্ষেত্রে সর্বদা যা হয় নারী দর্শন এর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। 
• নারীবাদী দর্শনের একক রূপ অভিপ্রেত না হলেও মতাদর্শের ভিত্তিতে নারীবাদী দর্শনকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে-  লিবারাল ও র‍্যডিকেল নারীবাদ। 
#লিবারিজম বা উদারনৈতিক নারীবাদ: 
•  উদারনৈতিক নারীবাদের উদ্ভব মহিলাদের ভোটাধিকারের দাবিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আন্দোলন থেকে। পরবর্তীতে সে আন্দোলনের সঙ্গে আরো আন্দোলনের বহু মাত্রা যুক্ত হয়। যুক্ত হয় নারীর অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও আইনি ন্যায়বিচার প্রভৃতির দাবিও। তবে সমানাধিকারের প্রশ্নে নারীর ভোটাধিকারের দাবিটিই প্রধা দাবি হিসেবে প্রতিপন্ন হয়। কারণ উদারপন্থী নারীবাদী আন্দোলন ছিল দ্বিমুখী। কৃষ্ণাঙ্গের আত্মপ্রতিষ্ঠার নারীর স্বাধীনতা। লিবারাল নারীবাদীরা সামাজিক অধিকারের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তির কথাও বলেন। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারী কে যেন পুরুষের সমান অধিকার দেয়া হয় তারা 1966 সালে "ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর উইমেন" নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন। 
#র‍্যাডিকাল বা আমূল সংস্কারবাদ: 
• এই শ্রেণীর নারীবাদী জন্ম আমেরিকায় এদের অনেকেই New Left বা নব্য বামপন্থী ছিলেন। র‍্যাডিকাল বামুন সংস্কারবাদী বিশ্বাসী নারীবাদীদের বিবেচনায় নারী ও পুরুষের মধ্যে ব্যবধানের মূল কারণ পুরুষরা ই। তারা মূল সমস্যা সমাজব্যবস্থা কোন বিচার্য বিষয় নয় তাদের মতে পিতৃত্ব হল সমাজজীবনে সর্বগ্রাসী আধিপত্য।
• তারা মনে করেন সমস্ত লিঙ্গবৈষম্যের মূলে রয়েছে পিতৃতন্ত্র। এই তন্ত্রকে না ভাঙলে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ কোনদিন দূর হবে না। র‍্যাডিকাল নারীবাদীরা মনে করেন আইন করে মেয়েদের অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আইনের মাধ্যমে তাদের আপাত উন্নতি সাধন করা গেলেও মূল সমস্যার সমাধান হয় না। তাই র‍্যাডিকাল নারীবাদ পিতৃতন্ত্রকে উৎপাদন ব্যবস্থার বৈষম্যের সঙ্গে না জড়িয়ে স্বতন্ত্র একটি শোষণ ব্যবস্থা হিসাবে দেখে।  অর্থাৎ যে নারীবাদ পিতৃতন্ত্রকে একটি স্বতন্ত্র শোষণব্যবস্থা বলে মনে করে, তাকেই র‍্যাডিকাল নারীবাদ বলা হয়েছে। তবে একথা মনে রাখতে হবে যে পুরুষ শাসিত সমাজ মানেই এই নয় যে প্রতিটি পুরুষই মেয়েদের শত্রু। নারীর শত্রু পুরুষ নয় আসলে পিতৃতন্ত্র নামে এক দর্শন ও তাঁর নিজস্ব আচরণবিধি। র‍্যাডিকাল নারীবাদীরা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলেছেন। প্রত্যেকটি মানুষকে নিজের মত করে বাঁচার এবং জীবন যাপন করার অধিকার আছে। বিখ্যাত নারীতত্ববিদ ম্যাকী বলেছেন -- " কে কেমন করে বাঁচতে চায়  তা স্থির করার অধিকার প্রত্যেক মানুষের আছে। কেমন আছে প্রত্যেকের বাঁচার অধিকার স্বাধীন জীবন যাপনের অধিকার ও সুখের অধিকার।" 
অর্থাৎ নারী চেতনা সংক্রান্ত বিষয়টি সঠিক মূল্যায়নে বিভিন্ন নারীবাদী তাত্ত্বিকদের বিভিন্ন মূল্যবান মতামত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, নারীচেতনাবাদ নারীর সমান অধিকার অর্জনের জন্য নারী সংগ্রামের একটি প্রক্রিয়ার নাম, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতার পিতৃতন্ত্রের কেন্দ্রীকতারয অবসান দাবী করা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে যে বিষয়টির ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হল, কোন পিতৃতন্ত্র নয় আবার পিতৃতন্ত্রের জায়গায় মাতৃতন্ত্রও নয়,  স্ত্রী ও পুরুষ লিঙ্গ নির্বিশেষে কাউকেই বেঁচে থাকার সমান অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

আলোচক - সুশান্ত কর্মকার
অ্যাডমিন, সাকসেস বাংলা

Share this