* ১৮৮২ সালে প্রকাশিত রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্রের "The Sanskrit Buddhist Literature in Nepal" গ্রন্থটি পাঠ করে সবচেয়ে বেশী যিনি উৎসাহিত হন, তিনি হলেন মহামহোপধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। যিনি পরবর্তী কালে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হন। তিনি ১৯০৭ খ্রীস্টাব্দে তৃতীয় বারের চেষ্টায় নেপালের রয়েল লাইব্রেরী থেকে চর্যাপদ সহ চারটি গ্রন্থ আবিষ্কার করেন। অন্য তিনটি হচ্ছে অপভ্রংশ ভাষায় রচিত। যথা:
▪ সরহপাদের দোহা
▪ কৃষ্ণপাদের দোহা
▪ ডাকার্ণব
উল্লেখিত চারটি গ্রন্থ একসঙ্গে কলিকাতার ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ থেকে প্রকাশিত হয়। ১৯১৬ সালে তখন চারটি গ্রন্থের একত্রে নাম দেয়া হয় ‘হাজার বছরের পুরোনো বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধ গান ও দোহা’। এটি প্রকাশিত হবার পর পালি সংস্কৃত ওড়িয়া অসমিয়া সহ বিভিন্ন ভাষাবিদরা চর্যাপদকে নিজ নিজ ভাষার আদি নিদর্শন বলে দাবী করেন। এসব দাবী মিথ্যা প্রমাণ করেন ড. সুনীতি কুমার চট্রোপাধ্যায় ১৯২৬ সালে ‘The Origin and Development of Bengali Language’ গ্রন্থে। তিনি অত্যন্ত নিপূণ ভাবে চর্যাপদ এর ভাষা বিষয়ক গবেষণা করেন এবং প্রমাণ করেন চর্যাপদ বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন। এছাড়াও পরবর্তী কালে অনেক ভাষাবিদ চর্যার ভাষা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেছেন। এবং সকলেই চার্যাপদকে আদি বাংলা ভাষার নিদর্শন বলেই মনে করেন।
▪ সরহপাদের দোহা
▪ কৃষ্ণপাদের দোহা
▪ ডাকার্ণব
উল্লেখিত চারটি গ্রন্থ একসঙ্গে কলিকাতার ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ থেকে প্রকাশিত হয়। ১৯১৬ সালে তখন চারটি গ্রন্থের একত্রে নাম দেয়া হয় ‘হাজার বছরের পুরোনো বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধ গান ও দোহা’। এটি প্রকাশিত হবার পর পালি সংস্কৃত ওড়িয়া অসমিয়া সহ বিভিন্ন ভাষাবিদরা চর্যাপদকে নিজ নিজ ভাষার আদি নিদর্শন বলে দাবী করেন। এসব দাবী মিথ্যা প্রমাণ করেন ড. সুনীতি কুমার চট্রোপাধ্যায় ১৯২৬ সালে ‘The Origin and Development of Bengali Language’ গ্রন্থে। তিনি অত্যন্ত নিপূণ ভাবে চর্যাপদ এর ভাষা বিষয়ক গবেষণা করেন এবং প্রমাণ করেন চর্যাপদ বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন। এছাড়াও পরবর্তী কালে অনেক ভাষাবিদ চর্যার ভাষা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেছেন। এবং সকলেই চার্যাপদকে আদি বাংলা ভাষার নিদর্শন বলেই মনে করেন।
আলোচক – সুশান্ত কর্মকার
অ্যাডমিন, সাকসেস বাংলা।