"জ্ঞানপীঠ পুরস্কার"
ভারতের সাহিত্য জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার হল জ্ঞানপীঠ পুরস্কার। ১৯৬৫ সাল থেকে ভারতীয় সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দিয়ে আসছে ভারতীয় জ্ঞানপীঠ। প্রথম বার পুরস্কার পান মালয়ালম কবি জি শঙ্কর কুরুপ। দ্বিতীয় বছর অর্থাৎ ১৯৬৬ সালে প্রথম বাঙালি হিসাবে জ্ঞানপীঠ লাভ করেন অপরাজেয় কথাশিল্পী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
* 'জ্ঞানপীঠ' শব্দের অর্থ হল "জ্ঞানের বেদি"।"দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া"- সংবাদপত্রের প্রকাশক শ্রী সাহু জৈন পরিবারের প্রতিষ্ঠিত 'অছিপরিষদ' ভারতীয় সাহিত্যে অবদানের জন্য এই "ভারতীয় জ্ঞানপীঠ " পুরস্কারটি প্রদান করে থাকে।এই পুরস্কার প্রাপককে পূর্বে এককালীন ১ লক্ষ টাকা, সঙ্গে দেবী সরস্বতীর একটি প্রতিমূর্তি ও একটি মানপত্র দেওয়া হতো বর্তমানে ১১০০০০০ টাকা দেওয়া হয়। ১৯৬১ সালে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার সূচনা হয়। মালায়লাম লেখক জি শঙ্কর কুরুপ ১৯৬৫ সালে প্রথম এই পুরস্কার লাভ করেন।বাংলা সাহিত্যে প্রথম এই পুরস্কার প্রথম লাভ করেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৬৬ সালে 'গনদেবতা' উপন্যাসের জন্য।১৯৮২ সালের আগে পর্যন্ত "জ্ঞানপীঠ পুরস্কার"দেওয়া হত একটি নির্দিষ্ট বইয়ের জন্য । কিন্তু তার পর থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ভারতীয় সাহিত্যে জীবনব্যাপী অবদানের জন্য এই "জ্ঞানপীঠ পুরস্কার" প্রদান করা হয়ে থাকে।বাংলা সাহিত্যে মোট ছয় জন লেখক এ যাবৎ কাল পর্যন্ত জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেছেন তাঁরা হলেন--
১) ১৯৬৬ সালে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় "গণদেবতা" উপন্যাসের জন্য।
২) ১৯৭১সালে বিষ্ণু দে "স্মৃতি সত্ত্বা ভবিষ্যৎ"গ্রন্থের জন্য।
৩) ১৯৭৬ সালে আশাপূর্ণা দেবী "প্রথম প্রতিশ্রুতি"গ্রন্থের জন্য।
৪) ১৯৯১ সালে সুভাষ মুখোপাধ্যায় "পদাতিক" কাব্যগ্রন্থের জন্য।
৫) ১৯৯৬ মহাশ্বেতা দেবী "হাজার চুরাশির মা" গ্রন্থের জন্য।
৬) ২০১৬ সালে শঙ্খ ঘোষ বাংলা সাহিত্যে জীবনব্যাপী অবদানের জন্য এ পুরস্কার লাভ করেন।
তথ্যসূত্র - উইকিপিডিয়া এবং অন্যান্য কিছু ওয়েবসাইট এবং সংবাদপত্র।
তথ্যসংগ্রহে--- রিক্ সরকার