বাংলা ব্যাকরণে-- কারক


                            ♦♦কারক♦♦

♦কারক-- বাক্যে ক্রিয়াপদের সঙ্গে অন্যান্য পদের সম্পর্ককে কারক বলে।।কারককে নিম্নলিখিত কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়--

          ★ কর্তৃকারক ★

কর্তৃকারক= ক্রিয়াসম্পাদনকারী ( যে / যারা )

প্রকারভেদ ---
1) প্রযোজক কর্তা -- নিজে কাজ না করে অন্যকে দিয়ে সম্পাদন করে |
উদাহরণ -- বাবা আমাকে দিয়ে আবেদনপত্রটি লেখালেন | { বাবা }

2) প্রযোজ্য কর্তা-- প্রযোজক কর্তা যাকে দিয়ে কাজটি করায় |
উদাহরণ--  আগের উদাহরণের   'আমাকে' |

3) ঊহ্য কর্তা -- বাক্যের কর্তা যখন ঊহ্য থাকে |
উদাহরণ-- ঘটনাস্থলে ছিলাম | { আমি বা আমরা ঊহ্য কর্তা }

4) অনুক্ত কর্তা -- কর্মবাচ্য বা ভাববাচ্যের কর্তা প্রধানভাবে উক্ত না হওয়ার জন্য অনুক্ত কর্তা |
উদাহরণ--
কর্মবাচ্য-- আমার দ্বারা সাহিত্যের ইতিহাসের তথ্য মনে রাখা সম্ভব হচ্ছে না | { আমার দ্বারা }
ভাববাচ্য -- আপনার পড়াশুনা কখন ভালো হয় ? { আপনার }

5) কর্মকর্তৃবাচ্যের কর্তা --  বাক্যে ক্রিয়ার কর্তা অনুল্লিখিত থাকলে কর্মই যখন কর্তার প্রাধান্যলাভ করে |
উদাহরণ-- ভাঙল সুখের হাট | { হাট }

6) এক ক্রিয়ার বহু কর্তা --  একাধিক কর্তা যখন একটি ক্রিয়া সম্পাদন করে |
উদাহরণ-- পরিবারের সুখ, সমৃদ্ধি ও প্রতিষ্ঠা ধীরে ধীরে বাড়তে লাগল | { সুখ, সমৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠা -- তিনটি কর্তা }

7) বহু ক্রিয়ার এক কর্তা -- একটি কর্তা যখন একাধিক ক্রিয়া সম্পাদন করে |
উদাহরণ-- চিঠিটি লিখে, খামভর্তি করে রাহুল ঘর থেকে বের হল এবং পোস্ট করে বাড়ি ফিরল | { রাহুল }

8) ব্যতিহার কর্তা -- দুটি কর্তার মাঝে পারস্পরিক ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়া বোঝায় |
উদাহরণ-- রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায় | { রাজায় রাজায় }

9) সহযোগী কর্তা -- দুটি কর্তার পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ক্রিয়া সম্পাদন হয় |
উদাহরণ-- ঘর বাঁধব, তোমায়-আমায় মিলে | { তোমায় -আমায় }

10) নিরপেক্ষ কর্তা -- একই বাক্যের সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা যদি আলাদা হয়, তবে অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাটি নিরপেক্ষ কর্তা |
উদাহরণ-- দেবাশীষ কবিতাটি  বললে প্রিয়াংকা বইটি কিনতে পারবে | { দেবাশীষ }

11) সমধাতুজ কর্তা -- অকর্মক ক্রিয়ার ধাতু আর ঐ ধাতু-নিষ্পন্ন কোনো বিশেষ্য যখন সেই ক্রিয়ার কর্তা হয় |
উদাহরণ-- পরিশ্রমের ফল নিশ্চিতভাবেই ফলবে | { ফল }

12) সাধন কর্তা -- কোনো উপকরণ যখন বাক্যের কর্তা হয় |
উদাহরণ-- ডায়েরির পুরনো পাতাগুলো স্মৃতিকে জাগায় | { ডায়েরির পুরনো পাতাগুলো }

13) বাক্যাংশ কর্তা -- সমাপিকা ক্রিয়াবিহীন পদসমষ্টি যখন বিশেষ্যের মত একটি ভাব প্রকাশ করে, তখন তা বাক্যাংশ কর্তা |
উদাহরণ-- সহজভাবে বাঁচা কখনই এই খাঁচাতে সম্ভব নয় | { সহজভাবে বাঁচা }

