কুন্তলীন পুরস্কার
তথ্যসংগ্রহে-- রিক্ সরকার ও প্রীতম চক্রবর্তী
কুন্তলীন নামক কেশতৈল্যের নাম অনুসারে এই পুরস্কারের নামকরন করা হয় "কুন্তলীন পুরস্কার"।১৮৯৪ সালে কলকাতার ব্যবসায়ী হেমেন্দ্রমোহন বসু সুগন্ধির ব্যবসা শুরু করেন।এরপর একে একে চুলের তেল, অডিকোলন ও অন্যান্য প্রসাধনের ব্যবসায় হাত দেন।মূলত তেলের ব্যবসায় প্রচুর অর্থপ্রাপ্তি ঘটে।কুন্তলীন তেলের গুণে মুগ্ধ হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন—
‘‘কেশে মাখ ‘কুন্তলীন’।
রুমালেতে ‘দেলখোস’।
পানে খাও ‘তাম্বুলীন’।
ধন্য হোক এইচ বোস।’’
(১৩৫২ সালে প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশীত হয় বিজ্ঞাপনটি) হেমেন্দ্রমোহন বসু এক অভিনব বিজ্ঞাপন প্রচারের দিকে মন দিলেন - একাধারে বিজ্ঞাপন,
সাহিত্য-চর্চায় উৎসাহ দান এবং স্বদেশিকতা এই তিনের সংগম ঘটালেন কুন্তলীন পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে। তিনি
'কুন্তলীন’প্রকাশনা সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯০৩ সাল থেকে বাঙালি লেখকদের সাহিত্যচর্চায় উৎসাহিত করার জন্যে বিখ্যাত ‘কুন্তলীন পুরস্কার’ দেওয়া শুরু করেন। যেখানে লেখার শর্ত ছিল হিসাবে বলা হয়েছিল-- 'গল্পের সৌন্দর্য কিছুমাত্র নষ্ট না কোরিয়া কৌশলে কুন্তলীন এবং এসেন্স দেলখোশের অবতারণা করিতে হইবে, অথচ কোনো প্রকারে ইহাদের বিজ্ঞাপন বিবেচিত না হয়"|
কুন্তলীন পুরস্কার প্রাপক---
১) ১৩০৩ বং - "নিরুদ্দেশের কাহিনী" / জগদীশ্চন্দ্র বসু।
২) ১৩০৪ বং - "পূজার চিঠি" / প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়।
৩) ১৩০৫ বং - "বিধবা" / দীনেন্দ্রকুমার রায়।
৪) ১৩০৬ বং - "অদ্ভুত হত্যা" / রজনীচন্দ্র দত্ত।
৫) ১৩০৭ বং - "আমার চাকরি" / সুরেন্দ্রনাথ গুপ্ত।
৬) ১৩০৮ বং - "মেয়ে" / সরোজনাথ ঘোষ।
৭) ১৩০৯ বং - "মন্দির" / শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
৮) ১৩১০ বং - "সন্ন্যাস" / বিন্দুবাসিনী দাসী।
৯) ১৩১১ বং - "শাস্তি" / সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়।
১০) ১৩১২ বং - "অসংযত" / সত্যেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।
১১) ১৩১৩ বং - "রাখীবন্ধন" / যোগেশ্চন্দ্র মজুমদার।
১২) ১৩১৪ বং - "উপেক্ষিতা" / ভূপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।
তথ্যসংগ্রহ-- প্রীতম চক্রবর্তী ও রিক্ সরকার।।
এডমিন সাকসেস বাংলা