14) উপবাক্যীয় কর্তা -- বাক্যের বিশেষ্যধর্মী উপাদান-বাক্য কর্তৃপদ পেলে তা উপবাক্যীয় কর্তা |
উদাহরণ-- বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রার্থনা | { বিপদে মোরে রক্ষা করো } |



        ★ কর্মকারক ★

কর্মকারক= কর্তা যা আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পাদন করে |
* বাক্যের ক্রিয়াকে কী/কাকে/ কোন্ টি দিয়ে করা প্রশ্নের উত্তর ই কর্মকারক |
উদাহরণ-- পাখিটিকে খাঁচা থেকে মুক্তি দিলাম |  {খাঁচা}

প্রকারভেদ ---
1) মুখ্যকর্ম -- যখন কোনো সকর্মিকা ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে ( একটি প্রাণীবাচক, অপরটি বস্তুবাচক )  তখন ঐ বস্তুবাচক কর্মটি হল মুখ্যকর্ম |
উদাহরণ-- বিকাশ আমাকে একটি গোলাপ দিয়েছিল | { গোলাপ }

2) গৌণকর্ম --  উপরিউক্ত দুটি কর্মের প্রাণীবাচক কর্মটি হল গৌণকর্ম |
উদাহরণ-- উপরের বাক্যের 'আমাকে' |

3) উদ্দেশ্য কর্ম-- কিছু ক্রিয়া এমন থাকে, যেখানে কর্মের পরিপূরক হিসেবে অন্য পদ ব্যবহৃত হয় | তখন বাক্যের আসল কর্মটি হল উদ্দেশ্য কর্ম |
উদাহরণ-- ভালোলাগাকেই অনেকে ভালোবাসা ভেবে ভুল করেন | { ভালোলাগাকেই }

4) বিধেয় কর্ম -- যখন ক্রিয়ার কর্মের পরিপূরক হিসেবে অন্য পদ ব্যবহৃত হয়, তখন ঐ পদটিই বিধেয় কর্ম |
উদাহরণ-- আগের বাক্যের 'ভালোবাসা' |

আরেকটি উদাহরণ --
 অর্থকেই মানুষ পরমার্থ জ্ঞান করে | { উদ্দেশ্য কর্ম -- অর্থ,  বিধেয় কর্ম -- পরমার্থ }

5) সমধাতুজ কর্ম -- বাক্যের ক্রিয়া যে ধাতু থেকে নিষ্পন্ন, সেই ধাতু-নিষ্পন্ন কোনো বিশেষ্যপদ যদি ঐ ক্রিয়ার কর্ম হয়, তবে তা সমধাতুজ কর্ম |
উদাহরণ-- মেয়েটি দুষ্টুমিভরা হাসি হাসছে | { হাসি }

6) অসমাপিকা ক্রিয়ারূপ কর্ম -- যখন কোনো বাক্যের অসমাপিকা ক্রিয়া, ভাবপ্রকাশের অর্থে কর্মভাব পায় |
উদাহরণ-- বাঁচতে চাই, আমরা সবাই | { বাঁচতে }

7) বাক্যাংশ কর্ম -- সমাপিকা ক্রিয়াবিহীন পদসমষ্টি যখন কোনো বাক্যের ক্রিয়ার কর্মভাব প্রকাশ করে, তখন তা বাক্যাংশ কর্ম |
উদাহরণ-- যেকোনো সময় তার নাম ধরে ডাকা আমি খুব পছন্দ করি | { যেকোনো সময় তার নাম ধরে ডাকা }

8) উপবাক্যীয় কর্ম -- জটিল বাক্যের অন্তর্গত অপ্রধান উপাদান-বাক্য যখন প্রধান উপাদান-বাক্যের সকর্মিকা ক্রিয়ার কর্ম হয়, তখন তা উপবাক্যীয় কর্ম |
উদাহরণ-- সকলের মনে রাখা উচিত, সততাই একমাত্র মূলধন |  { সততাই একমাত্র মূলধন }

9) ঊহ্য কর্ম-- বাক্যে যখন কর্ম অনুল্লিখিত থাকে |
উদাহরণ-- সুব্রত অনেকক্ষণ থেকেই খোঁজ করেছিল |  { কী খোঁজ -- অনুল্লিখিত }

10) অক্ষুণ্ণ কর্ম-- কর্তৃবাচ্যের দুটি কর্ম যদি কর্মবাচ্যে অপরিবর্তিত থাকে, তবে তা অক্ষুণ্ণ কর্ম |
উদাহরণ-- তোমাকে সেদিন আমি সত্যিটাই জানিয়েছিলাম | { তোমাকে, সত্যিটাই -- অক্ষূণ্ণ কর্ম }

11) কর্মের বীপ্সা -- বাক্যে কর্মের পুনরাবৃত্তিই কর্মের বীপ্সা |
উদাহরণ-- যা যা শুনেছি, এখনও মনে রেখেছি | { যা যা}


       ★করণ কারক★

করণ কারক-- কর্তা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদন করে , তা ই করণকারক |
** বাক্যের ক্রিয়াকে 'কার দ্বারা', 'কীসে' --- প্রশ্ন করলে যা উত্তর পাওয়া যায়, সেটাই করণকারক |
** করণ কারকে দ্বারা, দিয়া, করিয়া (করে), কর্তৃক, হইতে (হতে)-- অনুসর্গের ব্যবহার হয় |

উদাহরণ-- নৌকা করে ঘাট পার হলাম আমরা | {নৌকা করে }

প্রকারভেদ--
1) সমধাতুজ করণ-- বাক্যের ক্রিয়া যে ধাতু থেকে নিষ্পন্ন, করণকারক টিও যদি একই ধাতু-নিষ্পন্ন হয়, তবে তা সমধাতুজ করণ |
উদাহরণ-- তোমার মত এমন টানে আর কেউ টানে না | { টানে }

2) যন্ত্রাত্মক করণ -- কর্তা যে ইন্দ্রিয়গোচর উপায়ের সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদন করে, তা যন্ত্রাত্মক করণ |
উদাহরণ-- তাঁরা সকলেই দোয়াত-কালি দিয়েই লিখতেন | { দোয়াত-কালি }

3) উপায়াত্মক করণ -- কর্তার ক্রিয়া সম্পাদনের উপায়টি যদি ইন্দ্রিয়গোচর না হয়, তবে তা উপায়াত্মক করণ |
উদাহরণ-- সর্বনাশী হৃদয় , ভালোবাসায় পূর্ণ | {ভালোবাসায় }

4) করণের বীপ্সা -- করণের পুনরাবৃত্তি |
উদাহরণ-- গানে গানে আজকের রাত্রি ভরিয়ে তোলো | {গানে গানে } |


★ অপাদান কারক  ★

অপাদান কারক -- যা থেকে কোনো ব্যক্তি বা বস্তু পতিত/ চলিত / ভীত / গৃহীত / রক্ষিত / উতপন্ন / মুক্ত / অন্তর্হিত / বঞ্চিত / বিরত  হয় , তাকে অপাদান কারক বলে |

# এই কারককে সাধারণত হইতে, থেকে অনুসর্গ যোগ থাকে |

প্রকারভেদ--
1) স্থানবাচক অপাদান-- কোনো স্থান থেকে ক্রিয়াটি সম্পাদিত হলে তা স্থানবাচক অপাদান |
উদাহরণ-- গোলাপটি হাত থেকে পড়ে গেল | { হাত থেকে }

2) কালবাচক অপাদান-- কোনো সময় থেকে ক্রিয়া সম্পাদন যখন বোঝায়, তখন তা কালবাচক অপাদান |
উদাহরণ-- জন্মদিনে সকাল থেকেই গ্রুপে দারুণ পোস্ট চলেছে | { সকাল থেকেই }

3) অবস্থানবাচক অপাদান--  কোনো অবস্থান থেকে ক্রিয়া সম্পাদন বোঝায় এই কারকে |
উদাহরণ-- বাচ্চারা ছাদ থেকে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে | { ছাদ থেকে }

** স্থানবাচক অপাদানে কর্তার স্থানচ্যুতি ঘটে |
      অবস্থানবাচক অপাদানে কর্তার স্থানচ্যুতি ঘটে না |  

4) দূরত্ববাচক অপাদান -- একটি দূরত্ব থেকে ক্রিয়া সম্পাদন হয় |
উদাহরণ-- ব্যান্ডেল রাণাঘাট থেকে অনেক দূরে | { রাণাঘাট থেকে }

5) বিকৃতিবাচক অপাদান --- বিকৃতি থেকে বা বিকৃতির মাধ্যমে ক্রিয়াটি সম্পাদিত হয় |
উদাহরণ-- দুধে ক্ষীর হয়   |  { দুধে }

6) অসমাপিকা ক্রিয়াবাচক অপাদান --
  যখন কোনো অসমাপিকা ক্রিয়া অপাদানের আকারে ক্রিয়া সম্পাদন করে , তখন এই কারক হয় |
উদাহরণ-- হঠাত্ ঝুমা বলতে বিরত হল |  { বলতে , বলা থেকে অর্থে } |


        ♦অধিকরণ কারক♦

         যে স্থানে বা সময়ে  কোনো ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় , ক্রিয়ার সেই আধার  টিই তার অধিকরণ কারক |

প্রকারভেদ---
1) স্থানাধিকরণ কারক--  যে স্থানে ক্রিয়া সম্পাদন হয় |
উদাহরণ-- বাড়িতে আমি আর ভাই আছি | { বাড়িতে }

এটি তিন প্রকার ---
** একদেশসূচক ::: সমগ্র স্থানের বদলে কোনো বিশেষ অংশে কিছুর অবস্থান বোঝায় |
উদাহরণ-- চোখের কোণে একটু হাসলে তুমি | { কোণে }

** ব্যাপ্তিসূচক ::::
  সমগ্র স্থান ব্যাপিয়া ক্রিয়া সম্পাদন বোঝায় |
উদাহরণ-- শশীর মনে দ্বন্দ্ব ছিল , কুসুমের নয় | { মনে }

** সামীপ্যসূচক :::::
    নৈকট্য বুঝিয়ে ক্রিয়া সম্পাদন |
উদাহরণ-- দরজায় এত ভিড় কিসের ?  { দরজায়, দরজার কাছে বোঝাতে }

2) কালাধিকরণ-- যে সময়ে ক্রিয়াটি অনুষ্ঠিত হয় তাই কালাধিকরণ |

এটি দুই প্রকার ---
** ক্ষণমূলক::::
অতি অল্প সময়ের মধ্যে ক্রিয়া সম্পাদন বোঝায় |
উদাহরণ-- আজ সকাল ছটায় ঘুম ভেঙেছিল | { ছটায় }

** ব্যাপ্তিমূলক-- দীর্ঘসময় ব্যাপী ক্রিয়া সম্পাদন বোঝায় |
উদাহরণ-- শীতকালে রাত বড় হয় | { শীতকালে }

3) বিষয়াধিকরণ কারক--
কোনো বিষয় বা ব্যাপার যখন ক্রিয়ার আধার হয়, তখন তা বিষয়াধিকরণ |
উদাহরণ-- মেয়েটি বুদ্ধিতে বৃহস্পতি, রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী | { বুদ্ধিতে, রূপে, গুণে }

4) অধিকরণের বীপ্সা --  ক্রিয়ার আধারের পুনরাবৃত্তি হয় এখানে |
উদাহরণ--  বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘরে ঘরে বেকারত্ব | { ঘরে ঘরে } |


 ♦সম্প্রদান কারক / নিমিত্ত কারক ♦

** পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষত 1989 সাল থেকে পাঠ্যসূচীতে সম্প্রদান কারকের পরিবর্তে নিমিত্তকারক চালু করেছে |
বামনদেবকে অনুসরণ করে, সম্প্রদান ও নিমিত্ত কারক কে আলাদা ভাবে আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হল |

সম্প্রদান কারক -- যখন কোনো কিছু নিঃস্বার্থভাবে দান করা হয়, তখন দানের সেই পাত্রকে সম্প্রদান কারক বলে |
উদাহরণ--
দরিদ্রকে অন্ন দাও | { দরিদ্রকে}
অন্ধজনে দেহ আলো, মৃতজনে দেহো প্রাণ | { অন্ধজনে, মৃতজনে }

** কর্মকারক ও সম্প্রদান কারকের প্রভেদ -----
         # কর্মকারকে 'কী দেওয়া হচ্ছে' , সেটিই মূল কথা |
        আর সম্প্রদান কারকে 'কাকে দেওয়া হচ্ছে' , দানের সেই পবিত্র পাত্রটিই প্রধান |

     # উদাহরণ---
কর্মকারক:-- দোকানীকে টাকা দিতে হবে | { দোকানীকে, টাকা --- নিঃস্বার্থ দান নয় }

সম্প্রদান কারক:--  দেবতার নৈবেদ্য সাজাতে হবে | { দেবতার -- নিঃস্বার্থ দান }

নিমিত্ত কারক ---
          এই কারকে নিমিত্ত বা জন্য অর্থটি প্রকাশ পায় |
** ক্রিয়াপদকে 'কী জন্য' দিয়ে প্রশ্ন করলে , এই কারক টি পাওয়া যায় |
উদাহরণ--
সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে | { সকলের তরে, পরের তরে }
গ্রুপের পোস্ট সাজের জন্য নয়, কাজের জন্য | { সাজের জন্য, কাজের জন্য }
পূজার জন্য দোকানে যেতে হবে এখন |



♦অালোচক -- শিউলী ঘোষ 
(ছাত্রী-- কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়,জেলা-- নদীয়া)
 ♦অ্যাডমিন -- সাকসেস বাংলা গ্রুপ♦

Share this